হোম > বিশ্লেষণ

ফেসবুকের একচেটিয়া ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ কি অসম্ভব

গোলাম ওয়াদুদ

কোনো অনুষ্ঠান বা আয়োজন, বা কিছুই নয়, একা একা সময় পার করার সময় কোনো ছবি বা কিছু লিখে ফেসবুকে দিলেন, আর আপনার বন্ধুরা নানা লাইক, লাভসহ নানা প্রতিক্রিয়া দিচ্ছেন। একসময় আপনি নিজের অনুভূতি থেকে লেখা বা তোলা ছবিটির বদলে এই প্রতিক্রিয়ার দিকেই বেশি মনোযোগী হয়ে উঠলেন। এটা এখন খুবই পরিচিত একটি দৃশ্য। কথা হলো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের এতগুলো প্ল্যাটফর্ম থাকতে কেন শুধু ফেসবুকের নামই উল্লেখ করা হলো। করণ আর কিছুই নয়, এই ক্ষেত্রে ফেসবুকই একচেটিয়া। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ফেসবুকের এই আধিপত্য নিয়ে প্রশ্নও উঠেছে।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ফেসবুক আসলে কতটা প্রভাবশালী। ওয়েব ট্রাফিক বিশ্লেষক প্রতিষ্ঠান স্ট্যাটকাউন্টারের তথ্যের দিকে একটু তাকানো যাক। সেখানে বলা হচ্ছে, বিশ্বে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারকারীদের ৭১ দশমিক ৫ শতাংশই ফেসবুক ব্যবহার করেন। প্রতিযোগী অন্য প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে টুইটার ব্যবহার করে মোট ব্যবহারকারীর ১০ শতাংশের কিছু বেশি। এরপরই রয়েছে পিন্টারেস্ট, ইউটিউব ও ইনস্টাগ্রাম। এই তিন প্ল্যাটফর্মে রয়েছেন মোট ব্যবহারকারীর যথাক্রমে ৭ দশমিক ৩,৫ দশমিক শূন্য ১ ও ৪ দশমিক ২৭ শতাংশ। বাংলাদেশের ক্ষেত্রে ফেসবুক বলা যায় পুরোপুরি একচেটিয়া। বাংলাদেশের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারকারীদের প্রায় ৯০ শতাংশই ফেসবুক ব্যবহার করেন।

ফলে বোঝাই যাচ্ছে ফেসবুকের প্রভাব একেবারে প্রশ্নাতীত। প্রতিযোগিতার বাজারে কোনো প্রতিষ্ঠান প্রভাবশালী হয়ে উঠতেই পারে। এতে একচেটিয়াকরণের অভিযোগ ওঠার কী আছে? যদি কোনো প্রতিষ্ঠান অন্য প্রতিযোগীদের বাজার থেকে হটানোর চেষ্টা করে বা এমন কৌশল অবলম্বন করে তখনই, এই অভিযোগ ওঠে। ফেসবুকের বিরুদ্ধেও একই অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগটি আপাতত মার্কিন ফেডারেল আদালত খারিজ করে দিলেও প্রশ্নটি কিন্তু থেকে গেছে।

ফেসবুকের বিরুদ্ধে একচেটিয়াকরণের অভিযোগ তুলেছিল মার্কিন ফেডারেল ট্রেড কমিশন। এর সঙ্গে যোগ দিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্রের ৪০ টির বেশি অঙ্গরাজ্য। কিন্তু মামলাটি খারিজ করে দিয়েছেন ফেডারেল আদালত। বিচারক বলেছেন, ফেসবুকের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একচেটিয়া হয়ে ওঠার যে অভিযোগ করা হয়েছে, তা প্রমাণে ব্যর্থ হয়েছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীরা। তার চেয়েও বড় বিষয়, সংশ্লিষ্ট অঙ্গরাজ্যগুলো এ সম্পর্কিত মামলাটি করতে অনেক দেরি করেছে। ২০১২ ও ২০১৪ সালে ছোট ছোট প্রতিষ্ঠানকে কেনার মাধ্যমে ফেসবুক বাজারে নিজের আধিপত্য তৈরি করে। কিন্তু এর অনেক পরে গত বছর এ বিষয়ে মামলা করা হয়।

সেই মামলায় বলা হয়েছিল, ফেসবুক উঠতি প্রতিদ্বন্দ্বী কোম্পানিগুলোকে অবৈধভাবে নির্মূল করছে। যুক্তরাষ্ট্রের আইনে কোনো ব্যবসায় একচেটিয়া অধিকার ভোগ করার সুযোগ নেই। ফেসবুক এ আইন লঙ্ঘন করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের একচেটিয়া প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে।

