হোম > বিশ্লেষণ

হাসিনা পরবর্তী বাংলাদেশের ঘনিষ্ঠ পাকিস্তান, সম্পর্কের রসদ ভারতবিরোধিতা

অনলাইন ডেস্ক

বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসের সঙ্গে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ। ছবি: সংগৃহীত

ইসলামাবাদে পাকিস্তানের সেনাপ্রধান জেনারেল অসিম মুনিরের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন বাংলাদেশি সেনা কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট জেনারেল এসএম কামরুল হাসান। তাদের বৈঠকের টেবিলে দুই দেশের পতাকা সাজানো ছিল। কামরুল হাসান পাকিস্তানের অন্যান্য সেনা কর্মকর্তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করলেও তাঁর এই সফরের প্রধান আকর্ষণ ছিল সেনাপ্রধানের সঙ্গে বৈঠক।

গত মঙ্গলবার জেনারেল মুনির এবং লে. জেনারেল কামরুল হাসানের বৈঠক প্রসঙ্গে দেওয়া বিবৃতিতে পাকিস্তান সামরিক বাহিনীর গণমাধ্যম শাখা দুই দেশকে ‘ভ্রাতৃপ্রতিম জাতি’ বলে উল্লেখ করেছে। যদিও ৫৪ বছর আগে রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মাধ্যমে পাকিস্তান থেকে স্বাধীন হওয়া দেশটির সঙ্গে এমন সম্পর্ক কখনো ছিল না।

ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মাধ্যমে ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার আগে শেখ হাসিনার প্রায় ১৬ বছরের শাসনামলে এই সম্পর্ক টানাপোড়েনের মধ্যে ছিল। ক্ষমতাচ্যুত হয়ে হাসিনা প্রতিবেশী ভারতে যাওয়ার পর থেকেই বাংলাদেশ-পাকিস্তান সম্পর্ক দৃশ্যত ঘনিষ্ঠ হচ্ছে। উভয় দেশের রাজনীতিতে ভারতবিরোধী মনোভাব কাজ করছে, যা ইসলামাবাদ ও ঢাকার ঐতিহাসিক বৈরিতার চেয়েও শক্তিশালী বলে মনে হচ্ছে।

পাকিস্তানি সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, মুনির ও কামরুল হাসান দুই দেশের মধ্যে সামরিক সম্পর্ক জোরদারের গুরুত্ব তুলে ধরেন এবং এই অংশীদারত্বকে বাহ্যিক প্রভাব থেকে সুরক্ষিত রাখার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন। তাদের বৈঠক ছিল, দুই দেশের মধ্যে সাম্প্রতিক উচ্চপর্যায়ের একাধিক বৈঠকের অংশ।

গত মাসে মিসরের রাজধানী কায়রোতে উন্নয়নশীল দেশগুলোর জোট ডি-৮ এর সম্মেলনে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান ড. মুহাম্মদ ইউনূস সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। এর আগে, গত সেপ্টেম্বরে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের সাইডলাইনে তাঁদের আরেকটি বৈঠক হয়।

পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দার আগামী মাসে বাংলাদেশ সফর করবেন বলে আশা করা হচ্ছে। ২০১২ সালের পর এটিই হবে পাকিস্তানের কোনো পররাষ্ট্রমন্ত্রীর প্রথম বাংলাদেশ সফর। এই বিষয়গুলো দক্ষিণ এশিয়ার ভূ-রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে পরিবর্তনের ইঙ্গিত দিচ্ছে বলে বিশ্লেষকেরা মনে করছেন।

ঢাকা ও ইসলামাবাদের বৈরিতার শিকড় নিহিত ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে বাংলাদেশের স্বাধীনতার ইতিহাসে। পাকিস্তানি সামরিক বাহিনী এবং আল-বদর ও আলশামসসহ তাদের সহযোগী মিলিশিয়ারা স্বাধীনতাকামী জনগোষ্ঠীকে নিশ্চিহ্ন করতে নিধনযজ্ঞে নামে। লাখ লাখ মানুষকে হত্যা করা হয়। অন্তত দুই লাখ নারীকে ধর্ষণ করা হয়েছিল।

