মুহাম্মদ বিন কাসিম (৬৯৫-৭১৫ খ্রিষ্টাব্দ) ছিলেন ইসলামের ইতিহাসের এক বীর সেনানায়ক, যিনি মাত্র ১৭ বছর বয়সে সিন্ধু বিজয় করে ইতিহাসে অমর হয়ে আছেন। তাঁর অসাধারণ সমর কৌশল, প্রজাস্বত্ব আচরণ ও ইসলামের প্রসার ঘটানোর জন্য তিনি প্রসিদ্ধ। তিনি শুধু একজন বিজয়ী সেনাপতিই ছিলেন না, বরং একজন বিচক্ষণ প্রশাসক, সুবিচারক
সুরা কদর পবিত্র কোরআনের ৯৭তম সুরা। এতে পাঁচটি আয়াত ও একটি রুকু রয়েছে। সুরাটিতে থাকা কদর শব্দ থেকে এর নামকরণ করা হয়েছে। এই সুরার প্রথম আয়াতে কোরআনের মাহাত্ম্য ও মর্যাদার কথা বলা হয়েছে। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘নিঃসন্দেহে আমি এটি নাজিল করেছি মহিমান্বিত রাতে।’ (সুরা কদর: ০১)।
হজরত নুহ (আ.) ছিলেন মানবজাতির আদিপিতা হজরত আদম (আ.)–এর অষ্টম প্রজন্মের নবী ও রাসুল। হাদিসের ভাষ্য মতে, তিনিই পৃথিবীর প্রথম রাসুল তথা শরিয়তপ্রাপ্ত বার্তাবাহক। নুহ (আ.)-কে আল্লাহ তাআলা দীর্ঘ জীবন দান করেছিলেন। প্রায় ১ হাজার বছর তিনি জাতিকে আল্লাহর পথে ডাকেন।
মিমার সিনান (১৪৮৯–১৫৮৮) ছিলেন উসমানীয় সাম্রাজ্যের স্থাপত্যশিল্পের এক রত্ন। তিনি উসমানীয় সাম্রাজ্যের প্রধান স্থপতি হিসেবে পাঁচ দশকের বেশি সময় ধরে কাজ করেছেন। তাঁর নেতৃত্বেই উসমানীয় স্থাপত্যশিল্প উৎকর্ষের চূড়া স্পর্শ করেছিল।
আমাদের কাছে রমজানের শুরুর দিকে ইবাদত-বন্দেগির যে গুরুত্ব থাকে, শেষের দিকে এসে সেই আগ্রহ স্বাভাবিকভাবেই হারিয়ে যায়। তবে কোরআন-হাদিস থেকে বোঝা যায়, রমজানের শুরুর দিনগুলো যত ফজিলতপূর্ণ, শেষের দিকের দিনগুলো তার চেয়ে অনেক বেশি ফজিলতপূর্ণ। বিশেষ করে রমজানের শেষ ১০ দিনের মর্যাদা বছরের যেকোনো সময়ের...
আপনার জিজ্ঞাসা
ইমামদের মতের পক্ষে কিছু হাদিস রয়েছে। হজরত জাবের ইবনে আবদুল্লাহ (রা.) বলেন, হজরত রাসুলুল্লাহ (সা.) খায়বার যুদ্ধের দিন গৃহপালিত গাধার মাংস খাওয়া নিষিদ্ধ করেছিলেন এবং ঘোড়ার মাংস খাওয়ার অনুমতি দিয়েছিলেন। (সহিহ বুখারি: ৩৯৮২)
১৯৪৫ সালের কথা। ফিলিস্তিনের অপরূপ গ্রাম ছিল সারাফান্দ। হাইফা ও আক্কা শহরের মধ্যবর্তী উপকূল এলাকায় অবস্থিত গ্রামটি দেখলে যে কারও মন ভরে যেত। এখানে বাসিন্দাদের প্রায় সবাই ছিল কৃষক। কৃষিকাজ করেই তাদের জীবন চলত। সাইট্রাস ফল, জলপাই এবং বিভিন্ন শস্য তারা চাষ করত। সবুজ করে তুলত চারপাশ।
ইতিকাফে বসা হয় নিজের আমলের পরিমাণ বাড়ানোর জন্য; আত্মাকে পরিশুদ্ধ করার জন্য। তাই এ সময় বেশি বেশি নফল নামাজ আদায় করা, কোরআন তিলাওয়াত করা, জিকির-আজকার করা, দোয়া-দরুদ পড়া, তাসবিহ-তাহলিল করা, ইস্তেগফার করা কাম্য। এ ছাড়া বিজোড় রাতগুলোতে লাইলাতুল কদরের আশায় অধিক পরিমাণে নফল আমল করার চেষ্টা করা।
রমজান বছরে একবার আসার কারণে এ মাস সংশ্লিষ্ট অনেক মাসআলা–মাসায়েল অজানা থেকে যায়। আমাদের সিয়াম সাধনাকে আরও পরিশুদ্ধ করতে রোজা সংক্রান্ত মাসআলাগুলো জেনে নেয়া খুবই প্রয়োজন। রোজা রেখে অনেক সময় রক্ত দেয়া বা নেয়ার প্রয়োজন হয়। প্রশ্ন জাগে—রোজা অবস্থায় রক্ত নিলে বা নিজ শরীর থেকে অন্য কাউকে রক্ত দিলে কি...
