হোম > বিশ্লেষণ

চীন ও আরাকান আর্মির অম্ল-মধুর সম্পর্ক, কার নিয়ন্ত্রণে রাখাইন রাজ্য

অনলাইন ডেস্ক

২০২৪ সালের শুরুর দিকে রাখাইন রাজ্যের বুতিদং সেনা সদর দপ্তর দখল করে আরাকান আর্মি। ছবি: ইরাবতীর সৌজন্যে

বাংলাদেশে আশ্রিত ১০ লক্ষাধিক রোহিঙ্গাকে মিয়ানমারের আরাকানে তাদের নিজ ভূমে ফেরত পাঠানোর প্রক্রিয়ায় আশানুরূপ কোনো অগ্রগতি হয়নি। সর্বশেষ ব্যাংককে বিমসটেক সম্মেলনের ফাঁকে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের রোহিঙ্গা সমস্যাবিষয়ক হাই রিপ্রেজেনটেটিভ খলিলুর রহমানের সঙ্গে মিয়ানমারের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বৈঠক হয়েছে। বৈঠকে মিয়ানমার পক্ষ ১ লাখ ৮০ হাজার রোহিঙ্গার একটি তালিকা দেখিয়েছে। এই তালিকার রোহিঙ্গারা দেশে ফেরার যোগ্য বলে চিহ্নিত করেছে তারা। বাকিদের বিষয়ে যাচাই-বাছাই চলছে।

তবে মিয়ানমারের আরাকান (রাখাইন) রাজ্যের অধিকাংশ এখন বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মির নিয়ন্ত্রণে। বলতে গেলে মিয়ানমারের অধিকাংশ এলাকাই এখন বিভিন্ন বিদ্রোহী গোষ্ঠীর নিয়ন্ত্রণে। জান্তা সরকার অনেকখানিই দুর্বল। ফলে রোহিঙ্গাদের ফেরানোর বিষয়টি এখন আর শুধু দ্বিপক্ষীয় আলোচনার বিষয় নয়। খোদ সরকারি কর্মকর্তারাও এই জটিলতার কথা স্বীকার করছেন।

আরাকান এলাকায় এখন পক্ষগুলোর মধ্যে রয়েছে বিদ্রোহী আরাকান আর্মি, মিয়ানমার সরকার এবং চীন। সেখানে বিশেষ করে খনিজ সম্পদে চীনের গুরুত্বপূর্ণ স্বার্থ রয়েছে।

ফলে আরাকান আর্মি (এএ) এবং চীনের মধ্যে সম্পর্কও এখন বেশ জটিল এবং বহুমুখী। এই সম্পর্ক নির্ধারিত হচ্ছে ভূ-রাজনৈতিক স্বার্থ, অর্থনৈতিক বিনিয়োগ এবং মিয়ানমারে চলমান গৃহযুদ্ধে গতিপ্রকৃতির মাধ্যমে।

আরাকান আর্মি হলো একটি জাতিগত সশস্ত্র সংগঠন (ইএও)। ২০০৯ সালে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে রাখাইন বৌদ্ধরা এই সংগঠন প্রতিষ্ঠা করে। তারা এই অঞ্চলের জন্য বৃহত্তর স্বায়ত্তশাসন বা ‘কনফেডারেট স্ট্যাটাস’ চায়। চীন, মিয়ানমারের বৃহত্তম প্রতিবেশী এবং অর্থনৈতিক অংশীদার। এই এলাকায় চীনের উল্লেখযোগ্য স্বার্থ রয়েছে, বিশেষ করে তার বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ (বিআরআই) প্রকল্পের জন্য আরাকান বেইজিংয়ের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।

ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট এবং প্রাথমিক সম্পর্ক

আরাকান আর্মি মিয়ানমার-চীন সীমান্তে কাচিন রাজ্যে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। কাচিন ইনডিপেনডেন্ট আর্মি (কেআইএ) তাদের প্রথম দিকের সদস্যদের প্রশিক্ষণ দেয়। চীনের এই ভৌগোলিক নৈকট্য আরাকান আর্মিকে এমন একটি অঞ্চলে সম্পদ এবং নেটওয়ার্কে প্রবেশাধিকার দিয়েছিল, যেখানে চীন দীর্ঘদিন ধরে জাতিগত সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর ওপর প্রভাব বিস্তার করে আসছে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে আরাকান আর্মি ইউনাইটেড ওয়া স্টেট আর্মির (ইউডব্লিউএসএ) দিকে ঝুঁকে পড়ে। এটি আরেকটি জাতিগত সশস্ত্র সংগঠন। এই সংগঠন আবার চীনের সঙ্গে গভীর সম্পর্ক রাখে। আরাকান আর্মি পরে ফেডারেল পলিটিক্যাল নেগোসিয়েশন অ্যান্ড কনসালটেটিভ কমিটিতে (এফপিএনসিসি) যোগ দেয়, যেটির নেতৃত্বে রয়েছে ইউডব্লিউএসএ। এই পরিবর্তন আরাকান আর্মিকে এমন একটি জোটের মধ্যে স্থান করে দিয়েছে, যা চীনের সমর্থন পায়। যদিও বেইজিংয়ের সরাসরি জড়িত থাকার প্রত্যক্ষ প্রমাণ খুব সীমিত।

