হোম > বিশ্লেষণ

ট্রাম্প, বিটকয়েন এবং মার্কিন ডলারের ভবিষ্যৎ

নতুন বাণিজ্য যুদ্ধ শুরু করে এবং বিটকয়েন রিজার্ভ তৈরির নির্দেশ দিয়ে ডোনাল্ড ট্রাম্প ধরে নিচ্ছেন, যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্যিক অংশীদারেরা আমেরিকান বাজারে প্রবেশাধিকার ধরে রাখতে যেকোনো মূল্য দিতে প্রস্তুত। কিন্তু যদি তাঁর এই অনুমান ভুল প্রমাণিত হয়, তাহলে মার্কিন ডলারের আধিপত্য এবং এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সব সুবিধা অনির্দিষ্টকালের জন্য হারিয়ে যেতে পারে। মার্কিন অর্থনীতি ও ডোনাল্ড ট্রাম্পের জুয়া নিয়ে প্রজেক্ট সিন্ডিকেটে লিখেছেন কানাডার ইউনিভার্সিটি অব টরন্টোর রাষ্ট্রবিজ্ঞানের অধ্যাপক কারলা নরলফ। আজকের পত্রিকার পাঠকদের জন্য লেখাটি অনুবাদ করেছেন আব্দুর রহমান

অনলাইন ডেস্ক

ট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদের প্রেসিডেন্সিতে ডলার ও বিটকয়েনের ভবিষ্যৎ আসলে কোন দিকে। ছবি: সংগৃহীত

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গত ৬ মার্চ এক নির্বাহী আদেশে ‘ডিজিটাল স্বর্ণ’ হিসেবে বিটকয়েন রিজার্ভের নীতি ঘোষণা করেন। এই আদেশের ফলে যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোর জব্দ করা বিটকয়েন দিয়ে এই রিজার্ভ গড়ে তোলা হবে। বাজারে বিটকয়েনের মোট ২১ মিলিয়ন কয়েন রয়েছে। আর এই সীমিত কয়েনের সুবিধা নিয়ে ট্রাম্প প্রশাসন চায় যুক্তরাষ্ট্রকে উদীয়মান এই ডিজিটাল মুদ্রার মূল্য সংরক্ষণের ক্ষেত্রে প্রথম সারির মালিক হিসেবে প্রতিষ্ঠা করে কৌশলগত সুবিধা নিতে। তবে, কেবল জব্দ করা বিটকয়েন দিয়ে কাঙ্ক্ষিত পরিমাণ অর্জন সম্ভব নয়। এ কারণে যুক্তরাষ্ট্র উন্মুক্ত বাজার থেকেও বিটকয়েন কিনতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

যুক্তরাষ্ট্র একা নয়। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সরকার ক্রমবর্ধমান হারে বিটকয়েনকে রিজার্ভ ‘সম্পদ’ হিসেবে বিবেচনা করছে। ব্রাজিলের কংগ্রেসম্যান ইরোস বিওনদিনি একটি প্রস্তাব উত্থাপন করেছেন, যাতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক বিটকয়েন সংগ্রহে বাধ্য করা হয় এবং যতক্ষণ না সংগৃহীত বিটকয়েনের মূল্য দেশের মোট রিজার্ভের ৫ শতাংশ হচ্ছে, ততক্ষণ কয়েন সংগ্রহ চলতে থাকবে।

একই সময়ে ভুটান বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ বিটকয়েনের ধারক হয়ে উঠেছে। দেশটির গেলেফু মাইন্ডফুলনেস সিটি এই ক্রিপ্টোকারেন্সিকে কৌশলগত রিজার্ভ হিসেবে সংরক্ষণ করছে। এল সালভাদরের প্রেসিডেন্ট নায়িব বুকেলে কৌশলগত রিজার্ভ হিসেবে বিটকয়েন কেনা অব্যাহত রেখেছেন, আর হংকংয়ে আইনপ্রণেতারা নগররাষ্ট্রটির সরকারি রিজার্ভে বিটকয়েন যুক্ত করার প্রস্তাব উত্থাপন করেছেন।

গুঞ্জন আছে, চীন গোপনে বিটকয়েন রিজার্ভ গড়ে তুলছে। সম্প্রতি সুইজারল্যান্ডেও এক জনপ্রিয় উদ্যোগ গৃহীত হয়েছে। এই উদ্যোগ সুইস ন্যাশনাল ব্যাংককে তাদের রিজার্ভে বিটকয়েন অন্তর্ভুক্ত করার ব্যাপারে বাধ্যবাধকতা আরোপের চেষ্টা করেছে। তবে সুইজারল্যান্ডের প্রেসিডেন্ট মার্টিন শ্লেগেল বিটকয়েনের উচ্চমূল্য, অস্থিরতা, তারল্য ও নিরাপত্তাসংক্রান্ত ঝুঁকির কথা উল্লেখ করে এই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছেন।

