ফরিদপুরের মধুখালীতে আজকের পত্রিকার সাংবাদিক (নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা) সৌগত বসুর বাড়িতে বাবা-মাসহ তিনজনকে কুপিয়ে জখমের ঘটনায় থানায় এজাহার করা হয়েছে। আজ শনিবার রাতের মধ্যেই মামলা রুজু করা হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ। এ ঘটনায় স্থানীয় এক যুবককে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে।
আজ শনিবার বিকেলে মধুখালী থানায় সাংবাদিক সৌগত বসু বাদী হয়ে এজাহার করেন। এতে অজ্ঞাতনামাদের আসামি হিসেবে উল্লেখ করেছেন তিনি। অজ্ঞাতনামা এক ব্যক্তি চুরি করতে বাড়িতে প্রবেশ করেছিল এবং হামলাকারীকে অন্ধকারে চেনা যায়নি বলে এজাহারে উল্লেখ রয়েছে।
এর আগে গতকাল শুক্রবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে উপজেলার ডুমাইন পূর্বপাড়ার বোস বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। এতে সৌগত বসুর বাবা বীর মুক্তিযোদ্ধা শ্যামলেন্দু বসু (৬৫), মা কাকুলী বসু (৬০) ও প্রতিবেশী কিশোরী প্রীতি মালো (১৫) আহত হন। তাঁরা সবাই ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
হাসপাতালের চিকিৎসক অর্ণব জানিয়েছেন, আহত ব্যক্তিদের মধ্যে শ্যামলেন্দু বসুর মাথায় গুরুতর আঘাত রয়েছে। তাঁর মাথার হার ভেঙে গেছে।
এজাহারে সৌগত বসু উল্লেখ করেছেন, শুক্রবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে বাড়িতে অবৈধভাবে এক দুর্বৃত্ত প্রবেশ করে। এ সময় বাড়িতে মা, বাবা ও প্রতিবেশী প্রীতি মালো অবস্থান করছিল। হঠাৎ প্রীতি বাড়িতে কারও উপস্থিতি টের পায়। এরপর দোতলা বাড়ির নিচতলার ঘরগুলোয় খুঁজতে থাকে। একপর্যায়ে দোতলায় সিঁড়ি বেয়ে ওপরে ওঠার সময় অজ্ঞাতনামা ব্যক্তি শ্যামলেন্দু বসুর মাথায় এলোপাতাড়ি কুপিয়ে গুরুতর রক্তাক্ত জখম করে। এরপর ধস্তাধস্তির একপর্যায়ে প্রীতি ও কাকুলী বসুকেও কুপিয়ে এবং আঘাত করে পালিয়ে যায়।
জানতে চাইলে আজ শনিবার সন্ধ্যায় সহকারী পুলিশ সুপার (মধুখালী সার্কেল) মো. ইমরুল হাসান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বিকেলে সাংবাদিক সৌগত বসু থানায় এজাহার দিয়েছেন। রাতেই মামলা হিসেবে রুজু করা হবে। এ ঘটনায় আমরা জিজ্ঞাসাবাদের জন্য এক যুবককে থানায় নিয়ে এসেছি, তার সম্পৃক্ততা পেলে গ্রেপ্তার দেখানো হবে। এছাড়া অপর একজন যুবকের নাম জানা গেছে, তাকে গ্রেপ্তারের জন্য অভিযান অব্যাহত রয়েছে। এছাড়া যারাই এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত অতিদ্রুত প্রত্যেককেই আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে।’