প্যারাডাইস ও পানামা পেপারস কেলেঙ্কারিতে নাম আসা বাংলাদেশিদের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) ও পুলিশের অপরাধ তদন্ত সংস্থা সিআইডি কী পদক্ষেপ নিয়েছে, তা জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট। আগামী বছরের ৯ জানুয়ারি প্রতিবেদন আকারে তা জানাতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
একই সঙ্গে ওই বিষয়ে চাহিদাপত্র অনুসারে দুদককে কেন তথ্য দেওয়া হয়নি, সে বিষয়েও জানাতে বলেছেন আদালত। বিচারপতি নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি এ কে এম জহিরুল হকের বেঞ্চ আজ সোমবার এই আদেশ দেন।
এর আগে রোববার পানামা ও প্যারাডাইস পেপারস কেলেঙ্কারিতে নাম আসা ৪৩ ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠানের তালিকা হাইকোর্টে দাখিল করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। দেশীয় ও আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের তথ্য বিশ্লেষণ করে এসব ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের সংশ্লিষ্টতার তথ্য পাওয়ার কথা জানায় দুদক। ওই তালিকার বিষয়ে সোমবার আদালতে শুনানি হয়। শুনানিতে আদালত বলেন, পানামা পেপারসে যাদের নাম এসেছে তাদের বিষয়ে কি পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে, সেটা আমরা দেখতে চাই। পুলিশকে ডাকেন। আমরা এভাবে হাত গুটিয়ে বসে থাকার সুযোগ নেই। আমাদের চিন্তা করতে হবে। এখানে অনেক সংগঠন আছে। দুর্নীতির বিরুদ্ধে সংগঠন আছে? অথচ ভারতে আছে। এত ত্যাগের বাংলাদেশ। আমরা চাই দেশটা বিনির্মাণ হোক। আমাদের বসে থাকার সুযোগ নেই। কাজ করতে হবে। বাংলাদেশ একটি সভরিন (সার্বভৌম) রাষ্ট্র।
শুনানির একপর্যায়ে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একেএম আমিন উদ্দিন মানিক বলেন, দুদক বড় বড় দুর্নীতিবাজদের তদন্ত করেনা। তদন্ত করে স্কুল মাস্টারের। এ সময় আদালত বলেন, ছোট ছোট দুর্নীতি ধরেন। কিন্তু বড় দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ না নিলে আসল উদ্দেশ্য বাস্তবায়ন হবে না। দুদকের আইনজীবী খুরশিদ আলম খান বলেন, বড় দুর্নীতিবাজদেরও ধরা হচ্ছে। একজন সাবেক প্রধানমন্ত্রীর সাজা হয়েছে, আরও অনেকের সাজা হয়েছে। তবে আমাদের লজিস্টিক সাপোর্ট বাড়াতে হবে। এ জন্য সরকারের কাছে ধরনা দিতে হয়। তখন আদালত বলেন, দুদক তো স্বাধীন প্রতিষ্ঠান। এ সময় খুরশিদ আলম খান বলেন, দুদক কাজের ক্ষেত্রে স্বাধীন, কিন্তু লজিস্টিক সাপোর্টের জন্য সরকারের কাছেই যেতে হয় দুদককে।