হোম > আড্ডা

সৌন্দর্য তুলে ধরা শিল্পীর কাজ

সম্পাদকীয়

একশ্রেণির শিল্পী রয়েছেন, যাঁরা নিজেদের স্বাধীন এক আধ্যাত্মিক জগতের স্রষ্টা হিসেবে কল্পনা করেন এবং সেই জগতের সব সৃষ্টি ও মানুষের যাবতীয় দায়-দায়িত্বও তাঁরা তাঁদের ঘাড়ে নিয়ে নেন; কিন্তু তাঁরাও একসময় অবসন্ন হয়ে পড়েন। কেননা পৃথিবীর কোনো প্রতিভাবানের পক্ষেই তা ধারণ করা সম্ভব নয়। নিছক একজন মানুষ, যিনি বা যাঁরা একসময় নিজেকে অস্তিত্বের কেন্দ্রবিন্দু হিসেবে প্রচার করেছেন, প্রকৃতপক্ষে তাঁর পক্ষেও সম্ভব হয় না আধ্যাত্মিকতার এ ধরনের স্থায়ী একটি প্রক্রিয়া নির্মাণের। যখন স্রষ্টা হিসেবে নিজের পরাজয় তাঁকে আষ্টেপৃষ্ঠে চেপে ধরে, তিনি তখন পৃথিবীর পুরোনো সব বিবাদের প্রসঙ্গ তুলে সেগুলোর ঘাড়ে দোষ চাপিয়ে দেন; দোষ চাপিয়ে দেন অজস্র খণ্ড খণ্ড দ্বন্দ্বে, আধুনিক আত্মা তত্ত্বেও এবং সর্বোপরি জনগণের বোধ ও উপলব্ধির অপারঙ্গমতায়।

অন্য একশ্রেণির শিল্পী রয়েছেন, যাঁরা স্বীকার করেন তাঁদের চেয়েও শক্তিশালী একজন রয়েছেন এবং তাঁরা সেই স্বর্গীয় শক্তির শিক্ষানবিশ শিল্পী হিসেবে মনের আনন্দে কাজ করে চলেছেন। তাঁরা যা কিছু রচনা করেন, সবকিছুর জন্য দায়বদ্ধ থাকেন সেই শক্তির কাছে এবং তাঁদের কাছে, যাঁরা তাঁদের রচনাকে অনুভব করতে পারেন। অন্যদিকে তাঁরা জানেন এই শিল্পজগতের স্রষ্টা তাঁরা নন এবং একে পরিচালনাও তাঁরা করছেন না; এমনকি তাঁদের এ সন্দেহও থাকে না যে এই পৃথিবীর স্রষ্টা একজন রয়েছেন। এই শিল্পীদের অন্যতম কাজ পৃথিবীর বৈচিত্র্য, সৌন্দর্য তুলে ধরা এবং যাঁরা এই শিল্পবীক্ষাকে অনুভব করতে পারেন না, তাঁদের বিদ্রূপের মধ্য দিয়ে তাঁদের চেতনা বিনির্মাণের চেষ্টা করেন এবং তাঁরা শিল্পে সিদ্ধি না আনতে পারলেও দারিদ্র্যে, অনাহারে, রোগ-শোকে, বন্দিদশায়—সব ক্ষেত্রেই এই চেতনাকে লালন করেন যে স্রষ্টার এই ঐক্য আর সৌন্দর্য তাঁদের ছেড়ে যাবে না।

শিল্পের অযৌক্তিকতা তৈরি হয় মূলত একধরনের আচ্ছন্নতা, অপরিণামদর্শিতা এবং জনগণের ওপর রহস্যময়তা সঞ্চালনের কারণে, যা শিল্পীর অনুপযুক্ত হাতে সৃষ্টি কিংবা একধরনের জাদুময়তা তৈরির ব্যর্থ প্রয়াস। 

রুশ লেখক আলেকসান্দর সলঝেনিৎসিন ১৯৭০ সালে নোবেল পুরস্কার পান।

দ্য স্টারি নাইট

হুমায়ুন আজাদের লেখালেখি

বুড়িগঙ্গার তীরে ছোট কাটরা

কান্তনগরের কান্তজিউ মন্দির

মৃধার মসজিদ নাকি জিনের মসজিদ!

একাত্তর বছর বয়সী স্টেডিয়াম

নাসির আলী মামুন ও পোরট্রেট ফটোগ্রাফি

নওয়াবদের প্রাসাদ আহসান মঞ্জিল

বছরের শেষ রাত, আনন্দের নামে কি আমরা নির্দয়তার দায় বইব?

মণি সিংহ

সেকশন