প্রত্যেক মুসলমানের চূড়ান্ত লক্ষ্য-উদ্দেশ্য ও একান্ত আশা-আকাঙ্ক্ষা হচ্ছে জান্নাতের মেহমান হওয়া। কেননা জান্নাত অনন্ত সুখ, শান্তি ও অসংখ্য নিয়ামতের জায়গা। আল্লাহ তাআলা নিজেই জান্নাতের দিকে বান্দাদের ডেকেছেন। কোরআনে এরশাদ হয়েছে, ‘আল্লাহ শান্তির ঘরের দিকে ডাকছেন।’ (সুরা ইউনুস: ২৫)
সংযুক্ত আরব আমিরাতের (ইউএই) অ্যাস্ট্রোনমি সোসাইটির বরাত দিয়ে গালফ নিউজ জানিয়েছে, ইসলামি বর্ষপঞ্জির পঞ্চম মাস জমাদিউল আউয়ালের চাঁদ দেখা যাবে আগামী ৩ নভেম্বর। এই চাঁদ দেখার সঙ্গে রমজান শুরুর ব্যাপারে পূর্বাভাস পান জ্যোতির্বিদেরা।
প্রাকৃতিক দুর্যোগ মানুষের জন্য মহান আল্লাহর পরীক্ষা। দুর্যোগের সময় মুমিনের বিভিন্ন করণীয় সম্পর্কে কোরআন-হাদিসে এসেছে। এখানে কয়েকটি করণীয় বিষয় তুলে ধরা হলো—
মোহরে নবুয়ত। শাব্দিক অর্থ নবুয়তের সিলমোহর। সিরাত বিশেষজ্ঞদের মতে, মোহরে নবুয়ত হলো হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর দুই কাঁধের মধ্যবর্তী স্থানে ঘাড় মোবারকের নিচে অবস্থিত গোশতের টুকরা, যা তাঁর রিসালাত ও নবুয়তের প্রমাণ।
সুখ-দুঃখ, হাসি-কান্না, বিপদাপদ—এসব আমাদের জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ, যা এড়িয়ে যাওয়ার সুযোগ নেই। আল্লাহ তাআলা মাঝেমধ্যে আমাদের পরীক্ষা করেন। জানমাল, ধনসম্পদের ক্ষতি কিংবা অন্য কোনো বিপদাপদ দিয়ে।
আহলুস সুন্নাহ ওয়াল জামাআতের বিশ্বাসমতে, কোনো ইমানদার ব্যক্তি কাফেরদের মতো চিরস্থায়ী জাহান্নামে থাকবে না। হাদিসের বর্ণনা অনুযায়ী, ৩৪ শ্রেণির গুনাহগার মুসলমানের কথা পাওয়া যায়, যারা পরকালীন জীবনের শুরুতে কৃত অপরাধের জন্য জাহান্নামের শাস্তি ভোগ করবে, এরপর জান্নাতে প্রবেশ করবে।
প্রতিটি জিনিস বানানোর পেছনে একটা উদ্দেশ্য থাকে। যেমন চেয়ার বসার জন্য বানানো হয়। টেবিল কোনো কিছু রাখার জন্য বানানো হয়। প্রশ্ন হলো, মানুষ সৃষ্টির উদ্দেশ্য কী? চলুন জেনে নিই মহান আল্লাহর ভাষ্যে, পবিত্র কোরআনের আয়াত থেকে। এরশাদ হয়েছে, ‘কাজের দিক দিয়ে তোমাদের মধ্যে কে উত্তম তা পরীক্ষা করে দেখার জন্য আমি
ইসলাম প্রত্যেক মানুষকে নিজের ওপর অর্পিত দায়িত্ব যথাযথ পালন করতে নির্দেশ দেয়। অর্পিত দায়িত্বে অবহেলা ও অসচেতনতার কারণে নানা বিপদাপদের পথ উন্মোচন হতে পারে। তা ছাড়া অর্পিত দায়িত্বে অবহেলার কারণে কিয়ামতের ময়দানে জবাবদিহির সম্মুখীন হতে হবে। রাসুল (সা.) বলেন, ‘মনে রেখো, তোমরা সবাই দায়িত্বশীল।
বিপদাপদ মহান আল্লাহর পরীক্ষা। তাই কোনো বিপদে পতিত হলে কিংবা কোনো দুর্ঘটনার মুখোমুখি হলে কোনোভাবেই ভেঙে পড়া যাবে না। আল্লাহর প্রতি অগাধ আস্থা-বিশ্বাস ও পরম ধৈর্যের সঙ্গে পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে হবে।
