Ajker Patrika
হোম > বিশ্লেষণ

ব্রিকস সম্মেলনের ফাঁকে দেখা কি হবে সি-মোদির

অনলাইন ডেস্ক

ব্রিকস সম্মেলনের ফাঁকে দেখা কি হবে সি-মোদির

আগামীকাল (২৩ আগস্ট) দক্ষিণ আফ্রিকায় অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ব্রিকস সম্মেলন। সদস্য রাষ্ট্রগুলোর নেতা হিসেবে এই সম্মেলনে যোগ দিতে ইতিমধ্যেই রওনা হয়েছেন ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। একইভাবে চীন থেকে যাত্রা করেছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং। প্রতিবেশী হিসেবে সীমান্ত ইস্যু ছাড়াও অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক বিভিন্ন কারণে এই দুই নেতা একে অপরের সঙ্গে বৈঠকে মিলিত হবেন কি না সেটাই প্রশ্ন। 

এ বিষয়ে ভারতীয় গণমাধ্যমগুলোতে পরিষ্কারভাবে কিছু না জানা গেলেও দক্ষিণ আফ্রিকায় নিযুক্ত চীনা রাষ্ট্রদূত চেন জিয়াওডং এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, মোদি এবং সি-এর মধ্যে একটি বৈঠকের কথা সূচিতে উল্লেখ আছে। সাংবাদিকদের কাছে তিনি বলেছেন, ‘আমি আত্মবিশ্বাসী যে দুটি জাতি, দুটি দেশ, আমাদের সরাসরি আলোচনা হবে, সরাসরি বৈঠক হবে।’ 

যদিও ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এই বৈঠকের বিষয়টি এখনো নিশ্চিত করেনি। একটি বিশেষ ব্রিফিংয়ে দেশটির বিদেশ সচিব জানিয়েছিলেন, মোদি যেসব বৈঠকে মিলিত হবেন সেগুলো এখনো চূড়ান্ত করার পর্যায়ে রয়েছে। 

আগামী মাসের শুরুতে ভারতে অনুষ্ঠিতব্য জি-২০ সম্মেলনে যোগ দেবেন চীনা প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং। এ অবস্থায় বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ব্রিকস সম্মেলনে মোদির সঙ্গে তাঁর দেখা হলে জি-২০ সম্মেলনকে সামনে রেখে দুই পক্ষের মধ্যে শীতল সম্পর্কের বরফ কিছুটা গলবে। কারণ ভারতে অনুষ্ঠিতব্য জি-২০ সম্মেলনে একটি বাস্তবসম্মত ফলাফলের জন্য দুই নেতার ওপরই অভ্যন্তরীণ চাপ রয়েছে। 

 ২০২০ সালে লাদাখ সীমান্তে দুই দেশের সীমান্তরক্ষীদের মধ্যে সংঘর্ষ ও উত্তেজনার পর মোদি এবং সি এবারই প্রথম এত কাছাকাছি হচ্ছেন এমন নয়। এর আগে ২০২২ সালে উজবেকিস্তানের সমরখন্দে অনুষ্ঠিত সাংহাই সহযোগিতা সংস্থার (SCO) শীর্ষ সম্মেলনে দুই নেতাই যোগ দিয়েছিলেন। তবে সে সময় তাঁরা কোনো আলোচনায় অংশ নেননি। একই বছরে জি-২০-এর বালি সম্মেলনে দুই নেতার মধ্যে কুশল বিনিময়ের খবর প্রচারিত হয়েছিল। তবে পরবর্তী সময়ে ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভালের সঙ্গে একটি বৈঠকের পর চীনা কমিউনিস্ট পার্টির সেন্ট্রাল ফরেন অ্যাফেয়ার্স কমিশনের ডিরেক্টর ওয়াং ই এক বিবৃতিতে দাবি করেছিলেন, মোদি এবং সি উভয়ই বালিতে একটি ‘ঐকমত্যে’ পৌঁছেছেন। চীন-ভারত সম্পর্ক স্থিতিশীল করার বিষয়ে ওই ঐকমত্যকে ‘গুরুত্বপূর্ণ’ হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়। 