রাখাইনে চীনের কৌশলগত স্বার্থ

চীনের রাখাইন রাজ্যে আগ্রহ মূলত চীন-মিয়ানমার ইকোনমিক করিডরের (সিএমইসি) ওপর কেন্দ্রীভূত। এটি বেইজিংয়ে বিআরআইয়ের মূল অংশ। এর মধ্যে রয়েছে কিয়াউকফিউ গভীর সমুদ্রবন্দর এবং রাখাইন থেকে ইউনান প্রদেশ পর্যন্ত তেল ও গ্যাসের দ্বৈত পাইপলাইন। এই পাইপলাইনের মাধ্যমে মালাক্কা প্রণালিকে এড়াতে পারবে চীন। চীনের জ্বালানি আমদানির জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ বাধা এই মালাক্কা প্রণালি।

রাখাইনের স্থিতিশীলতা এই বিলিয়ন বিলিয়ন ডলারের প্রকল্পগুলোর জন্য অত্যাবশ্যক। এসব প্রকল্প চীনের বঙ্গোপসাগরে প্রবেশাধিকার এবং আঞ্চলিক প্রভাব বাড়াতে সহায়তা করবে। চলতি বছর আরাকান আর্মি রাখাইনের বেশির ভাগ এলাকা, বিশেষ করে কিয়াউকফিউয়ের কাছাকাছি অঞ্চলের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে। ফলে এই অঞ্চলের চীনের স্বার্থগুলো সরাসরি প্রভাবিত হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে আরাকান আর্মিকে চীনের মিয়ানমার কৌশলে একটি গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড় করে তুলেছে।

সমর্থন এবং অস্ত্রের প্রবাহ

বিভিন্ন প্রতিবেদন এবং বিশ্লেষণে জানা যায়, চীন পরোক্ষভাবে আরাকান আর্মিকে সমর্থন করে। প্রধানত অস্ত্র সরবরাহ এবং আর্থিক সহায়তা দেয় বেইজিং। যদিও সরাসরি জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করে। আরাকান আর্মি চীনের তৈরি অস্ত্র ব্যবহার করে; যেমন ২০১৯ সালে মিয়ানমারের নৌবাহিনীর ওপর হামলায় ১০৭ মিমি ভূমি থেকে ভূমিতে নিক্ষেপযোগ্য রকেট এবং মিয়ানমার সামরিক বাহিনী কর্তৃক মিত্র গোষ্ঠীগুলোর কাছ থেকে জব্দ করা এফএন-৬ অ্যান্টি-এয়ারক্রাফট বন্দুক।

এই অস্ত্রগুলো ইউডব্লিউএসএর কাছ থেকে তারা পেয়েছে বলে ধারণা করা হয়। যারা চীনা নকশার অস্ত্র উৎপাদনের কারখানা পরিচালনা করে এবং চীনের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রাখে। ২০২০ সালে, ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা চীনের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছিল, তারা আরাকান আর্মি এবং অন্যান্য বিদ্রোহী গোষ্ঠীকে অস্ত্র সরবরাহ করছে। বেইজিংয়ের উদ্দেশ্য মূলত ভারতের কালাদান মাল্টি-মোডাল ট্রানজিট ট্রান্সপোর্ট প্রকল্পকে অস্থিতিশীল করা। যদিও বেইজিংয়ের সঙ্গে এমন অস্ত্র সরবরাহে সরাসরি সংযোগের সুনির্দিষ্ট প্রমাণ বিরল।

বিশ্লেষকেরা অনুমান করেন, আরাকান আর্মি তাদের তহবিলের ৯০ শতাংশই চীনা উৎস থেকে পায়। সম্ভবত ইউডব্লিউএসএর মতো প্রক্সির মাধ্যমে আসে এসব অর্থ ও অস্ত্র।

