নিজস্ব প্রতিবেদক
ঢাকা: ফোনে এসএমএস পেয়ে দ্বিতীয় ডোজের টিকা নিতে আজ মঙ্গলবার মুগদা জেনারেল হাসপাতালে আসেন শামীম হোসাইন (৫২)। কিন্তু ফেরত যেতে হয়েছে তাকে। হাসপাতাল থেকে বলা হয়, টিকার মজুত শেষ। এ নিয়ে ক্ষুব্ধ হতাশ শামীম। তিনি বলেন, গতকাল সোমবার দ্বিতীয় ডোজের টিকা নিতে আমার ফোনে একটি এসএমএস আসে। সে অনুযায়ী হাসপাতালে এলে বলা হয় টিকা নেই। তাহলে কেন আসতে বলা হলো?
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে হাসপাতালের পরিচালক অসীথ কুমার নাথ আজকের পত্রিকাকে বলেন, দ্বিতীয় ডোজের টিকা এখন প্রায় শেষের দিকে। যতটুকু আছে, একেবারে সম্মুখযোদ্ধা ছাড়া দিতে নিষেধ করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। তাই আমরা চাইলেও দিতে পারছি না। যারা বার্তা পেয়েও ফিরে গেছেন তাদের কাছে আমরা দুঃখপ্রকাশ করছি। নতুন করে আর কাউকে বার্তা দেওয়া হবে না।
টিকা নিতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) এসে একইভাবে ফিরে যেতে হয়েছে নাজুমল ইসলাম অভিকে (৪৭)। পরপর দুদিন এসে তিনি দেখেন নোটিশ দিয়ে কার্যক্রম বন্ধ রাখা হয়েছে।
অভির মতো অনেকে আজ এই হাসপাতালে এসে টিকা না পেয়ে ফিরে গেছেন। অনেকে এসএমএস না পেলেও নির্দিষ্ট সময় হওয়ায় নিজ থেকে সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রে টিকা নিতে আসছেন। কিন্তু টিকা সংকটে এরই মধ্যে অনেক কেন্দ্রেই কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। কবে টিকা পাবেন কিংবা এসএমএস দিয়ে পরে জানানো হবে কি–না এসবের কিছুই জানেন না তারা।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলছে, মজুত থাকা টিকা শেষ হয়ে যাওয়ায় কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। তবে এখনো কিছু টিকা আছে, যা বিশেষ ব্যক্তিদের দেওয়া হচ্ছে বলে জানান হাসপাতালের একজন কর্মকর্তা।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে বিএসএমএমইউয়ের উপাচার্য ডা. শারফুদ্দিন আহমেদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, যেহেতু আমাদের হাতে টিকা নেই, তাই কার্যক্রম বন্ধ রাখা হয়েছে। ভারতসহ অন্যদেশ থেকে সরকার টিকা আনার চেষ্টা করছে, আসলে দেওয়া হবে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের দেওয়া তথ্যমতে, এখন পর্যন্ত দুই ডোজ মিলে ৯৫ লাখ ৭৬ হাজার ৯৩৫ ডোজ টিকা দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে ৫৮ লাখ ১৯ হাজার ৯১২ জন প্রথম ডোজ নিলেও দ্বিতীয় ডোজ পেয়েছেন মাত্র ৩৭ লাখ ৫৭ হাজার ২৩ জন। ফলে অপেক্ষমাণ ২১ লাখ। আর মজুত আছে পাঁচ লাখের কিছু বেশি। ফলে ১৪ লাখের বেশি মানুষের দ্বিতীয় ডোজ পাওয়া অনিশ্চিত।