শিল্প-সাহিত্য ডেস্ক
সুকুমার রায় এক অমর সাহিত্যিক। আজ ১০ সেপ্টেম্বর এই বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী মানুষটির প্রয়াণ দিবস। এক এক করে পেরিয়ে গেছে তাঁর মৃত্যুর ১০০টি বছর। সুকুমারের নিজের ভাষায়—
‘দেহ নহে মোর চির নিবাস, দেহের বিনাশে নাহি বিনাশ’
এ কথাটি যে সত্য, তার প্রমাণ তিনি নিজেই। কেননা তাঁর মৃত্যুর ১০০ বছর পরে এসেও তিনি সমানতালে আলোচিত। সমগ্র বাংলা শিশুসাহিত্যের তিনিই একমাত্র সম্রাট। শিশু-কিশোরের মনোজগতে তিনি সূর্যের মতো বিরাজমান। সুকুমার রায়ের ছড়া, আঁকা, লেখার সঙ্গে পরিচিত নয় এমন শিশু-কিশোর বোধ করি কমই আছে। আজকের প্রতিটি যুবা-বৃদ্ধের শিশুবেলার স্মৃতিতে অম্লান তাই সুকুমার রায়। তবে সুকুমারের হ য ব র ল আর আবোল তাবোল-এর মন ছুঁয়ে যাওয়া হাস্যরস নিয়ে মেতে থাকলেও তিনি গদ্য-পদ্যেও রেখেছেন বিশেষ অবদান। সেসবের মাধ্যমে তুলে ধরেছেন নানা বিষয়-আশয়। লিখেছেন কয়েকটি মূল্যবান প্রবন্ধও। সেসব প্রবন্ধে যেমন চিন্তার সঙ্গে ভাষার যোগ, ধর্ম-বিজ্ঞানের চিরন্তন জিজ্ঞাসা, দ্বন্দ্ব নিয়ে আলোচনা আছে, তেমনি শিল্পের অত্যুক্তি, ভারতীয় চিত্রশিল্প নিয়ে তাঁর ভাবনার পরিসর। এসব প্রবন্ধে ভাব-ভাবনা ভাষার দ্বৈরথে রয়েছে আধুনিকতা।
সুকুমার রায়ের স্মরণে আজকের পত্রিকার শিল্প-সাহিত্যে বিভাগে গল্প, গদ্য ছড়া নিয়ে থাকছে বিশেষ আয়োজন।