মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে আজ বিপিএলে দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে বোলিংয়ের একটা দারুণ লড়াই হবে, সেটি ছিল প্রত্যাশিত। রংপুর রাইডার্স-সিলেট স্ট্রাইকার্সের লড়াইয়ের মধ্যেও থাকবে লড়াই। সিলেটের তানজিম হাসান সাকিব-রিচ টপলিদের বিপরীতে রংপুরের নাহিদ রানা-মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনেরা। দুই দলের বেশ কার্যকরী বোলিং আক্রমণ। কিন্তু নাহিদ রানার তোপই পার্থক্য গড়ে দিয়েছে ম্যাচে। গতির ঝড়ে লন্ডভন্ড করে দিয়েছেন সিলেটের ব্যাটিং অর্ডার। সিলেটকে ছোট লক্ষ্য ছুড়ে দিয়েও ৩৪ রানের দুর্দান্ত জয় তুলে নিয়েছে রংপুর।
টানা দ্বিতীয় জয়ে পূর্ণ ৪ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের শীর্ষে রংপুর। রাতে শিশিরের ব্যাপার থাকলে, টস জেতা দল আগে বোলিংয়েরই সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকেন সাধারণত। কিন্তু এখানেও একটা অধিনায়কত্বের মুনসিয়ানা দেখিয়েছেন রংপুরের অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহান। আজ বিশেষ কারণে সন্ধ্যার ম্যাচ এগিয়ে নিয়ে আসা হয়েছিল দেড় ঘণ্টা। ব্যবহৃত উইকেট দেখে সোহানও ধারণা করে নিয়েছিলেন, আগে ব্যাটিং করে মোটামুটি দেড় শ ছাড়ানো একটা স্কোর দাঁড় করলে, প্রতিপক্ষের জন্য তাড়া করা সহজ হবে না।
সন্ধ্যার পর কিছুটা শিশির কম থাকবে, স্পিনারদের একটু দ্রুত বোলিং করিয়ে, শিশিরে পেসারদের বল স্কিড করলেও খুব একটা সমস্যা হওয়ার কথা নয়। সোহান যদি এমন চিন্তা করে থাকেন, তবে চিন্তার সঙ্গে মিলটাও খাপে খাপ। সাকিব-আল আমিন হোসেনদের দুর্দান্ত বোলিংয়ে রংপুরকে ১৫৫ রানেই আটকে রাখে সিলেট। কিন্তু ১৫৬ রানের লক্ষ্য তাড়ায় নেমে সিলেটকে ৯ উইকেটে ১২১ রানে থামিয়ে দেয় রংপুর।
সিলেটের ওপেনার রনি তালুকদার সর্বোচ্চ ৩৬ বলে ৪১ রান করেছেন। শুরু থেকেই নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে তারা। দলের বিপর্যয়ে জাকের আলী অনিক করেছেন ৩৩ বলে ২৪ রান। আর জাকির হাসানের ব্যাট থেকে আসে ২১ বলে ১৮ রান। সিলেট হারের বড় কারণ হতে পারে, তাদের বড় কোনো জুটি গড়তে দেননি রংপুরের বোলাররা। আগের ম্যাচে ঢাকা ক্যাপিটালসের বিপক্ষে দুর্দান্ত বোলিং করেও উইকেটশূন্য ছিলেন নাহিদ। তবে আজ সেটি পুষিয়ে দিয়েছেন ২৭ রানে ৪ উইকেট নিয়ে। ৪ ওভারে ১০ রান দিয়ে ২ উইকেট নিয়েছেন খুশদিল শাহ। মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনের শিকারও ২ উইকেট।
তার আগে ব্যাটিংয়ে নেমে ইফতিখার আহমেদ-সোহানদের কয়েকটি কার্যকর ইনিংসের সৌজন্যে ১৫৫ রান তোলে রংপুর। শুরুটা হয়েছিল ব্যাটিং বিপর্যয়ে—২৮ রানেই তিন টপ অর্ডার হারায় তারা। মিডল অর্ডারের দৃঢ়তায় স্কোর পেরোয় দেড় শ। সর্বোচ্চ ৪২ বলে ৪৭ রানে অপরাজিত থাকেন ইফতিখার। ২৪ বলে ৪১ রানের ঝোড়ো ইনিংস খেলেছেন সোহান। খুশদিল ১৬ বলে ২১ ও মেহেদী করেছেন ৮ বলে ১৬ রান। তানজিম সাকিব ও আল আমিন দুজনই নিয়েছেন দুটি করে উইকেট। দুর্দান্ত বোলিং করে ম্যাচসেরার পুরস্কার হাতে তুলেছেন রংপুরের নাহিদ রানা।