কিন্তু রিজার্ভ বাড়ানোর ক্ষেত্রে এই মুদ্রা বৈচিত্র্যকরণের যে সিদ্ধান্ত যুক্তরাষ্ট্র নিয়েছে, তাতে দেশটির ফিয়াট মুদ্রা অর্থাৎ, ডলারের বৈশ্বিক আধিপত্যের ভবিষ্যৎ নিয়ে গুরুতর সংশয় তৈরি হচ্ছে। যদি আরও বেশি দেশ বা প্রতিষ্ঠান ডলারের পরিবর্তে বিটকয়েন সংরক্ষণ করার সিদ্ধান্ত নেয়, তাহলে দীর্ঘ মেয়াদে বিশ্বজুড়ে ডলার সংরক্ষণের চাহিদা কমে যেতে পারে। একটি প্রতিদ্বন্দ্বী মুদ্রাকে রিজার্ভ মাধ্যম হিসেবে বৈধতা দেওয়া ডলারের প্রতি আস্থাকে দুর্বল করতে পারে, যা আমেরিকার বৈশ্বিক রিজার্ভ মুদ্রার মর্যাদা এবং এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সুবিধাগুলো ক্ষুণ্ন করবে।

আন্তর্জাতিক বাজারে ডলারের শক্তিশালী চাহিদা না থাকলে যুক্তরাষ্ট্র তার ‘অতিরিক্ত সুবিধা’—অর্থাৎ, স্বল্প সুদে ঋণ গ্রহণ ও মুদ্রা ছাপানোর ক্ষমতা—হারানোর ঝুঁকিতে পড়বে। তাই, বিটকয়েন সমর্থন করা এবং একই সঙ্গে ডলারের আধিপত্য বজায় রাখা যুক্তরাষ্ট্রের জন্য অত্যন্ত সূক্ষ্ম ভারসাম্য রক্ষার বিষয়।

বিটকয়েন নীতির পাশাপাশি ট্রাম্প প্রশাসন মার্কিন বাণিজ্য নীতিতেও মৌলিক পরিবর্তন আনছে। তারা কানাডা ও মেক্সিকো থেকে আমদানি করা পণ্যের ওপর ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছে। চীনা পণ্যের ওপর শুল্ক বাড়িয়েছে, যার ফলে দেশটির পণ্যের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের গড় শুল্ক হার বেড়ে ৩৯ শতাংশে পৌঁছেছে। কেবল তাই নয়, যুক্তরাষ্ট্র ইউরোপীয় কৃষিপণ্যের বিরুদ্ধে একই ধরনের পদক্ষেপের হুমকি দিয়েছে। এসব নীতি এরই মধ্যে বাজারে অস্থিরতা সৃষ্টি করেছে। শুল্ক আরোপের হুমকির পর কার্যকর করা নিয়ে বারবার বিলম্ব ও পরিবর্তনের কারণে সংকট আরও প্রকট হয়েছে এবং এর ফলে প্রতিকার—বলা ভালো প্রতিশোধমূলক—ব্যবস্থাও নেওয়া হয়েছে অন্য দেশগুলোর তরফ থেকে।

কানাডা ও মেক্সিকো যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্যর ওপর ব্যাপকভাবে নির্ভরশীল হওয়ায় মার্কিন শুল্ক দেশটি দুটির রপ্তানির পরিমাণ ও ডলারের প্রবাহ কমিয়ে দিয়েছে, যার ফলে তাদের মুদ্রা দুর্বল হয়েছে। বিপরীতে, চীনের রপ্তানি খাত অধিক বৈচিত্র্যময় এবং তাদের নিয়ন্ত্রিত মুদ্রানীতি শুল্কের প্রভাব মোকাবিলা করতে ও চীনা মুদ্রা রেনমিনবি তথা ইউয়ানের মান ধরে রাখতে সক্ষম। এ ছাড়া, যুক্তরাষ্ট্র চীনের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ কাঁচামাল আমদানি করায় শুল্কের ফলে উৎপাদন ব্যয় বেড়ে যাবে, যা শেষ পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রেই ভোক্তা পর্যায়ে পণ্যের দাম বাড়াবে ও মুদ্রাস্ফীতি বাড়িয়ে দেবে। একই সঙ্গে ডলারের আকর্ষণও হ্রাস করবে।

