Ajker Patrika
হোম > বিশ্লেষণ

৩০ বছরে কী দিয়েছে বিশ্ব জলবায়ু সম্মেলন

আজকের পত্রিকা ডেস্ক

৩০ বছরে কী দিয়েছে বিশ্ব জলবায়ু সম্মেলন

সত্তরের দশক থেকে শুরু। এরপর জলবায়ু নিয়ে প্রতিবছরই জাতিসংঘ এবং বিশ্বের অনেক দেশ মত প্রকাশ করতে শুরু করে। প্রথম ধরিত্রী সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয় ১৯৯২ সালের জুনে, ব্রাজিলের রিও ডি জেনেরিওতে। এর মধ্য দিয়ে স্বাক্ষরিত হয় জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক জাতিসংঘ রূপরেখা ‘ইউএন ফ্রেমওয়ার্ক কনভেনশন অন ক্লাইমেট চেঞ্জ’ (ইউএনএফসিসিসি)। সিদ্ধান্ত হয় কাজের অগ্রগতি মূল্যায়নে প্রতিবছর অনুষ্ঠিত হবে ‘কনফারেন্স অব দ্য পার্টিজ’ বা কপ সম্মেলন। প্রথমটি অনুষ্ঠিত হয় ১৯৯৫ সালে জার্মানির বার্লিনে। এরপর ২৬টি কপ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

১৯৯২ সালের সম্মেলনের ৩০ বছর পেরিয়ে গেছে। এ সময়ে কী কী দিয়েছে এতগুলো সম্মেলন। সংবাদমাধ্যম গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনের আলোকে প্রাপ্তির খাতার সঙ্গে সিদ্ধান্তগুলো মিলিয়ে নেওয়া যাক—

শুরুটাই আসে ঘুরেফিরে

১৯৯৫ সালে ইউএনএফসিসিসির লক্ষ্যমাত্রা পূরণের পথ খোঁজার সিদ্ধান্ত নেন নেতারা। জলবায়ুর মতো গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে বিপজ্জনক হস্তক্ষেপ এড়াতে গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমনে নিষেধাজ্ঞার পরিকল্পনা করা হয়। ১৯৯৭ সালে জাপানের কিয়েটোতে প্রথমবারের মতো গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমনে লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করা হয়। বলা হয়, ২০১২ সালের মধ্যে নির্গমন ১৯৯২ সালের চেয়ে ৫ শতাংশ কমিয়ে আনা হবে। বাদ সাধে যুক্তরাষ্ট্র।

২০০৪ সালে আর্জেন্টিনার বুয়েন্স আয়ার্সে কিয়েটোকে ফিরিয়ে আনে রাশিয়া। কিন্তু সব হিসাবনিকাশ ঘুরে যায় চীনের উত্থানে। সবচেয়ে বেশি কার্বন নিঃসরণকারী দেশ হয়ে যায় চীন। ২০০৬ সালে ইন্দোনেশিয়ার বালিতেও রোডম্যাপ বানানো হলে বাদ সাধে যুক্তরাষ্ট্র। এবার তিরস্কার শুনতে হয় তাদের। এতে করে চুক্তিতে আসতে রাজি হয় দেশটি। ২০০৯ সালে ডেনমার্কের কোপেনহেগেনের সম্মেলনে যুক্তরাষ্ট্রসহ কয়েকটি দেশ ২০২০ সালের মধ্যে নিঃসরণ কমানোর কথা বললেও অনেকেই থেকে যায় চুক্তির বাইরে।

২০১৫ সালের প্যারিস সম্মেলন কিছুটা আশার মুখ দেখে। উন্নয়নশীল ও অনুন্নত দেশগুলোতে বিনিয়োগের প্রতিশ্রুতি দেয় ধনী দেশগুলো। আলোচনায় আসে বৈশ্বিক তাপমাত্রা। ১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে রাখার প্রতিশ্রুতি আসে। গত বছর স্কটল্যান্ডের গ্লাসগোতে শেষ সম্মেলনেও এসেছে চীন এবং ভারতের বাধা।

সামনে আর কী আছে

চলতি বছর জলবায়ু সম্মেলন হবে মিসরে। এরই মধ্যে ইউক্রেনে শুরু হয়ে গেছে যুদ্ধ। দেশে দেশে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্যস্ফীতির কারণে এবার জলবায়ুতে কতটা গুরুত্ব দেওয়া হবে, তা নিয়ে রয়েছে সংশয়। এখন উৎপাদন আরও জরুরি হয়ে পড়েছে। এ ছাড়াও মিসর কিছুটা রুশপন্থী হওয়ায় এবার আলোচনা থমকে যেতে পারে। লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে কোন দেশ কতটা এগিয়েছে, এর চেয়ে প্রতিশ্রুতিতেই সীমাবদ্ধ থাকবে সম্মেলন।

ভারতের আকাশে রুশ-মার্কিন দ্বৈরথ

মার্কিন সামরিক সহায়তা স্থগিত করায় ইউক্রেনের পরিণতি কী হতে পারে

যুক্তরাষ্ট্রের সরে দাঁড়ানোর শঙ্কা, আইএমএফ-বিশ্বব্যাংকে চীনের আধিপত্য বাড়ছে কি

আমেরিকা ছাড়া শুধু ইউরোপ কি পারবে ইউক্রেনকে রক্ষা করতে

প্রতিরক্ষায় যুক্তরাষ্ট্র-নির্ভরতা কমাতে কতটা সক্ষম ইউরোপ

ট্রাম্প-জেলেনস্কি দ্বন্দ্বে যুদ্ধ জয়ের চেয়েও বড় বিজয় পুতিনের

সেকেন্ড রিপাবলিক: সফলতার চেয়ে ব্যর্থতার নজির বেশি

একযোগে দুই পরাশক্তির চাপে ইউক্রেন

আইএমএফ ও শ্রীলঙ্কার স্বার্থের মধ্যে যেভাবে ভারসাম্য রেখে চলেছেন দিসানায়েকে

ভারতে ইলন মাস্কের টেসলা, উদ্বিগ্ন দেশীয় গাড়ি নির্মাতারা