গাজীপুরে সাবেক মুক্তিযুদ্ধ বিষয়কমন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হকের বাসায় হামলা ও ভাঙচুর চালানোর সময় স্থানীয়দের মারধরে অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছে। তাঁদের হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। গাজীপুর মহানগর পুলিশের সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আরিফুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
স্থানীয় সূত্র জানায়, শুক্রবার (৭ ফেব্রুয়ারি) রাত ১০টার দিকে গাজীপুর মহানগরের ধীরাশ্রম দক্ষিণখানে মোজাম্মেল হকের বাড়িতে ভাঙচুরের সময় এলাকাবাসী টের পেয়ে তাঁদের পিটুনি দেয়।
গাজীপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আরিফুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, অর্ধ শতাধিক যুবক ভাঙচুর চালাতে থাকলে ‘ডাকাত ডাকাত’ বলে এলাকাবাসী একজোট হয়ে বাড়ি ঘেরাও করে তাঁদের বেধড়ক পেটায়। এতে অন্তত ১৫ জন আহত হয়।
তিনি আরো বলেন, ‘আহতরা বয়সে সবাই তরুণ। তাঁদের বেশিরভাগ শহীদ তাজউদ্দীন আহমেদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে। কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে শুনেছি।’
ওসি আরিফুর রহমান জানান, ১৫ জনকে উদ্ধার করে শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। আশঙ্কাজনক অবস্থায় ৪ জনকে ঢাকা মেডিকেলে পাঠানো হয়েছে। তাদের মধ্যে সিয়াম নামে একজনের অবস্থা গুরুতর।
স্থানীয়রা জানান, শুক্রবার রাত ১০টার দিকে মোজাম্মেল হকের বাড়িতে কতিপয় লোকজন হামলা করতে আসে। এসময় ডাকাত আক্রমণ করেছে- এমন প্রচার দিলে স্থানীয় লোকজন এগিয়ে এসে হামলাকারীদের আটক করে মারধর করে।
খবর পেয়ে গাজীপুর মহানগর পুলিশ ও সেনা সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। রাত ১১টার দিকে আহত ১৫ জনকে গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দিন আহমেদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আনা হয়। আহতদের শরীরের বিভিন্ন স্থানে রক্তাক্ত জখম দেখা যায়।
শহীদ তাজউদ্দীন আহমেদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আবাসিক চিকিৎসক শেখ ফরহাদ জানান, ১১টা পর্যন্ত গুরুতর আহত অবস্থায় ১৫ জনকে হাসপাতালে আনা হয়েছে। আরো রোগী আসছে। তাদের শরীরে বিভিন্ন জায়গায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তাদেরকে জরুরি বিভাগে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।