এ ছাড়া, বাজারে মার্কিন পণ্য কেনার জন্য ডলারের প্রবাহ কমে যাওয়ায় ট্রাম্পের নীতি বাজারে অনিশ্চয়তা তৈরি করেছে এবং এর ফলে যুক্তরাষ্ট্রের বাজারের প্রতি আস্থা কমেছে। তাঁর হুমকির কারণে ইউরোপীয় ইউনিয়ন এরই মধ্যে রিজার্ভ মুদ্রার বৈচিত্র্য বাড়ানোর বিষয়টি বিবেচনা করছে এবং বিকল্প বাজারের সন্ধান করছে। ডলারের মাধ্যমে সম্পদ ধরে রাখার প্রবণতা কমে যাওয়ায় ডলারের মান দুর্বল হতে শুরু করেছে।

ডলারের বৈশ্বিক অবস্থানকে ঝুঁকির মুখে না ফেলে যুক্তরাষ্ট্র কি সত্যিই বিটকয়েনকে কৌশলগত রিজার্ভ হিসেবে গ্রহণ করতে পারবে এবং সেই অনুযায়ী বাণিজ্যনীতি অনুসরণ করতে পারবে? বিভিন্ন দেশ সাধারণত ডলার ছাড়াও ইউরো, জাপানি ইয়েন, ব্রিটিশ পাউন্ড স্টার্লিং বা সোনার মতো একাধিক রিজার্ভ সম্পদ ধরে রাখে। তবে বিটকয়েনের অনন্য, বিকেন্দ্রীকৃত কাঠামো এবং সীমিত সরবরাহ একে এসব প্রচলিত সম্পদের তুলনায় সম্পূর্ণ আলাদা করে তুলেছে। যুক্তরাষ্ট্র যদি আনুষ্ঠানিকভাবে এটিকে সমর্থন করে, তাহলে দেশটি অনিচ্ছাকৃতভাবেই বৈশ্বিক রিজার্ভ হিসেবে ডলার থেকে দূরে সরে যাওয়ার প্রবণতাকে ত্বরান্বিত করতে পারে।

ট্রাম্প ও তাঁর দল মনে করছে যে, অন্যান্য শক্তি সক্রিয় হবে। কারণ, বিদেশিরা মার্কিন অর্থনীতির ওপর অস্বাভাবিকভাবে নির্ভরশীল। তাদের ধারণা, প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে বিদেশি উৎপাদকেরা কম দামে পণ্য বিক্রি করতে বাধ্য হবে, অথবা মার্কিন শুল্কের প্রভাব সামলাতে বিদেশি মুদ্রার মান পড়ে যাবে, ফলে এই বোঝা আমেরিকান ভোক্তা ও উৎপাদকদের পরিবর্তে বিদেশিদের ওপর চাপবে।

এটি হলো তথাকথিত ‘মার-এ-লাগো চুক্তির’ পেছনের চিন্তাধারা। এই ‘মার-এ-লাগো চুক্তি’ ট্রাম্প প্রশাসনের এমন এক কৌশল, যার মাধ্যমে শাস্তিমূলক শুল্ক আরোপ করে ডলারের মান দুর্বল করা, যুক্তরাষ্ট্রের ঋণের খরচ কমানো এবং উৎপাদন বৃদ্ধি করা সম্ভব, তাও আবার ডলারের বৈশ্বিক আধিপত্য বজায় রেখেই। ‘প্লাজা চুক্তি’ বা ‘লুভর চুক্তির’ মতো চুক্তিতে প্রধান অর্থনীতির দেশগুলো একে অপরের মুদ্রার বিনিময় হারের সমন্বয় করার জন্য সম্মত হয়েছিল। কিন্তু, যুক্তরাষ্ট্র এখন তার প্রধান বাণিজ্যিক অংশীদার এবং বিদেশি কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলোকে ডলারের বিপরীতে তাদের মুদ্রার মান দুর্বল করতে বাধ্য করছে, যা শেষ পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনৈতিক স্বার্থকেই সুবিধা দিচ্ছে। তবে, যদি এই অর্থনৈতিক অংশীদারেরা সহযোগিতা করতে অস্বীকার করে তাহলে এই পরিকল্পনা ভেস্তে যেতে পারে এবং চুক্তির সব লক্ষ্য বিঘ্নিত হতে পারে।

ট্রাম্পের এই কৌশলের অনেকটাই ২০২৪ সালের নভেম্বরের প্রকাশিত এক প্রতিবেদনের ওপর ভিত্তি করে প্রস্তুত করা। ট্রাম্পের অর্থনৈতিক উপদেষ্টা পরিষদের চেয়ারম্যান স্টিফেন মিরান এই প্রতিবেদনটি লিখেছেন। তিনি প্রস্তাব করেছেন যে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আমদানি থেকেও রাজস্ব সংগ্রহ করতে পারে, তবে এটি ভোক্তাদের জন্য অত্যধিক উচ্চ মূল্য সৃষ্টি না করার জন্য মেপে মেপে শুল্ক আরোপ করবে।