এ সম্পর্কিত অ্যান্টি ট্রাস্ট আইনে করা মামলায় বলা হয়েছিল, ফেসবুক সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একচেটিয়া বিজ্ঞাপন নিয়ন্ত্রণ করছে। প্রতিযোগিতা মেনে না নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্যনীতির লঙ্ঘন করছে প্রতিষ্ঠানটি। আর এই কাঠামো ভেঙে দিতেই মামলায় আদালতের আদেশ প্রত্যাশা করছিল।

আরেক মামলায় ফেডারেল ও রাজ্য কর্তৃপক্ষের অভিযোগ ছিল, ফেসবুকের প্রতিদ্বন্দ্বী হয়ে দাঁড়িয়েছিল ইনস্টাগ্রাম ও হোয়াটসঅ্যাপ। এ কারণে এই দুই প্রতিষ্ঠানকেই কিনে নেয় ফেসবুক। তাদের সঙ্গে চুক্তির পর হোয়াটসঅ্যাপ ও ইনস্টাগ্রামের জনপ্রিয়তা আকাশচুম্বী হতে থাকে।

ফেসবুকও বেশ কৌশলী উত্তর দিয়েছে। তারা বলেছে, টিকটকের মত নতুন প্রতিদ্বন্দ্বী তাদের জন্য চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। ফেসবুক বিনা মূল্যে পরিষেবা দেয়। এর মাধ্যমে গ্রাহকের ক্ষতি কীভাবে হওয়া সম্ভব?

এই প্রশ্নের উত্তর দিতে ব্যর্থ হয়েছে বাদীপক্ষ। ফলে মামলাগুলো টেকেনি। বিচারক বলছেন, আরও বিশদ তথ্যসহ ফেডারেল ও অঙ্গরাজ্যগুলো আগামী ৩০ দিনের মধ্যে আবার চেষ্টা করতে পারে। আর এত তাড়াতাড়ি উভয় মামলা খারিজ হওয়া বিস্মিত হয়েছে রেগুলেটর ও ফেসবুকের নির্বাহীরা।

সারা বিশ্বে টেকজায়ান্টদের প্রভাব প্রতিপত্তি নিয়ে অনেক দিন ধরেই আলোচনা হচ্ছে। বলা হচ্ছে, ফেসবুকের মতো বড় প্রতিষ্ঠানগুলো এখন রাষ্ট্রের বিভিন্ন বিষয়েও নাক গলাচ্ছে। রাজনীতি, অর্থনীতি থেকে শুরু করে অনেক কিছুতেই তারা তাদের প্রভাববলয় বাড়াচ্ছে।

বিষয়টি প্রথম সামনে আসে ব্রেক্সিট গণভোটের সময়। সে সময়ই প্রথম, জনমত তৈরিতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের প্রভাবের বিষয়টি সামনে আসে। এই একই বিষয় আবার সামনে আসে ২০১৬ সালের নির্বাচনের সময়। ডোনাল্ড ট্রাম্পের মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে নির্বাচিত হওয়াটা সবাইকে বিস্মিত করেছিল। একই সঙ্গে এই নির্বাচিত হওয়ার ক্ষেত্রে ফেসবুকসহ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের অন্য প্ল্যাটফর্মগুলোর ভূমিকার বিষয়টিও আলোচনায় এসেছিল। সে সময় থেকেই ঘুরেফিরে বারবার বড় টেক প্রতিষ্ঠানগুলোয় লাগাম পরানোর বিষয়ে আলোচনা হচ্ছে।

অবশ্য এমন কোনো আলোচনা ছাড়াই বিশ্বের কয়েকটি দেশে ফেসবুকের মতো প্রতিষ্ঠানগুলো এক রকম নিষিদ্ধ বলা যায়। এ ক্ষেত্রে চীনের নামটি সবার আগে নিতে হয়। নিয়ন্ত্রিত সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের কথা উঠলে প্রথমেই আসে চীনের নাম। ফেসবুক বা টুইটারকে তারা নিজ দেশে ঢুকতে না দিয়ে নিজেরাই একটি প্ল্যাটফর্ম তৈরি করেছে। উইচ্যাট নামের সে প্ল্যাটফর্ম দেশটিতে জনপ্রিয়ও। আর এর মধ্য দিয়ে চীনের বড় বাজার ফেসবুক হারিয়েছে। শুধু উইচ্যাট নয় চীন নিজের জন্য এমনকি একটি সার্চ ইঞ্জিনও তৈরি করেছে। উইবু নামের সেই সার্চ ইঞ্জিনের কথা সবাই জানে।