পরকালে সব বান্দাকেই মহান আল্লাহর কাছে নিজেদের কৃতকর্মের হিসাব দিতে হবে। সেদিন আল্লাহ তাআলা বান্দাদের প্রতি পূর্ণ ইনসাফ করবেন। যার যার প্রাপ্য বুঝিয়ে দেবেন।
ইসলামের মৌলিক স্তম্ভগুলোর মধ্যে নামাজ একটি শ্রেষ্ঠ ইবাদত। যে পাঁচটি ভিত্তির ওপর ইসলাম দাঁড়িয়ে আছে, এর মধ্যে নামাজ দ্বিতীয়। নামাজ ছাড়া ইসলামের মৌলিকত্ব অসম্ভব। ইমানের পর ইসলামে নামাজের চেয়ে অধিক গুরুত্বপূর্ণ আর কোনো ইবাদত নেই। কোরআন মজিদে ৮৩ বার নামাজের প্রসঙ্গ বর্ণিত হয়েছে।
আজকাল পণ্যের মূল্যবৃদ্ধির পেছনে যে বিষয়টিকে সবচেয়ে বেশি দায়ী করা হয়, তা হলো বিভিন্ন উপায়ে বাজারে কৃত্রিম সংকট তৈরি করে পণ্যের দাম বাড়িয়ে দেওয়া। সিন্ডিকেট, মজুতদারি, কালোবাজারিসহ অসংখ্য অপরাধমূলক কাজ আমাদের বাজারব্যবস্থা কলুষিত করে রেখেছে। মানুষের অধিকার নষ্টের এসব আয়োজন ইসলাম কোনোভাবেই সমর্থন করে না
পবিত্র কোরআনের পর ইসলামের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে মহানবী (সা.)-এর হাদিস। তাই প্রজন্মের পর প্রজন্মের কাছে মহানবীর শাশ্বত বাণীসমূহ পৌঁছে দেওয়ার জন্য মুসলিম মনীষীরা অসংখ্য হাদিস গ্রন্থ রচনা করেছেন। সেগুলোর মধ্যে হিজরি তৃতীয় শতকের প্রথিতযশা হাদিসবিশারদ ইমাম মুহাম্মাদ বিন ইসমাইল বুখারি (রহ.) রচিত
ইসলামের প্রথম যুগে আরবে ভারতীয় মুসলমানদের অবদান ও অবস্থান একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়। খেলাফতে রাশেদার যুগে ভারতবর্ষের দক্ষিণ-পূর্বাংশ ইসলাম গ্রহণ করে মুসলিমপ্রধান অঞ্চলে পরিণত হয়। এ সময়ে ভারতের বিভিন্ন অঞ্চলে গভর্নর ও শাসক নিয়োগ করা হয়। আদালত প্রতিষ্ঠা, আরব মুসলমানদের বসতি স্থাপন এবং ভারতীয়দের মধ্যে ই
নামাজ শ্রেষ্ঠ ইবাদত। ইমানের পরেই ইসলামে নামাজের স্থান। নারী-পুরুষ সবাইকে দৈনিক পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করতে হয়। বিনয় ও একাগ্রতার সৌন্দর্যে নামাজকে জীবন্ত করে তুলতে হয়। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘তুমি এমনভাবে নামাজ আদায় করবে যেন তুমি মহান আল্লাহকে দেখতে পাচ্ছো আর যদি তুমি দেখতে না পাও, তাহলে অন্তত ভাব
মানুষ সফলতাপ্রিয়। সবাই সফলতা চায়। কিন্তু চাইলেই পাওয়া যায় না। এর জন্য নিরবচ্ছিন্ন পরিশ্রম করতে হয়। মেধা ও বুদ্ধি খাটাতে হয়। ইসলামি দৃষ্টিকোণ থেকে পরকালীন সফলতা অর্জনের জন্য তিনটি গুণ থাকা আবশ্যক।
সৎ কাজের আদেশ দেওয়া এবং অসৎ কাজ থেকে বিরত রাখা মুমিনদের দায়িত্ব ও কর্তব্য। ইসলাম তার অনুসারীদের অন্যায়ের প্রতিবাদের নির্দেশ দেয়। ইসলামে মন্দ প্রতিরোধের আদেশের পাশাপাশি মন্দ প্রতিরোধের নীতিও প্রদান করা হয়েছে। ইসলাম উৎকৃষ্ট ও সুন্দর পন্থায় মন্দ প্রতিরোধে নির্দেশ দেয়।