হোম > বিশ্লেষণ

ব্রিকস সম্মেলন: ভূ-রাজনৈতিক পরিবর্তনের দিকে নজর

এএফপি, জোহানেসবার্গ

বিশ্ব অর্থনীতির এক-চতুর্থাংশ নিয়ন্ত্রণ করে উদীয়মান দেশগুলো। সেই দেশগুলোর নেতারা কাল মঙ্গলবার দক্ষিণ আফ্রিকার জোহানেসবার্গে তিন দিনব্যাপী ব্রিকস সম্মেলনে একত্র হচ্ছেন। বিশ্লেষকেরা মনে করছেন, ব্রিকসের প্রভাব আরও প্রশস্ত করা এবং বৈশ্বিক ভূ-রাজনীতিতে পরিবর্তনের দিকে নজর থাকবে জোটভুক্ত দেশগুলোর নেতাদের।

এবারের সম্মেলনে চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট লুইজ ইনাসিও লুলা দা সিলভাসহ জোটভুক্ত দেশগুলোর নেতাদের আতিথেয়তায় থাকার কথা দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট সিরিল রামাফোসার। রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ভার্চুয়ালি যোগ দেবেন এই সম্মেলনে। কারণ, তাঁর বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের গ্রেপ্তারি পরোয়ানা রয়েছে। তাই জোহানেসবার্গে গেলে দক্ষিণ আফ্রিকা আইনগতভাবে বাধ্য থাকবে তা প্রয়োগ করতে। তাই পুতিনের পরিবর্তে ব্রিকসে যোগ দেবেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ।

সম্মেলনে বিশ্বের প্রায় ৫০ জন নেতা ‘ব্রিকসের বন্ধু’ কর্মসূচিতে যোগ দেবেন। জোহানেসবার্গের স্যান্ডটনের কেন্দ্রস্থলে একটি কনভেনশন সেন্টারে ওই কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হবে।

২০০৯ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু হয় ব্রিকসের। বিশ্ব জিডিপির ২৩ শতাংশ এবং বিশ্বের জনসংখ্যার ৪২ শতাংশ এখন এ জোটের। এ ছাড়া বিশ্ববাণিজ্যের ১৬ শতাংশের বেশি প্রতিনিধিত্ব করে ব্রিকস।

ব্রিকস জোটের প্রতি উদীয়মান দেশগুলোর আগ্রহ বাড়ছে। অন্তত ৪০টি দেশ এতে যোগ দিতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। এর মধ্যে ২৩টি দেশ ব্রিকসের সদস্য হওয়ার জন্য আনুষ্ঠানিকভাবে আবেদন জমা দিয়েছে।

বিশ্লেষকেরা বলছেন, তিনটি মহাদেশের কোটি কোটি মানুষের প্রতিনিধি করা ব্রিকসের দেশগুলোর একটি বিষয়ে মিল রয়েছে, আর তা হলো, ধনী পশ্চিমা শক্তির হয়ে কাজ করা বিশ্বব্যবস্থার প্রতি অনীহা।

এ বিষয়ে এশিয়া ও ব্রিকস-বিষয়ক দক্ষিণ আফ্রিকার অ্যাম্বাসেডর অ্যাট লার্জ অনিল সুকলাল গত শুক্রবার এএফপিকে বলেন, এই জোটে যোগ দেওয়ার জন্য আগ্রহ বাড়ছে কোনো কোনো দেশের। এর অন্যতম কারণ, মেরুকৃত বিশ্বের আরও মেরুকরণ হচ্ছে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের ফলে। তাই দেশগুলোকে বাধ্য হয়ে কোনো পক্ষে যেতে হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, ‘দক্ষিণের দেশগুলো কাকে সমর্থন করবে, কীভাবে আচরণ করবে এবং কীভাবে তাদের সার্বভৌম বিষয়গুলো পরিচালনা করবে, তা বলতে চায় না। তারা এখন তাদের নিজ নিজ অবস্থান জাহির করার জন্য যথেষ্ট শক্তিশালী।’ ফলে ‘বিশ্বকাঠামো’ পুনর্গঠন করতে চাওয়া দেশগুলোর জন্য ব্রিকস আশা জাগিয়েছে বলেও মনে করা হচ্ছে।

লিম্পোপো বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক রাজনীতির প্রভাষক লেবোগং লেগোডি এ বিষয়ে একমত যে, বর্তমান বিশ্বে কর্তৃত্বের বিকল্প হিসেবে অনেক দেশই এখন ব্রিকসে যোগদানে আগ্রহ দেখাচ্ছে।

কিন্তু ব্রিকসের প্রতি নজর রাখা বিশ্লেষকেরা এই সম্মেলনের ফলাফল নিয়ে খুব বেশি আশাবাদী নন। কেননা, বিশ্লেষকেরা মনে করেন, ক্ষমতা এখনো পশ্চিমা দেশগুলোর হাতেই রয়েছে এবং চীন এখনো প্রভাবশালী শক্তি হয়ে ওঠেনি। 

‘ডেথ সেলে’ ইমরান খান—ক্রিকেট বিশ্বের নীরবতা নিয়ে প্রশ্ন

ইরান ও ইসরায়েলে সমানতালে চলছে যুদ্ধের প্রস্তুতি

পাকিস্তানকে এফ-১৬ আধুনিকীকরণের প্যাকেজ, ভারতকে কী বার্তা দিতে চান ট্রাম্প

ডার্ক ফ্লিট: নিষেধাজ্ঞা এড়িয়ে যেভাবে চলে ইরান ও ভেনেজুয়েলার তেল পাচার

এআই চাকরি কেড়ে নিচ্ছে আমেরিকায়, কিন্তু নিয়োগ বাড়াচ্ছে ভারতে—কীভাবে

যুক্তরাষ্ট্রের নতুন নিরাপত্তা কৌশল এশিয়ার জন্য চ্যালেঞ্জ না সম্ভাবনা

শত বছর আগে জাপানের কাছে হারের বদলা চান সি চিন পিং!

কোন দেশে সম্পদ ও আয়ের বৈষম্য সর্বাধিক, বাংলাদেশের চিত্র কেমন

যুদ্ধক্ষেত্রে কতটা দক্ষ ইতালির জঙ্গি বিমান ইউরোফাইটার টাইফুন

থাইল্যান্ড-কম্বোডিয়া সংঘাত থামেনি, ট্রাম্প ‘থামিয়েছেন’ দাবি করা অন্য যুদ্ধগুলোর কী অবস্থা