গত সপ্তাহে ইরানের ব্যাপক ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলার জবাব যে কোনোভাবে দেওয়া হবে, তা ইসরায়েল স্পষ্ট করেই বলেছিল। সম্ভবত সেই ঘোষণার প্রতিফলন আজ শুক্রবার ঘটে গেল।
ইসরায়েল প্রতিশোধ হিসেবে দেশটিতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় বলে মার্কিন কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে সকালে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে খবর আসে। ইস্পাহানের কাছে বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। এরপর ক্ষেপণাস্ত্রবিধ্বংসী আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা চালু করা হয়।
তবে ইরান বলছে, ক্ষেপণাস্ত্র নয়, ইসরায়েল ড্রোন হামলা চালিয়েছিল। তার বেশ কয়েকটি ধ্বংস করা হয়েছে। হামলার পরপর ইরানের বেশ কয়েকটি শহরে ফ্লাইট চলাচল বন্ধ রাখা হয়। কয়েক ঘণ্টা পর ধীরে ধীরে ফ্লাইট আবার চালু হচ্ছে। ইরানি গণমাধ্যম বলছে, ইস্পাহান নিরাপদ ও অক্ষত আছে। দেশটির পরমাণু স্থাপনারও কোনো ক্ষতি হয়নি।
বিবিসির নিরাপত্তা বিশ্লেষক ফ্রাংক গার্ডনার বলছেন, ‘হামলার পর ইস্পাহানের কোনো ক্ষতি হয়েছে বলে শোনা যায়নি, সকালের পরিস্থিতি মোটামুটি স্বাভাবিকই ছিল। এই হামলার মধ্য দিয়েই যদি ইসরায়েলের জবাব শেষ হয়ে যায়, তাহলে বলতে হবে ব্যপ্তি ও লক্ষ্য বিবেচনায় তা খুব সীমিত।’
গত সপ্তাহে নজিরবিহীন হামলায় ইসরায়েলের আকাশে তিন শতাধিক ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ে ইরান, যেগুলোর প্রায় সব আকাশেই ধ্বংস করার দাবি করেছে ইসরায়েল। ইসরায়েল পাল্টা হামলার ঘোষণা দিলে ইরান উচ্চ সতর্ক অবস্থায় ছিল।
এর মধ্যে প্রায় সপ্তাহজুড়ে যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেনসহ ইসরায়েলের পশ্চিমা মিত্ররা ইরানের হামলার জবাবে বড় ধরনের হামলা না চালাতে আহ্বান জানিয়ে আসছিল।
নাটকীয় উত্তেজনা তৈরি করলেও বাস্তবে ইরানের হামলা ছিল প্রতিশোধের। কারণ ১ এপ্রিলেই দামেস্কে ইরানের কনসুলেটে নজিরবিহীন বিমান হামলা চালায় ইসরায়েল। ওই হামলায় ইরানের দুই শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তাসহ ১৩ জন নিহত হন।
এখন পরবর্তী ঘটনাপ্রবাহ কোন দিকে মোড় নেবে, তা দুটি বিষয়ের ওপর নির্ভর করবে বলে মনে করেন ফ্রাঙ্ক গার্ডনার। প্রথমত, এটাই ইসরায়েলের শেষ হামলা কি না এবং ইরান পাল্টা হামলা চালাবে কি না।