শেখ হাসিনার বাবা প্রয়াত শেখ মুজিবুর রহমান এবং তাঁর আওয়ামী লীগ দল বাংলাদেশের স্বাধীনতা আন্দোলনের নেতৃত্ব দেন। এতে সহায়তা করে ভারতীয় সেনাবাহিনী। পরে শেখ মুজিব বাংলাদেশের প্রথম রাষ্ট্রপতি হন এবং ‘জাতির পিতা’ উপাধি পান।

১৯৭৪ সালে পাকিস্তান একটি ত্রিপক্ষীয় চুক্তির মাধ্যমে বাংলাদেশের স্বাধীনতা স্বীকার করলেও ইসলামাবাদ ও ঢাকার মধ্যে বিভিন্ন অমীমাংসিত বিষয় থেকে যায়। এর মধ্যে পাকিস্তানের পক্ষ থেকে যুদ্ধাপরাধের জন্য আনুষ্ঠানিক ক্ষমা না চাওয়া, পাকিস্তানি পরিচয় দেওয়া উর্দুভাষী জনগোষ্ঠীকে বাংলাদেশ থেকে সরিয়ে না নেওয়া এবং ১৯৭১ সালের পূর্ববর্তী সম্পদের ভাগাভাগি অন্যতম।

কায়রোতে শাহবাজ শরিফের সঙ্গে বৈঠকে ড. ইউনূস পাকিস্তানকে এই দীর্ঘদিনের সমস্যা সমাধানের আহ্বান জানান। ড. ইউনূস বলেন, ‘এই বিষয়গুলো বারবার উঠে আসে। আসুন, ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য এগুলো একবারেই সমাধান করি।’ জবাবে শাহবাজ শরিফ বলেন, তিনি এই বিষয়গুলো দেখবেন।

বাংলাদেশে নিযুক্ত পাকিস্তানের সাবেক রাষ্ট্রদূত আশরাফ কোরেশি আল-জাজিরাকে বলেন, ‘নয়াদিল্লির তরফ থেকে শেখ হাসিনার স্বৈরাচারী সরকারকে দীর্ঘদিন ধরে সমর্থন করার কারণে ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কে যে উত্তেজনা তৈরি হয়েছে, সম্ভবত এই বিষয়টি ঢাকা প্রশাসনকে নতুন করে কৌশল নির্ধারণে উদ্বুদ্ধ করেছে।’

গত মাসে ইউনূস অন্তর্বর্তী সরকার দিল্লির কাছে হাসিনাকে প্রত্যর্পণের দাবি জানায়। ক্ষমতায় থাকার সময় হাসিনার বিরুদ্ধে বিক্ষোভকারীদের দমনের সময় মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ আছে। ভারতের পক্ষ থেকে এখনো এই বিষয়ে কোনো প্রতিক্রিয়া আসেনি।

অন্যদিকে, বাংলাদেশে সংখ্যালঘু হিন্দুদের অবস্থা নিয়ে ভারত বারবার উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। বাংলাদেশের ১৭ কোটি জনগণের মধ্যে হিন্দু জনসংখ্যা ৮ শতাংশ। ঐতিহ্যগতভাবে তারা আওয়ামী লীগের সমর্থক বলে পরিচিত। ভারতের দাবি, বাংলাদেশে হিন্দুরা নির্যাতনের শিকার হচ্ছে। কিন্তু বাংলাদেশি কর্তৃপক্ষ এই অভিযোগ দৃঢ়ভাবে প্রত্যাখ্যান করেছে এবং বলেছে, ভারতীয় গণমাধ্যমের ভুয়া খবর দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা বাড়াচ্ছে।

আশরাফ কোরেশি বলেন, ‘আপনি যদি বাংলাদেশের অবস্থান থেকে চিন্তা করেন, তবে তারা অবশ্যই তাদের বিকল্পগুলো বিবেচনা করবে। ভারতের সঙ্গে সম্পর্কের বর্তমান অবস্থা এবং (তার আলোকে ঢাকার কাছে) পাকিস্তানের প্রাসঙ্গিকতা তাদের (দুই দেশের) মধ্যে আগের চেয়ে ভালো সম্পর্কের দিকে ইঙ্গিত করে।’ কোরেশি আরও বলেন, ‘হাসিনার বিষয়ে ভারতও দোটানায় রয়েছে। ভারত হাসিনাকে সহজে ছেড়ে দিতে পারে না, কারণ সেটি ‘সমর্থকদের ছেড়ে যেতে ভারত দ্বিধা করে না’— এমন ইঙ্গিত দেবে।’

