Ajker Patrika
হোম > আড্ডা

শক্তি চট্টোপাধ্যায়

সম্পাদকীয়

শক্তি চট্টোপাধ্যায়
শক্তি চট্টোপাধ্যায়

শক্তি চট্টোপাধ্যায়ের জন্ম ১৯৩৩ সালের ২৫ নভেম্বর ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জেলার বহড়ু গ্রামে এক দরিদ্র ব্রাহ্মণ পরিবারে। মাত্র চার বছর বয়সে পিতৃহারা হয়ে দাদামশায়ের কাছে বড় হন। গ্রামে সপ্তম শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনা করেন।

তিনি ১৯৫১ সালে ম্যাট্রিকুলেশন এবং সিটি কলেজ থেকে উচ্চমাধ্যমিক পাস করেন। এক শিক্ষকের মাধ্যমে মার্ক্সবাদের প্রতি আকৃষ্ট হয়ে কলেজে পড়াকালীন ভারতের কমিউনিস্ট পার্টির সদস্যপদ লাভ করেন। প্রেসিডেন্সি কলেজে বাংলায় অনার্সে ভর্তি হয়েও পড়াশোনা অসমাপ্ত রেখে কলেজ ত্যাগ করেন। এরপর বুদ্ধদেব বসুর তাগাদায় যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের তুলনামূলক সাহিত্যে ভর্তি হয়েও কোর্স শেষ করেননি। তিনি কর্মজীবনে নানা পেশায় যুক্ত ছিলেন। কিছুদিন ব্যবসা করার চেষ্টাও করেছেন। ‘ক্লারিয়ন’ বিজ্ঞাপন কোম্পানির কপিরাইটার হিসেবে ‘ভারবি’ প্রকাশনায় কাজ করে খ্যাতি লাভ করেন। তিনি আনন্দবাজার পত্রিকায় চাকরি করেছেন। জীবনের শেষ দিকে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে অতিথি অধ্যাপক ছিলেন।

শক্তি চট্টোপাধ্যায় কবি হিসেবে খ্যাতিমান হলেও একাধারে তিনি কথাসাহিত্যিক, প্রাবন্ধিক ও অনুবাদক ছিলেন। সাহিত্যজগতে তিনি আবির্ভূত হয়েছিলেন ‘কুয়োতলা’ নামের উপন্যাস দিয়ে।

১৯৫৬ সালের মার্চে তাঁর প্রথম ‘যম’ কবিতা সাহিত্য পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। তারপর বিভিন্ন পত্রিকায় তাঁর লেখা প্রকাশিত হতে থাকে। তাঁর বিখ্যাত কাব্যগ্রন্থ ‘যেতে পারি কিন্তু কেন যাব’ প্রকাশিত হওয়ার পর তিনি কবি হিসেবে প্রতিষ্ঠা পান। এই কাব্যগ্রন্থ ইংরেজি ও মৈথিলি ভাষায় অনুবাদ হয়েছে।

স্ফুলিঙ্গ সমাদ্দার ছদ্মনামে তিনি লেখালেখি করতেন। আধুনিক বাংলা কবিতার ইতিহাসে কেউ কেউ তাঁকে জীবনানন্দ দাশের শেষ উত্তরসূরি হিসেবেও অভিহিত করে থাকেন। যে চারজন কবিকে হাংরি আন্দোলনের জনক মনে করা হয়, তাঁদের মধ্যে শক্তি চট্টোপাধ্যায় একজন ছিলেন। একসময় তিনি এই আন্দোলন থেকে সরে গিয়ে ‘কৃত্তিবাস’ গোষ্ঠীর সঙ্গে যুক্ত হন।

১৯৯৫ সালের ২৩ মার্চ কলকাতায় কবি শক্তি চট্টোপাধ্যায় মৃত্যুবরণ করেন।

একটি সিদ্ধান্তে বিক্ষুব্ধ ঢাকা

সাহসের অভাবে

নারীরা এত ‘অ-রোমান্টিক’ কেন

স্মৃতিস্তম্ভ ঘিরে সমাবেশ

ঘুম ভাঙানোর প্রভাতফেরি

শাহাদুজ্জামানের সাক্ষাৎকার গ্রহণ পদ্ধতি

ঢাকার প্রথম শহীদ মিনার

বইমেলার উপচে পড়া ভিড় কোথায় হারায়

তাঁর সৃষ্টি এখনো স্বমহিমায়, তিনি কে

ভাষার জন্য প্রতিবাদ দিবস