মার্কিন সরকার এমন দেশগুলোর ওপর আমদানি শুল্ক আরোপ করবে যারা মার্কিন ডলারের রিজার্ভ স্ট্যাটাস থেকে উল্লেখযোগ্যভাবে লাভবান হয় এবং এই লাভ যুক্তরাষ্ট্রের দিকে প্রবাহিত না হয়ে অন্য কোনো দেশকে লাভবান করছে। আর এই লাভ থেকেই যুক্তরাষ্ট্র কিছুটা লাভবান হতে চায়। দেশের বাজারে মূল্যস্ফীতি ঠেকাতে মিরান বিভিন্ন মুদ্রার মানের ওঠানামা নিয়ন্ত্রণের পরিকল্পনা করেছেন। কূটনৈতিক ও আর্থিক ব্যবস্থার মাধ্যমে, বিদেশি কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলোকে মেয়াদি সুদের হার কমাতে বা বিদেশি মুদ্রার অদল-বদলের মাধ্যমে মার্কিন মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্টা করা হতে পারে।

ফলে, কোনো দেশ যদি মার্কিন বাজারে প্রবেশাধিকার বজায় রাখতে চায়, তাহলে তাদের এই মূল্য পরিশোধ করতে হবে। এই ট্রাম্প এই মূল্য পরিশোধকে যুক্তরাষ্ট্রের বিশেষ অধিকার বলে মনে করেন। তাঁর মতে, মার্কিন বাজারে প্রবেশাধিকার অর্জন করে নিতে হয়।

ট্রাম্প প্রশাসন অপ্রতিষ্ঠিত দেশগুলোর ওপর শুল্ক বাড়িয়ে দেবে। মূলত, দেশগুলোকে মার্কিন ডলারের কাঠামোগত খরচের একটি অংশ বহন করতে বাধ্য করা হবে অথবা মার্কিন নিরাপত্তা ও অর্থনৈতিক উদ্দেশ্যগুলোর সঙ্গে আরও ঘনিষ্ঠভাবে সামঞ্জস্য করতে বাধ্য করবে। ফলে একটি ‘মানদণ্ড’ তৈরি হবে, যার ভিত্তিতে যুক্তরাষ্ট্র দেশগুলোর ওপর শুল্ক নির্ধারণ করবে। মিরানের মতে, সাবধানে সামঞ্জস্যপূর্ণ শুল্ক এবং মুদ্রা বিনিময় হার ব্যবস্থাপনা ডলারের বৈশ্বিক ভূমিকা আরও শক্তিশালী করবে, একই সঙ্গে সরকারের রাজস্ব বাড়াবে।

এটি ভালো চিন্তা। তবে, মার-এ-লাগো চুক্তি এবং বিটকয়েনকে রিজার্ভ মুদ্রা হিসেবে গ্রহণের কারণে এই চিন্তা ও প্রক্রিয়া বিপর্যস্ত হতে পারে। প্রকৃতপক্ষে, বিকল্প রিজার্ভ ‘অ্যাসেট বা সম্পদে’ সমর্থন ডলারের আধিপত্যের বিরুদ্ধে চ্যালেঞ্জের পথ খুলে দেবে। ট্রাম্পের বাণিজ্য যুদ্ধ ধরেই নেয় যে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অংশীদারেরা ওয়াশিংটনের দেখানো পথে চলবে। কিন্তু যদি তারা মার্কিন বাজার থেকে আলাদা হতে শুরু করে, বিকল্প বাণিজ্য বা নিরাপত্তা জোট খোঁজে, অথবা বিটকয়েন বা অন্যান্য মুদ্রা গ্রহণ করে বৃহৎ পরিমাণে রিজার্ভ বৈচিত্র্যের জন্য, তাহলে সবকিছুই বদলে যেতে পারে।

অনুবাদক আজকের পত্রিকার সহ–সম্পাদক

রাশিয়ার সঙ্গে মিয়ানমারের চুক্তি সারা, ট্রাম্পও কি জান্তার সঙ্গে হাত মেলাবেন

টেসলা ও স্টারলিংক ভারতে কতটা সুবিধা করতে পারবে

নরেন্দ্র মোদির ‘সবার আগে প্রতিবেশী’ নীতি কেন ব্যর্থ হলো

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে কোন পক্ষকে কতটা ছাড় দিতে হবে

নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে ট্রাম্পের বাণিজ্য যুদ্ধ—পরিণাম কী হবে

যুক্তরাষ্ট্রে অর্থনৈতিক মন্দা কী আসন্ন

চ্যাটবট থেকে বুদ্ধিমান খেলনা: এআই বাজারে অভাবনীয় আধিপত্যের পথে চীন

ঐতিহ্য ভুলে মার্কিন স্বার্থের কাছে নতি স্বীকার করছে ভারত

সৌদি আরব কেন ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে আলোচনার আয়োজন করেছে

কী কারণে ইউক্রেনে আক্রমণ করেছিলেন পুতিন