হোম > আড্ডা

ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত

সম্পাদকীয়

ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত

ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত প্রথম বাংলা ভাষার পক্ষে দাঁড়িয়েছিলেন। ১৯৪৮ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি পাকিস্তান গণপরিষদে একটি সংশোধনী প্রস্তাব এনেছিলেন তিনি। মূল প্রস্তাবে বলা হয়েছিল, ইংরেজির সঙ্গে উর্দুও পাকিস্তান গণপরিষদের সরকারি ভাষা হিসেবে বিবেচিত হবে; ধীরেন্দ্রনাথের সংশোধনীতে বলা হয়েছিল, সেই সঙ্গে বাংলাও পরিষদের সরকারি ভাষারূপে গণ্য হবে। প্রস্তাবটি গণপরিষদের আলোচনায় উঠলে মুসলিম লীগ সদস্যদের সম্মিলিত বিরোধিতায় তা বাতিল হয়ে যায়। তাঁর এ সংশোধনী প্রস্তাব বাতিল করার প্রতিবাদে ২৯ ফেব্রুয়ারি সারা প্রদেশে ছাত্র ধর্মঘট ও প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

ধীরেন্দ্রনাথ দত্তের জন্ম ১৮৮৬ সালের ২ নভেম্বর ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের উত্তরে রামরাইল গ্রামে। তিনি নবীনগর হাইস্কুল থেকে প্রবেশিকা, কলকাতা রিপন কলেজ থেকে বিএ এবং বিএল পরীক্ষায় পাস করেন। তিনি প্রায় এক বছর কুমিল্লার মুরাদনগর বাঙ্গুরা উমালোচন হাইস্কুলের সহকারী প্রধান শিক্ষক ছিলেন। ১৯১১ সালে তিনি কুমিল্লা জেলা বারে যোগদান করেন।

ব্রিটিশবিরোধী কার্যকলাপের জন্য ধীরেন্দ্রনাথ বেশ কয়েকবার গ্রেপ্তার হয়ে বিভিন্ন কারাগারে কখনো বিনাশ্রম আবার কখনো সশ্রম দণ্ড ভোগ করেন। তিনি ১৯০৫ সালের বঙ্গভঙ্গবিরোধী আন্দোলনে যোগ দেন। ১৯৩৭ সালে বঙ্গীয় ব্যবস্থাপক সভার সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৪২ সালে ভারত ছাড় আন্দোলনে যোগ দেন।

১৯৪৬ সালের নির্বাচনে ধীরেন্দ্রনাথ কংগ্রেসের পক্ষে বঙ্গীয় ব্যবস্থাপক সভার সদস্য নির্বাচিত হন। পাকিস্তানের সংবিধান রচনার জন্য ওই বছর ডিসেম্বরে পূর্ববঙ্গ থেকে তিনি পাকিস্তান গণপরিষদের সদস্য নির্বাচিত হন। আতাউর রহমান খানের মন্ত্রিসভায় তিনি পূর্ব পাকিস্তানের স্বাস্থ্য ও সমাজকল্যাণবিষয়ক মন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন।

১৯৬৫ সালের ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধের সময় তাঁকে গৃহবন্দী করা হয়। এর পরে তিনি আর রাজনীতিতে সক্রিয় থাকতে পারেননি।

১৯৭১ সালের ২৯ মার্চ রাতে পুত্র দিলীপ কুমার দত্তসহ ধীরেন্দ্রনাথ দত্তকে গ্রেপ্তার করা হয় এবং তাঁদেরকে ময়নামতি সেনানিবাসে নিয়ে হত্যা করা হয়।

কোচির ইহুদি পরিবারের ঐতিহ্য যেভাবে বাঁচিয়ে রাখছেন এক মুসলিম

গাবতলী সেতু বধ্যভূমি

সাহিত্যচর্চা এবং মানুষের প্রতি কমিটমেন্ট

রমনা কালীবাড়ি বধ্যভূমি

আমাদের অর্জন অনেক

এবার অক্সফোর্ডের বর্ষসেরা শব্দ ‘রেজ বেইট’—এর অর্থ কী

রাষ্ট্রীয় সংস্কার করতে গিয়ে প্রাণ দিয়েছেন যে মার্কিন প্রেসিডেন্ট

জল্লাদখানা বধ্যভূমি

সিদলের স্বাদ

লেখকের সামাজিক অঙ্গীকার