তবে কিংস কলেজ লন্ডনের সিনিয়র লেকচারার ওয়াল্টার ল্যাডউইগ বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের সাম্প্রতিক কূটনৈতিক ও সামরিক চালাচালিকে ‘অতিরঞ্জিত’ করে দেখা হচ্ছে বলে সতর্ক করেন। তিনি বলেন, ‘গত ১৫ বছরে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক যেখানে ছিল, তার প্রেক্ষিতে এটি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা। তবে আমি মনে করি না, এটি নিয়ে বিশ্লেষণে বাড়াবাড়ি করা উচিত নয়। দুই দেশের মধ্যে ঐতিহাসিক টানাপোড়েন এবং ভিন্নমত রয়ে গেছে।’

আশরাফ কোরেশি বলেছেন, এই অঞ্চলের ভৌগোলিক বাস্তবতার কারণে বাংলাদেশের পক্ষে সরাসরি ভারতবিরোধী অবস্থান নেওয়া কঠিন। তিনি বলেন, ‘দেশটির দীর্ঘ সীমান্ত ভারতীয় ভূখণ্ডের সঙ্গে যুক্ত; পানির (নদীর) উৎসও ভারতে। সর্বোচ্চ যা হতে পারে, তা হলো— শেখ হাসিনার সময়ের তুলনায় কিছুটা স্বাধীন নীতিগত অবস্থান নেওয়া। কিন্তু বাংলাদেশ ভারতবিরোধী অবস্থান নেবে না।’

আশরাফ কোরেশির বক্তব্যের সঙ্গে ল্যাডউইগও একমত। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক পক্ষ ভৌগোলিক ও অর্থনৈতিক বাস্তবতা মেনে নিয়েছে- এটি অবশ্যই লক্ষ্য করার মতো একটি প্রবণতা। তবে এটি তখনই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠবে, যখন এর সঙ্গে ব্যাপক নীতিগত পরিবর্তন যুক্ত হবে। এর আগে আমরা আঞ্চলিক ভূ-রাজনীতিতে বড় কোনো পরিবর্তনের কথা ভাবতে পারি না।’

পাকিস্তানের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক এমন সময়ে গাঢ় হচ্ছে, যখন দক্ষিণ এশিয়ায় বড় ধরনের ভূ-রাজনৈতিক পরিবর্তন দেখা যাচ্ছে। আফগানিস্তানে তালেবান শাসকদের সঙ্গে ভারতের সম্পর্কে উল্লেখযোগ্য উন্নতি এর অন্যতম উদাহরণ। ভারত এখনো তালেবান সরকারকে আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি না দিলেও শীর্ষ কর্মকর্তারা সম্প্রতি আফগান নেতাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন। গত সপ্তাহে ভারতের পররাষ্ট্রসচিব বিক্রম মিশ্রি দুবাইয়ে আফগানিস্তানের ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্রমন্ত্রী আমির খান মুত্তাকির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। এটি ভারত ও তালেবানের মধ্যে সর্বোচ্চ পর্যায়ের প্রকাশ্য যোগাযোগ।

তালেবানের সঙ্গে ভারতের কূটনৈতিক যোগাযোগ পাকিস্তানকে ক্ষুব্ধ করেছে। কারণ, তালেবানকে দীর্ঘদিন ধরে পাকিস্তান সমর্থন দিয়েছে; যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে মিত্র বাহিনীর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সহায়তাও করেছে। কিন্তু গত বছর শেষে প্রাণঘাতী হামলার ঘটনার পর দেশটিতে পাকিস্তানের প্রভাব খুব দুর্বল হয়ে পড়েছে। এসব হামলার বেশির ভাগের সঙ্গে তেহরিক-ই-তালেবান পাকিস্তান (টিটিপি) জড়িত। এদের সঙ্গে আফগান তালেবানের আদর্শগত মিল রয়েছে।

পাকিস্তানের অভিযোগ, টিটিপি যোদ্ধারা আফগানিস্তানে আশ্রয় ও প্রশিক্ষণ পায়। তবে তালেবান এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে। গত মাসে আফগানিস্তানে পাকিস্তানের বিমান হামলার পর দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা চরমে পৌঁছে।

