Ajker Patrika
হোম > আড্ডা

সফিউদ্দীন আহমেদ

সম্পাদকীয়

সফিউদ্দীন আহমেদ

বাংলাদেশের শিল্পকলা জগতে সফিউদ্দীন আহমেদ ‘শিল্পগুরু’ হিসেবে খ্যাত। তিনি বাংলাদেশের আধুনিক ছাপচিত্রেরও জনক।

১৯২২ সালের ২৩ জুন কলকাতার ভবানীপুরের নন্দন রোডে তাঁর জন্ম। পরিবারে সাংস্কৃতিক আবহে বেড়ে ওঠেন। প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষা গ্রহণ করেন কলকাতার পদ্মপুকুর হাইস্কুলে। নবম শ্রেণির ছাত্র থাকাবস্থায় তিনি কলকাতা সরকারি আর্ট স্কুলে ভর্তি হন। এখানে বহির্দৃশ্য নিয়ে স্কেচ করা ছিল বাধ্যতামূলক। তাই তিনি ছবি আঁকার জন্য গিয়েছিলেন কলকাতার শহরতলির বিভিন্ন এলাকায় এবং ভারতের অনেক জায়গায়। এভাবে বাস্তব প্রকৃতির নৈকট্য তাঁর মধ্যে জাগরিত হয়।

১৯৪২ সালে তিনি আর্ট স্কুলের ফাইন আর্ট বিভাগ থেকে ছয় বছরের কোর্স শেষ করেন এবং জল ও তেলরঙে দক্ষতা অর্জন করেন। ওই বছরই তিনি ভর্তি হন টিচারশিপ কোর্সে। কিন্তু ১৯৪৩ সালে চাকরিতে যোগ দেওয়ার কারণে তাঁর শিক্ষা গ্রহণ ব্যাহত হয়। পুনরায় ভর্তি হয়ে ১৯৪৬ সালে টিচারশিপ কোর্সের চূড়ান্ত পরীক্ষায় প্রথম শ্রেণিতে উত্তীর্ণ হন এবং একই সালের জুলাই মাসে কলকাতা আর্ট স্কুলে ছাপচিত্র বিভাগের শিক্ষক নিযুক্ত হন।

দেশভাগের কারণে সফিউদ্দীন আহমেদ ঢাকায় চলে আসেন। এরপর তিনি ঢাকা কলেজিয়েট স্কুলে ড্রইংয়ের শিক্ষক হিসেবে যোগদান করেন। ঢাকায় আর্ট স্কুল গড়ার আন্দোলনে তিনি জয়নুল আবেদিনের সহযোগী হিসেবে সক্রিয় হন। নবগঠিত ‘ঢাকা গভর্নমেন্ট ইনস্টিটিউট অব আর্টস’-এর তিনি ছিলেন প্রতিষ্ঠাতা সদস্য। ১৯৪৮ সালে তিনি এখানকার ছাপচিত্র বিভাগের লেকচারার ও প্রধান নিযুক্ত হন। এই প্রতিষ্ঠান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা ইনস্টিটিউটে রূপান্তরিত হলে তিনি ছাপচিত্র বিভাগের সংখ্যাতিরিক্ত অধ্যাপক হিসেবে নিযুক্ত হন।

১৯৫৬ সালে ছাপচিত্রে উচ্চশিক্ষা লাভের জন্য লন্ডনে যান। লন্ডনের সেন্ট্রাল স্কুল অব আর্টস অ্যান্ড ক্র্যাফটস থেকে ১৯৫৮ সালে এচিং ও কপার এনগ্রেভিং বিষয়ে ডিস্টিংশনসহ ডিপ্লোমা অর্জন করেন।

দেশের এই মহান শিল্পী ২০১২ সালের ২০ মে ঢাকায় মৃত্যুবরণ করেন।

একটি সিদ্ধান্তে বিক্ষুব্ধ ঢাকা

সাহসের অভাবে

নারীরা এত ‘অ-রোমান্টিক’ কেন

স্মৃতিস্তম্ভ ঘিরে সমাবেশ

ঘুম ভাঙানোর প্রভাতফেরি

শাহাদুজ্জামানের সাক্ষাৎকার গ্রহণ পদ্ধতি

ঢাকার প্রথম শহীদ মিনার

বইমেলার উপচে পড়া ভিড় কোথায় হারায়

তাঁর সৃষ্টি এখনো স্বমহিমায়, তিনি কে

ভাষার জন্য প্রতিবাদ দিবস