ভারসাম্য রক্ষার কৌশল: চীনের দ্বৈত পদ্ধতি

চীন মিয়ানমারে একটি দ্বৈত কৌশল অনুসরণ করে। নিজেদের স্বার্থ রক্ষায় সামরিক জান্তা (স্টেট অ্যাডমিনিস্ট্রেশন কাউন্সিল, এসএসি) এবং কিছু জাতিগত বিদ্রোহী গোষ্ঠী, যার মধ্যে আরাকান আর্মিও রয়েছে, উভয়কেই সমর্থন করে চীন। যদিও বেইজিং আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে এসএসিকে সমর্থন করে। যেমন ২০২৪ সালের নভেম্বরে জেনারেল মিন অং হ্লাইং-এর কুনমিং সফরে উচ্চপর্যায়ের বৈঠকের মাধ্যমে প্রমাণিত হয়, বেইজিং স্বার্থ সুরক্ষিত রাখতে জাতিগত গোষ্ঠীগুলোর সঙ্গেও যোগাযোগ রক্ষা করে।

তবে সাম্প্রতিক সময়ে রাখাইনে আরাকান আর্মির উত্থান এই ভারসাম্যকে জটিল করে তুলেছে। উত্তরাঞ্চলের জাতিগত বিদ্রোহী গোষ্ঠীর মতো মিয়ানমার ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক অ্যালায়েন্স আর্মিকে (এমএনডিএএ) চীন ২০২৪ সালে অপারেশন ১০২৭-এর পর যুদ্ধবিরতি মেনে চলতে বাধ্য করেছিল। বেইজিং তাদের তৎপরতা বন্ধ করার আহ্বান জানিয়েছিল। কিন্তু আরাকান আর্মি এর বিরোধিতা করেছে। বিশেষ করে শান রাজ্যে যুদ্ধবিরতি সত্ত্বেও রাখাইনে তারা আক্রমণ অব্যাহত রেখেছে। এই অবাধ্যতা আরাকান আর্মির ক্রমবর্ধমান স্বায়ত্তশাসন এবং স্থানীয় সমর্থনেরই নিদর্শন। মিয়ানমার সেনাবাহিনীর ওপর এই বিজয় আরাকান আর্মিকে সীমান্ত-সংলগ্ন গোষ্ঠীগুলোর তুলনায় চীনা প্রভাবের কাছে কম নমনীয় করে তুলেছে।

ভূরাজনৈতিক প্রভাব

আরাকান আর্মির কর্মকাণ্ডের আঞ্চলিক প্রভাবও রয়েছে। ২০২৪ সালের শেষের দিকে মিয়ানমার-বাংলাদেশ সীমান্তের নিয়ন্ত্রণ এবং ভারতের কালাদান প্রকল্পকে লক্ষ্যবস্তু করে আরাকান আর্মি। কিন্তু সেখানে তারা চীনা প্রকল্পগুলোতে হাত দেয়নি। ফলে এখানে ভারতীয় প্রভাবের বিরুদ্ধে চীনের সমর্থনের একটা জল্পনা তৈরি হয়েছে।

২০২৪ সালে আরাকান আর্মি রাখাইনে চীনা প্রকল্প এবং কর্মীদের সুরক্ষার আশ্বাস দেয়। তারা কিয়াউকফিউ আক্রমণ না করার অঙ্গীকার করে। এটি নিঃসন্দেহে চীন ও আরাকান আর্মির মধ্যে বাস্তববাদী সম্পর্কের পরিচয় দেয়। অর্থাৎ এটি নিছক আনুগত্যের মধ্যে আর সীমাবদ্ধ নেই।

বিশেষজ্ঞরা যুক্তি দেন, আরাকান আর্মি চীনের সমর্থনকে এসএসির বিরুদ্ধে তার অবস্থান শক্তিশালী করতে ব্যবহার করে। স্পষ্টত এখানে চীন আরাকান আর্মির অগ্রগতিতে ততক্ষণ পর্যন্ত সহ্য করে, যতক্ষণ তার বিনিয়োগ নিরাপদ থাকে। চলতি বছর আরাকান আর্মির আধিপত্য বৃদ্ধির সঙ্গে সম্পর্কের এই গতিপ্রকৃতি পরিবর্তিত হয়েছে। বেইজিংয়ে এমন একটি গোষ্ঠীর ওপর অতিমাত্রায় নির্ভরতা নিয়ে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। ধারণা তৈরি হয়েছে, বেইজিং এই গোষ্ঠীকে পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না।

