বিপিএলের সিলেট পর্বে রান ও দর্শকপূর্ণ গ্যালারি থাকবে—বেশির ভাগ সময় এমন দৃশ্যই দেখা যায়। এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি। সিলেট পর্বের প্রথম ম্যাচেই সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামের গ্যালারি দর্শকে পরিপূর্ণ। সিলেট স্ট্রাইকার্স-রংপুর রাইডার্সের ম্যাচে গ্যালারিতে উপচে পড়া ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো।
আজ সকাল থেকেই স্টেডিয়ামে ভিড়তে থাকেন স্থানীয় ও দূর-দূরান্তের দর্শকেরা। বেলা গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে প্রতিটি গ্যালারি পূর্ণতা পায় দর্শকের ব্যাপক উপস্থিতিতে। সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলা থেকে খেলা দেখতে আসা মিলাদ হোসাইন বলেন, ‘সিলেটকে সমর্থন করতে বন্ধু-বান্ধব নিয়ে সেই সকাল বেলা রওনা দিয়েছিলাম। গতকাল এক আত্মীয়ের মাধ্যমে ৫টি টিকিট কেটে রেখেছিলাম। মাঠে ঢুকতে একটু কষ্ট হয়েছে। কারণ দর্শকদের অনেক লম্বা লাইন ছিল। এ সবকিছুর পরেও সিলেট টিম জয়লাভ করুক এই প্রত্যাশা ছিল। কিন্তু তা হলো না, হতাশ হয়ে ফিরে যাচ্ছি।’
আরেক দর্শক জানিয়েছেন, সিলেটে এবার বিপিএলের প্রচার কম হয়েছে। বিসিবিকে এ ব্যাপারে নজর দেওয়ার কথা বললেন তিনি, ‘সিলেটের মাঠে সব সময় গ্যালারি দর্শকে পরিপূর্ণ থাকে। জাতীয় কিংবা আন্তর্জাতিক যেকোনো খেলায় সিলেটের ক্রীড়ামোদী দর্শকেরা আনন্দের সঙ্গে খেলা উপভোগ করেন। এখানে আরও বেশ বেশি খেলা হবে সেই প্রত্যাশা করি। বরাবরের মতো ক্রিকেট সংশ্লিষ্টরা প্রচার প্রচারণা কম করেন। এটি যেন বাড়ানো হয়।’
দিনের প্রথম ম্যাচে রংপুরের কাছে ৮ উইকেটে হেরে যায় সিলেট। নিজ শহরের খেলা দেখতে এসে হতাশ হয়ে ফিরেছেন সমর্থকেরা। গত বিপিএলেও সুবিধা করতে পারেনি সিলেট। নগরের মির্জা-জাঙ্গাল এলাকার বাসিন্দা সেলিম মিয়ার দাবি করলেন শক্তিশালী দল গড়তে পারেনি সিলেট, ‘প্রতিবারই মানুষ সিলেটের খেলা দেখার জন্য আশা নিয়ে আসে। কিন্তু সব সময়ই টিম ম্যানেজমেন্টের বাজে পছন্দের জন্য সিলেট খেলায় হারে। আমরা হতাশ হয়ে বাসায় ফেরত যাই। শক্তিশালী টিম তৈরি করতে হবে সিলেটকে।’
খেলা শুরু হওয়ার আগ থেকে মাঠ ও স্টেডিয়ামের আশপাশে খেলোয়াড়, দর্শক ও ক্রীড়া সংশ্লিষ্টদের সার্বক্ষণিক নিরাপত্তা নিশ্চিতে কাজ করে যাচ্ছে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী। সিলেট পর্বে এ পর্যন্ত অপ্রীতিকর ঘটনা পরিলক্ষিত হয়নি। সার্বিক নিরাপত্তার বিষয়ে সিলেট মহানগর পুলিশের উপকমিশনার সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা খেলোয়াড়দের, খেলা সংশ্লিষ্টদের ও দর্শকদের নিরাপত্তায় কাজ করছি। মাঠ ও মাঠের আশপাশে, টিম হোটেলে আমাদের পুলিশ সদস্যরা সাদা পোশাক ও পুলিশের পোশাকে নিয়োজিত আছেন। আমাদের প্রায় শতাধিক সদস্য এই নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করছে। আর সিলেটের দর্শকেরা সব সময় ক্রীড়াপ্রেমী। এখন পর্যন্ত মাঠের কিংবা আশপাশে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। আশা করি দর্শকেরা শান্তিপূর্ণভাবেই শেষ পর্যন্ত খেলা উপভোগ করবেন।’