এমন প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশ-পাকিস্তানের সম্পর্ক এগিয়ে নেওয়ার বিষয়ে সাবেক পাকিস্তানি কূটনীতিক বুরহানুল ইসলাম বলেন, হাসিনার বিদায়ের পর পাকিস্তান ও বাংলাদেশের সম্পর্কের উন্নতিকে ‘নতুন সূচনা’ হিসেবে দেখা যেতে পারে।

তিনি বলেন, ‘হয়তো বাংলাদেশ পাকিস্তানের কাছ থেকে সামরিক সহায়তা ও নিরাপত্তা খুঁজছে। আমি আশাবাদী যে, দুই দেশ এখন সঠিক পথে এগোচ্ছে এবং বাংলাদেশের সামরিক নেতৃত্ব পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নত করতে চায়।’

ল্যাডউইগ মনে করেন, গত জুলাইয়ের আন্দোলনের কারণে সাময়িক বাধা এলেও বাংলাদেশের অর্থনীতি ধারাবাহিকভাবে বেড়ে চলেছে। এটি পাকিস্তানকে সম্পর্কোন্নয়নে উদ্বুদ্ধ করতে পারে। তিনি বলেন, ‘পাকিস্তানের এখন যত বেশি অর্থনৈতিক অংশীদার পাওয়া সম্ভব, ততই দরকার। এটাই ইসলামাবাদকে সম্পর্ক উন্নয়নের দিকে উৎসাহী করছে।’

২০২১ সাল থেকে ৬ শতাংশ প্রবৃদ্ধির হার নিয়ে বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ার দ্রুততম প্রবৃদ্ধি অর্জনকারী অর্থনীতিগুলোর একটি। অপরদিকে, পাকিস্তান অনেক পিছিয়ে। গত বছর দেশটির প্রবৃদ্ধি ছিল মাত্র ২.৫ শতাংশ। দুই দেশের বাণিজ্য এখনো ভারসাম্যহীন, প্রায় ৯০ শতাংশই পাকিস্তানের ভাগে। পাকিস্তান বাংলাদেশে রপ্তানি করেছে ৬৬১ মিলিয়ন ডলারের পণ্য, আর উল্টোদিকে বাংলাদেশ থেকে পাকিস্তানে রপ্তানি হয়েছে মাত্র ৫৭ মিলিয়ন ডলার।

ল্যাডউইগ মনে করেন, বাণিজ্যের ক্ষেত্রে বড় পরিবর্তন আসতে পারে। তিনি বলেন, ‘এক সময় দুই দেশের রাজধানীর মধ্যে সরাসরি ফ্লাইট ছিল না, কূটনৈতিক যোগাযোগ ছিল নগণ্য এবং ভিসা পাওয়া ছিল কঠিন। এখন যে কোনো শিথিলতা তাৎপর্যপূর্ণ হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমি মনে করি, পাকিস্তান সরকার একটি সুযোগ দেখতে পাচ্ছে এবং সম্পর্ক উন্নত করার চেষ্টা করছে।’

বাংলাদেশ ও পাকিস্তান নিয়ে মার্কিন ‘দুমুখো নীতি’ শোধরাবেন কি ট্রাম্প

দিনে শান্তির কথা রাতে গাজায় হামলা, ইসরায়েল কি আদৌ যুদ্ধবিরতি চায়

ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কের টানাপোড়েন: সংকটে রোগী আর শিক্ষার্থীরা

বুলডোজার যেভাবে মোদির ভারতের প্রতীক হয়ে উঠল

ঢাকা-দিল্লি সম্পর্ক কি তবে ভারত-পাকিস্তান সম্পর্কে মোড় নেবে

আফগানিস্তানের তালেবান সরকারকে হঠাৎ কেন এত খাতির করছে ভারত

ট্রুডোর প্রতি কানাডীয়দের ভালোবাসা কীভাবে ফুরিয়ে গেল

ট্রাম্প কি সত্যিই গ্রিনল্যান্ড কিনতে চান, কিন্তু কেন

ফেসবুক-ইনস্টাগ্রাম থেকে ফ্যাক্ট-চেকিং সরিয়ে জাকারবার্গ কি ট্রাম্পের বশ্যতা স্বীকার করলেন

জাস্টিন ট্রুডোর পদত্যাগ: কানাডার অভিবাসন নীতি ও ভারত-কানাডা সম্পর্কের ভবিষ্যৎ

সেকশন