সম্পর্কের উত্তেজনা এবং সীমাবদ্ধতা

এই সম্পর্কের মধ্যে উত্থানপতন ও উত্তেজনাও রয়েছে। আরাকান আর্মির রয়েছে জাতীয়তাবাদী অ্যাজেন্ডা। তারা রাখাইন স্বায়ত্তশাসন চায়। তাদের এই অবস্থান চীনের এসএসি নিয়ন্ত্রিত মিয়ানমারের জান্তা সরকারের পছন্দের সঙ্গে পুরোপুরি সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। ফলে এখানে চীনা স্বার্থ রক্ষার প্রক্রিয়াকে জটিল করে তুলেছে। ২০২৪ সালে এমএনডিএএর কমান্ডারকে আটক করার জন্য অন্যান্য জাতিগত গোষ্ঠীকে চাপ দেয় বেইজিং। কিন্তু আরাকান আর্মির প্রতি তার দৃষ্টিভঙ্গি নরম। এর কারণ হতে পারে, চীনের সীমান্ত থেকে রাখাইনের দূরত্ব এবং চীনা সম্পদের প্রতি আরাকান আর্মির কৌশলগত সংযম। অপরদিকে, বেইজিং জান্তা সরকারকে সমর্থন দিচ্ছে—এমন ধারণার প্রতিষ্ঠিত হওয়ায় জন্য মিয়ানমারে চীনবিরোধী মনোভাব বাড়ছে। এমনকি বিদেশেও প্রবাসীরা চীনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করছে। ফলে মিয়ানমারে বেইজিংয়ের ভাবমূর্তি বেশ জটিল হয়ে উঠেছে।

সংক্ষেপে বললে, আরাকান আর্মি-চীন সম্পর্ক পারস্পরিক সুবিধা দ্বারা নির্ধারিত। তাদের মধ্যে আছে কৌশলগত সতর্কতা এবং সংযম। চীন সম্ভবত তাদের পরোক্ষ সমর্থন দেয়। ইউডব্লিউএসএর মতো মধ্যস্থতাকারীদের মাধ্যমে তারা অস্ত্র ও টাকা পায়। মূলত রাখাইনে প্রভাব বজায় রাখতে এবং ভারতের মতো প্রতিদ্বন্দ্বীদের মোকাবিলা করতে চীন এটি করছে। আর সেই সুবাদে আরাকান আর্মি এসএসির বিরুদ্ধে লড়াই আরও শক্তিশালী করার রসদ পাচ্ছে।

তবে এটিও সত্য যে আরাকান আর্মির স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারার সক্ষমতা এবং স্থানীয় সমর্থন, নিজেদের শর্ত নির্ধারণে চীনের ক্ষমতাকে সীমিত করছে। এই আরাকান আর্মি মিয়ানমারের অন্যান্য অনুগত জাতিগত বিদ্রোহী গোষ্ঠীর চেয়ে আলাদা।

সর্বশেষ পরিস্থিতি যা, তাতে বলা যায়, সামগ্রিক অবস্থা এখনো ব্যাপক পরিবর্তনশীল। যুদ্ধক্ষেত্রে আরাকান আর্মির অগ্রগতি চীনকে মিয়ানমারের অস্থির পশ্চিমে তার অর্থনৈতিক এবং ভূরাজনৈতিক স্বার্থ রক্ষার জন্য কৌশল পুনর্বিবেচনা করতে বাধ্য করছে।

লিখেছেন: জাহাঙ্গীর আলম, জ্যেষ্ঠ সহসম্পাদক, আজকের পত্রিকা

ট্রাম্পের শুল্কের আঘাত মোকাবিলায় আসিয়ানের দ্বারস্থ চীন

শুল্কযুদ্ধে ট্রাম্পকে ধরাশায়ী করতে সির হাতে যত কৌশল

বাণিজ্যযুদ্ধে ট্রাম্পের আমেরিকাকে ঠেকাতে দীর্ঘমেয়াদি লড়াইয়ে তৈরি চীন

বড় হুংকার ছেড়ে হঠাৎ চুপসে গেলেন ট্রাম্প, পিছু হটলেন শুল্কযুদ্ধে

মধ্যপ্রাচ্যে সংঘাত: নেপথ্যে শত বছর আগের ‘গোপন চুক্তি’, নাকি অভ্যন্তরীণ রাজনীতি

ট্রাম্পের পাল্টা শুল্ক: তিন শিবিরে বিভক্ত দেশগুলো কে কোন পদক্ষেপ নিচ্ছে

ফিলিস্তিন নিয়ে আরব বিশ্বের নীরবতা বিশ্বাসঘাতকতা, নাকি দুর্বলতা

শুল্কযুদ্ধে কার ক্ষতি বেশি—চীন নাকি যুক্তরাষ্ট্রের

অলিগার্কদের রাষ্ট্র লুণ্ঠনের আখ্যান: প্রেক্ষিত বাংলাদেশ ও অন্যান্য

রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন নিয়ে আরাকান আর্মির আপত্তি ও শর্ত