হোম > বিশ্লেষণ

গাজায় আসল যুদ্ধ শুরুর আগেই ক্ষয়ক্ষতির মুখে ইসরায়েল

অনলাইন ডেস্ক

বিগত দিনগুলোর মতো আজ রোববার গাজার আকাশে ত্রাস সৃষ্টি করেছে ইসরায়েলি জেটবিমানগুলো। দেশটির সামরিক বাহিনীর তথ্য অনুসারে আজও গাজার উপকূলীয় বসতিগুলোর অন্তত ১২ হাজার লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত করা হয়েছে।

বিমান হামলার পাশাপাশি এক সপ্তাহ ধরে গাজার ভেতরে ঢুকে স্থল অভিযান পরিচালনা করছে ইসরায়েলি সেনারা। দেশটির প্রতিরক্ষা বাহিনী ধারণা করছে, এই অভিযান শেষ হতে কয়েক মাস সময় লেগে যাবে।

তবে চলমান স্থল অভিযানে এরই মধ্যে ইসরায়েলের ৩০ সেনা নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে আরও অসংখ্য। বলা হচ্ছে, গাজার ভেতরে ইসরায়েলি বাহিনী এখনো শহুরে যুদ্ধে প্রবেশ করেনি। তার আগেই হতাহতের এমন পরিসংখ্যানে ধারণা করা হচ্ছে, সামনের দিনগুলোতে ইসরায়েলি বাহিনী আরও অনেক বেশি ক্ষয়ক্ষতি এবং প্রাণহানির মুখোমুখি হবে।

সম্প্রতি ইসরায়েলি বাহিনীর হাতে আসা একটি নথির তথ্য অনুসারে, তারা এখনো গাজার ভেতরে থাকা হামাসের মূল বাহিনীর মুখোমুখি হয়নি। এর আগেই তারা তীব্র প্রতিরোধের মুখোমুখি হয়েছে।

সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে হামাসের আপলোড করা কয়েকটি ভিডিও চিত্রে দেখা গেছে, তারা ইসরায়েলি বাহিনীর বিখ্যাত মেরকাভা ট্যাংক, বুলডোজার ও সৈন্যদের বহন করা সাঁজোয়া যানগুলোর ওপর সফল হামলা পরিচালনা করছে। কিছু ক্ষেত্রে ইসরায়েলি সৈন্য ও সাঁজোয়া যান লক্ষ্য করে হামাস যোদ্ধারা খুব কাছাকাছি অবস্থান থেকে রকেট-চালিত গ্রেনেড ছুড়ছেন—এমন দৃশ্যও দেখা গেছে।

ইসরায়েলি বাহিনীর কাছে থাকা মেরকাভা-ফোর ট্যাংকটিকে বিশ্বের সবচেয়ে ভারী সাঁজোয়া যানগুলোর একটি হিসেবে বিবেচনা করেন বিশ্লেষকেরা। কিন্তু দেখা গেছে, এক হামাস যোদ্ধা বোমার সাহায্যে এ ধরনের একটি ট্যাংককে নিমেষেই নিষ্ক্রিয় করে দিয়েছে।

এ থেকেই বোঝা যাচ্ছে, সামনের দিনগুলোতে হামাস যোদ্ধাদের পেতে রাখা শহুরে গোলকধাঁধায় ইসরায়েলি বাহিনীর জন্য আরও কঠিন দিন অপেক্ষা করছে। শহুরে যুদ্ধে উঁচু ভবন থেকে হামলা ছাড়াও ভবনগুলোর নিচ দিয়ে যাওয়া টানেল থেকে ইসরায়েলি বাহিনীর ওপর আকস্মিক হামলাও পরিচালনা করতে পারেন হামাস যোদ্ধারা।

ওয়াশিংটন ইনস্টিটিউট ফর নিয়ার ইস্ট পলিসি নামের একটি থিংকট্যাংকের বিশ্লেষক মাইকেল নাইটসের তথ্য অনুসারে, গাজা শহরে ৬ তলা কিংবা তার চেয়ে বেশি উঁচু অন্তত ৬০টি ভবন রয়েছে। ইরাকের মসুল শহরে এত উঁচু ভবন না থাকার পরও দেশটির সেনাবাহিনী আইএস যোদ্ধাদের সঙ্গে টানা ৯ মাস ধরে রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ করতে হয়েছে।

আসন্ন দিনগুলোতে গাজা শহরের ভবনগুলোতে ইসরায়েলি বাহিনীকে হয় মুখোমুখি যুদ্ধ করতে হবে, নয়তো বিমান হামলা করে পুরো এলাকাকে সমতল করে দিতে হবে।

উল্লেখ্য, ইসরায়েলি সেনাবাহিনী দাবি করেছে, গাজার ভেতরে হামাস যোদ্ধাদের শক্তিশালী টানেল নেটওয়ার্ক ধ্বংস ও জিম্মিদের উদ্ধার করতে স্থল অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে।

আমিরাতভিত্তিক দ্য ন্যাশনালের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত ৭ অক্টোবর থেকে ইসরায়েলি হামলায় গাজায় সাড়ে ৯ হাজারের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। নিহতদের মধ্যে অর্ধেকের বেশি নারী ও শিশু।

হাসিনা পরবর্তী বাংলাদেশের ঘনিষ্ঠ পাকিস্তান, সম্পর্কের রসদ ভারতবিরোধিতা

বাংলাদেশ ও পাকিস্তান নিয়ে মার্কিন ‘দুমুখো নীতি’ শোধরাবেন কি ট্রাম্প

দিনে শান্তির কথা রাতে গাজায় হামলা, ইসরায়েল কি আদৌ যুদ্ধবিরতি চায়

ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কের টানাপোড়েন: সংকটে রোগী আর শিক্ষার্থীরা

বুলডোজার যেভাবে মোদির ভারতের প্রতীক হয়ে উঠল

ঢাকা-দিল্লি সম্পর্ক কি তবে ভারত-পাকিস্তান সম্পর্কে মোড় নেবে

আফগানিস্তানের তালেবান সরকারকে হঠাৎ কেন এত খাতির করছে ভারত

ট্রুডোর প্রতি কানাডীয়দের ভালোবাসা কীভাবে ফুরিয়ে গেল

ট্রাম্প কি সত্যিই গ্রিনল্যান্ড কিনতে চান, কিন্তু কেন

ফেসবুক-ইনস্টাগ্রাম থেকে ফ্যাক্ট-চেকিং সরিয়ে জাকারবার্গ কি ট্রাম্পের বশ্যতা স্বীকার করলেন

সেকশন