এ ছাড়া গত মাসে এক সাপ্তাহিক বৈঠকে ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচি বলেছিলেন, বালি জি-২০ বৈঠকের সময় প্রধানমন্ত্রী এবং প্রেসিডেন্ট সি আয়োজিত নৈশভোজের শেষে সৌজন্য বিনিময় করেন এবং দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক স্থিতিশীল করার প্রয়োজনীয়তার বিষয়ে কথা বলেন। 

দুই নেতার দেখা হবে কি না তা নিয়ে অনিশ্চয়তা থাকলেও ব্রিকস সম্মেলনটি দুই পক্ষের কাছেই খুব গুরুত্বপূর্ণ। ব্রিকসের বিষয়ে ভারতীয় পররাষ্ট্রসচিব বিনয় কোয়াত্রা বলেছেন, ভারত এটিকে বৈশ্বিক বহুমুখিতার একটি গুরুত্বপূর্ণ অভিব্যক্তি বলে মনে করে। 

এই শীর্ষ সম্মেলনটি এমন এক সময়ে হচ্ছে যখন পশ্চিমা বিশ্ব এবং রাশিয়ার সঙ্গে সম্পর্কের ক্ষেত্রে একটি ভারসাম্যমূলক পন্থাকে বেছে নিয়েছে ভারত। 

এবারের ব্রিকস সম্মেলনে আলোচনার সবচেয়ে বড় ইস্যু হতে পারে ব্রিকসের সম্প্রসারণ। তবে এই ক্লাবে নতুন সদস্যদের অন্তর্ভুক্ত করা একটি জটিল বিষয়। এ ক্ষেত্রেও চীন ও ভারতের মতাদর্শে কিছু ব্যবধান রয়েছে। চীন যখন ব্রিকসে নতুন দেশগুলোর যোগদানের বিষয়ে ইতিবাচক মনোভাব দেখাচ্ছে, সে সময় ভারত কিছুটা রক্ষণশীল নীতি বেছে নিয়েছে। 

তবে শুধু মতপার্থক্য কিংবা সীমান্ত সম্পর্কই নয়, অর্থনীতি থেকে শুরু করে ভূ-রাজনীতি নিয়েও দুই নেতার বোঝাপড়া প্রয়োজন বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। এ ক্ষেত্রে ব্রিকস সম্মেলনে একে অপরের সঙ্গে দেখা করার সুযোগটি তাঁরা হাতছাড়া করতে চাইবেন কি?

ভারতের আকাশে রুশ-মার্কিন দ্বৈরথ

মার্কিন সামরিক সহায়তা স্থগিত করায় ইউক্রেনের পরিণতি কী হতে পারে

যুক্তরাষ্ট্রের সরে দাঁড়ানোর শঙ্কা, আইএমএফ-বিশ্বব্যাংকে চীনের আধিপত্য বাড়ছে কি

আমেরিকা ছাড়া শুধু ইউরোপ কি পারবে ইউক্রেনকে রক্ষা করতে

প্রতিরক্ষায় যুক্তরাষ্ট্র-নির্ভরতা কমাতে কতটা সক্ষম ইউরোপ

ট্রাম্প-জেলেনস্কি দ্বন্দ্বে যুদ্ধ জয়ের চেয়েও বড় বিজয় পুতিনের

সেকেন্ড রিপাবলিক: সফলতার চেয়ে ব্যর্থতার নজির বেশি

একযোগে দুই পরাশক্তির চাপে ইউক্রেন

আইএমএফ ও শ্রীলঙ্কার স্বার্থের মধ্যে যেভাবে ভারসাম্য রেখে চলেছেন দিসানায়েকে

ভারতে ইলন মাস্কের টেসলা, উদ্বিগ্ন দেশীয় গাড়ি নির্মাতারা