রমজান ইবাদতের মাস। রাসুলুল্লাহ (সা.) ও তাঁর সাহাবিগণ এ মাসকে দারুণভাবে পালন করতেন। সবাই এ মাসে ইবাদতের প্রতিযোগিতায় লিপ্ত হতেন। রমজানে দিনের বেলায় সিয়াম সাধনার পর রাতের বেলায় চলত কিয়ামুল্লাইল তথা তারাবি ও তাহাজ্জুদ। দীর্ঘ তারাবির...
গল্পটি বনি ইসরাইলের এক আলেমের কথা বলে। স্ত্রী মারা গেলে তিনি শোকে মুহ্যমান হয়ে নিজেকে সবার কাছ থেকে বিচ্ছিন্ন করে ফেলেন। তখন এক নারী দৃঢ়প্রতিজ্ঞ হন যে, তিনি তাঁর সঙ্গে দেখা করবেন। তিনি এক কৌশল অবলম্বন করেন।
জাবির ইবনে হাইয়ান (৭২১–৮১৫ খ্রিষ্টাব্দ), যিনি ‘গেবার’ নামেও পরিচিত, ছিলেন ইসলামের সোনালি যুগের একজন প্রতিভাবান রসায়নবিদ, দার্শনিক ও বহুমুখী বিজ্ঞানী। তাঁকে আধুনিক রসায়নের পথিকৃৎ বলা হয়। তাঁর অগণিত গবেষণা, উদ্ভাবন ও তাত্ত্বিক বিশ্লেষণ শুধু বিজ্ঞানকে নয়, সভ্যতাকেও গভীরভাবে প্রভাবিত করেছে।
আরবি শব্দ ইতিকাফের অর্থ কোনো স্থানে অবস্থান করা বা নিজেকে সেখানে সীমাবদ্ধ রাখা। শরিয়তের পরিভাষায় ইতিকাফ বলা হয়, আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য মসজিদে অবস্থান করা। দুনিয়াবি কাজকর্ম থেকে নিজেকে গুটিয়ে শুধু ইবাদত-বন্দেগিতে নিয়োজিত থাকা।’
রমজানে রোজা রেখে খাবার চেখে দেখা যাবে কি? এর উত্তরে আলেমরা বলেছেন, রোজা রেখে বিনা প্রয়োজনে খাবার চেখে দেখা মাকরুহ। তবে চাকরি বাঁচানো, স্বামীর অসন্তুষ্টি ইত্যাদি দরকারি কারণে চেখে দেখলে রোজা ভাঙবে না।
তওবা একটি শক্তিশালী আশ্রয়স্থল, যেখানে পাপী ব্যক্তি আশ্রয় নিতে পারে। সে যদি নিজের অপরাধ স্বীকার করে, অন্তরের গভীর থেকে অনুতপ্ত হয় এবং ভবিষ্যতে আর গুনাহ না করার দৃঢ় সংকল্প করে, তবে আল্লাহ তার পাপসমূহ মোচন করেন এবং তার মর্যাদা বৃদ্ধি করেন। এই প্রসঙ্গে নবী করিম (সা.) আমাদের জন্য এক অনন্য গল্প বর্ণনা করে
হজরত খাজা মইনুদ্দিন চিশতী (রহ.) ছিলেন ভারতীয় উপমহাদেশের অন্যতম প্রধান সুফি সাধক ও ইসলামের এক নিবেদিতপ্রাণ দাঈ। তাঁর প্রচারিত চিশতিয়া তরিকা শুধু ভারতবর্ষেই নয়, সমগ্র বিশ্বের সুফি চিন্তাধারায় গভীর প্রভাব ফেলেছে।
ঈদ উপলক্ষে নতুন টাকার বেচাকেনায় বেশ জোয়ার আসে। উদাহরণস্বরূপ এ ক্ষেত্রে ১ হাজার টাকার নতুন নোট বিক্রি করা হয় ১ হাজার ২০ টাকায়। এভাবে টাকার বিনিময়ে টাকা বেশ-কম করে বেচাকেনা করা কি জায়েজ?