Ajker Patrika
হোম > আড্ডা

ভেবেছিলাম শেষের দিন হাজির

সম্পাদকীয়

ভেবেছিলাম শেষের দিন হাজির

সামনের পথ আছন্ন ছিল সবুজ এবং শ্বেত নির্জনতায়। যুগ যুগ ধরে সঞ্চিত মাটির বিবিধ স্তরবিন্যাস বৃক্ষের ঋজুতা, আধভাঙা ডালপালার অবরোধ, অখণ্ড নির্জনতা—সব মিলিয়ে যতই এগোনো গেছে, ততই কঠিন হয়েছে চলা। প্রকৃতির চোখধাঁধানো এবং গোপন এক বিশ্বের পেটের ভেতরে আমরা ছিলাম, যা কিনা একই সঙ্গে কনকনে ঠান্ডা, তুষারে ঘেরা, নির্মম। সব যেন মিলেমিশে একাকার—নির্জনতা, বিপদ, নৈঃশব্দ্য এবং আমার অভিযানের ব্যগ্রতা।

কখনো পথে পড়েছে চোরাচালানকারী অথবা সাদামাটা অপরাধীদের হালকা পায়ের ছাপ। অনুসরণ করেছি তার। যদিও জানতাম না ঠান্ডার বরফ সামান্য হাতকড়ায় তারা বন্দী হয়ে গেছে কিনা আজীবনের মতো। এই পদচ্ছাপের দুধারে জনশূন্য মৌনীর মাঝে প্রায়ই এমন কিছু ছায়ার উপস্থিতি টের পেয়েছি, যা প্রায় অলৌকিক। চারধারে যেন মণ্ড পাকিয়ে পড়ে রয়েছে অতীত পদচারণার এই ছায়া, 
যারা বারবার এই অসম্ভব সফরের প্রয়াস করতে গিয়ে তুষারপুঞ্জে চিরবিলীন হয়ে গেছে। তাদের ছায়ারা যেন ফিসফাস করে এখানে অতীত খোঁড়ে।

একটি নদী পার হতে হয়েছিল আমাদের। সুউচ্চ আন্দিয়ান পবর্তমালা থেকে সরু ধারায় নেমে এসেছে তীব্র বেগে। সঙ্গে নিয়ে এসেছে নুড়ি-পাথর কিন্তু নিচে তার জল শান্ত স্বচ্ছতোয়া—প্রায় আয়নার মতো। ঘোড়াগুলো জলে ঝাঁপানোর পরই আর্তনাদ করে ওঠে বেদম, পায়ের তলার জমি হারিয়ে মরিয়া হয়ে ডুবতে এবং ভাসতে থাকি। ঘোড়াও চেষ্টা চালাতে থাকে জলের ওপর থেকে মাথা তোলার। এভাবেই কায়ক্লেশে নদীটি সাঁতরে ফেলি আমরা। অন্য প্রান্তে পৌঁছানোর পর পোড় খাওয়া সহযাত্রীটি মুচকি হেসে আমায় প্রশ্ন করে, ‘তুমি কি ভয় পেয়েছিলে নাকি?’ ‘ভয়ংকর। ভেবেছিলাম শেষের সেদিন হাজির।’ জবাব দিই।

‘আমরা তোমার পেছনেই তো ছিলাম লাগাম হাতে।’ তারা উত্তর দেয়।

‘ঠিক ওখানেই আমার বাবা পড়ে যান এবং স্রোত তাঁকে টেনে নিয়ে যায় বহুদূর। আর খুঁজেও পায়নি। তোমার ক্ষেত্রে অবশ্য এমনটা হয়নি।’ জানায় আরেকজন।

চিলির কবি পাবলো নেরুদা ১৯৭১ সালে নোবেল পুরস্কার পান।

একটি সিদ্ধান্তে বিক্ষুব্ধ ঢাকা

সাহসের অভাবে

নারীরা এত ‘অ-রোমান্টিক’ কেন

স্মৃতিস্তম্ভ ঘিরে সমাবেশ

ঘুম ভাঙানোর প্রভাতফেরি

শাহাদুজ্জামানের সাক্ষাৎকার গ্রহণ পদ্ধতি

ঢাকার প্রথম শহীদ মিনার

বইমেলার উপচে পড়া ভিড় কোথায় হারায়

তাঁর সৃষ্টি এখনো স্বমহিমায়, তিনি কে

ভাষার জন্য প্রতিবাদ দিবস