এ ছাড়া যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাষ্ট্রের বাইরেও বেশ কয়েকবার ফেসবুকের প্রধান মার্ক জাকারবার্গকে হাজির হতে হয়েছে রাজনীতিসহ নানা বিষয়ে নিজের প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে প্রভাব খাটানোর অভিযোগের জবাব দিতে। মার্কিন কংগ্রেসেই তাঁকে হাজির হতে হয়েছে বেশ কয়েকবার। ফলে এই অভিযোগ এবং ফেসবুকের একচেটিয়া হয়ে ওঠা নিয়ে প্রশ্ন নতুন নয়। ফেসবুকসহ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও বড় টেক প্রতিষ্ঠানের লাগাম টেনে ধরার আলোচনা অনেক দিন ধরেই চলছে। কিন্তু মার্কিন ফেডারেল আদালতের সাম্প্রতিক এই রায় সে আলোচনায় বড় একটি ধাক্কা দিল।

তবে এ রায়ে দমে যাবেন না বলেই জানিয়েছেন নিউইয়র্কের অ্যাটর্নি জেনারেল লেটিশিয়া জেমস ও ফেডারেল ট্রেড কমিশনের প্রতিনিধিরা। তাঁরা বিচারকের সিদ্ধান্ত পর্যালোচনা করে আইনি বিকল্পের কথা ভাবছেন বলে জানিয়েছেন।

এদিকে এই রায়ে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ খুশি হবে—এটাই স্বাভাবিক। হয়েছেও তাই। কিন্তু এটি এমন এক মামলা, যা এর রায় ও এতে উভয় পক্ষের প্রতিক্রিয়া দিয়েই ঘটনাটি শেষ হচ্ছে না। শেষ না হওয়ার কারণ, এটি এক নতুন বাস্তবতা নিয়ে সিদ্ধান্তের ব্যাপার।

একটু খুলে বলা যাক। আজকের দুনিয়ার বাজার ব্যবস্থা ও এ সম্পর্কিত যাবতীয় আইন, বিধি কিংবা রেওয়াজ দাঁড়িয়ে আছে অ্যানালগ ভিতের ওপর। ডিজিটাল দুনিয়া, এর ফলে সৃষ্ট নতুন ধারার অর্থনীতির জন্য নিয়মকানুন এখনো কোনো আকার পায়নি। এদিকে ডিজিটাল দুনিয়া ক্রমে শক্তিশালী হচ্ছে। করোনা মহামারির মধ্যে এই ডিজিটাল দুনিয়াই কোনো কোনো ক্ষেত্রে একমাত্র বাস্তবতা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই সুযোগে এই খাতের প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের প্রভাববলয় বাড়াচ্ছে। তৈরি হচ্ছে নতুন নতুন সংঘাত, নতুন নতুন সংকট। কিন্তু অ্যানালগ দুনিয়ার আইন দিয়ে বর্তমান ভার্চ্যুয়াল দুনিয়ার শৃঙ্খলা ঠিক করা যাচ্ছে না। এটা এমন এক সন্ধিস্থল, যেখানে পুরোনো নিয়মগুলো রাখলেও চলে না, বাদও দেওয়া যায় না।

পুরোনো নিয়ম দিয়ে নতুন বাস্তবতাকে ব্যাখ্যা করতে যাওয়া বা একে নিয়ন্ত্রণ করতে যাওয়াটা সংকট আরও বাড়িয়ে তোলে। এ ক্ষেত্রেই যেমন, ফেডারেল আদালতের এই রায়ের পর ফেসবুকের হাতে কিছু নগদ নারায়ণ এসেছে। তাদের শেয়ারের দাম ৪ দশমিক ২ শতাংশ বেড়েছে বলে জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। প্রতিষ্ঠানটির বাজারমূল্য এরই মধ্যে ১ লাখ কোটি (ট্রিলিয়ন) ডলার পেরিয়েছে। অর্থাৎ পুরোনো নিয়মের ব্যর্থতার কারণে বাজারে ফেসবুকের প্রভাব আগের চেয়ে আরও বেড়েছে। এমনটিই হওয়ার কথা। 

এ অবস্থায় অ্যান্টি ট্রাস্ট আইনে সংশোধনী আনার কথা বলা হচ্ছে অনেক দিন ধরেই। কিন্তু এ ক্ষেত্রে মার্কিন আইনসভায় কিছু জটিলতা আছে। এ আইন পাস হতে হলে কংগ্রেসে থাকা উভয় দলের সমর্থন লাগবে। কিন্তু একটি ডোনাল্ড ট্রাম্প জমানা পেরোনোর পর দেশটিতে যেকোনো বিষয়েই দ্বিদলীয় ঐক্য প্রতিষ্ঠা আগের চেয়ে কঠিন হয়ে পড়েছে। ফলে মার্কিন কংগ্রেস, প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও প্রায় ৮৫ শতাংশ অঙ্গরাজ্য অ্যাপল, ফেসবুক, গুগলের মতো প্রতিষ্ঠানের লাগাম টেনে ধরতে যতই চাক না কেন, তা এত সহজ নয়।

মুক্তবাজার অর্থনীতির এই যুগে সবার জন্য সমান সুযোগের কথা বলা হলেও রাষ্ট্রের বিভিন্ন অঙ্গ নানা সময় বড় প্রতিষ্ঠানগুলোর পক্ষ নিয়ে এসব আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের ক্ষেত্রেও এর অন্যথা হয়নি। যুক্তরাষ্ট্রের আদালতগুলো বছরের পর বছর অ্যান্টিট্রাস্ট আইনের ব্যাখ্যা সংকুচিত করছে। ফলে এ সম্পর্কিত মামলার রায় সরকারের পক্ষে যাওয়ার সুযোগ অনেক কমেছে। এই পরিস্থিতিতে গত সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি পরিষদের জুডিশিয়ারি কমিটি ছয়টি বিল উপস্থাপন করেছে। এগুলো পাস হয়ে আসার ওপর এখন অনেক কিছু নির্ভর করছে।

অ্যান্টিট্রাস্ট আইনে সংশোধনী আনা কতটা কঠিন, তা আগেই বলা হয়েছে। তারপরও মার্কিন আইনপ্রণেতারা আশায় বুক বেঁধেছেন। তাঁদের আশা নতুন বাস্তবতার জন্য আইনটি হালনাগাদ করতে পারবেন তাঁরা; এ নিয়ে দ্বিদলীয় ঐকমত্যে পৌঁছানো সম্ভব হবে। শেষ পর্যন্ত কী হয়, তা এখনই বলা না গেলেও, এটা সহজেই বলা যায় যে, গোটা দুনিয়া এর চূড়ান্ত রায়ের দিকে তাকিয়ে আছে। কারণ, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এরই মধ্যে একটি বড় শক্তি হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে। অনেক ক্ষেত্রে সামাজিক অস্থিরতা উসকে দেওয়ার মতো ঘটনাও এর মাধ্যমে ঘটছে। এর সঙ্গে যদি বাজার নিয়ন্ত্রণের বা বাজারে মনোপলির প্রশ্নটি জড়িয়ে যায়, তবে তা নিশ্চিতভাবে চিন্তার কারণ। এই চিন্তায় কপালে ভাঁজ পড়েছে বিশ্বের প্রতিটি দেশের প্রশাসনেরই। সবাই যুক্তরাষ্ট্রের দিকে তাকিয়ে আছে, এর একটি নির্দেশনার জন্য।

হাসিনা পরবর্তী বাংলাদেশের ঘনিষ্ঠ পাকিস্তান, সম্পর্কের রসদ ভারতবিরোধিতা

বাংলাদেশ ও পাকিস্তান নিয়ে মার্কিন ‘দুমুখো নীতি’ শোধরাবেন কি ট্রাম্প

দিনে শান্তির কথা রাতে গাজায় হামলা, ইসরায়েল কি আদৌ যুদ্ধবিরতি চায়

ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কের টানাপোড়েন: সংকটে রোগী আর শিক্ষার্থীরা

বুলডোজার যেভাবে মোদির ভারতের প্রতীক হয়ে উঠল

ঢাকা-দিল্লি সম্পর্ক কি তবে ভারত-পাকিস্তান সম্পর্কে মোড় নেবে

আফগানিস্তানের তালেবান সরকারকে হঠাৎ কেন এত খাতির করছে ভারত

ট্রুডোর প্রতি কানাডীয়দের ভালোবাসা কীভাবে ফুরিয়ে গেল

ট্রাম্প কি সত্যিই গ্রিনল্যান্ড কিনতে চান, কিন্তু কেন

ফেসবুক-ইনস্টাগ্রাম থেকে ফ্যাক্ট-চেকিং সরিয়ে জাকারবার্গ কি ট্রাম্পের বশ্যতা স্বীকার করলেন

সেকশন