ঢাকা: ফিলিস্তিনে জনগণের ওপর ইসরায়েলের নিপীড়ন আর বাংলাদেশে প্রতিবাদী মানুষের ওপর নিপীড়নের কোনো তফাত নেই বলে মন্তব্য করেছেন ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নূর। তিনি বলেন, আমরা ফিলিস্তিনের ঘটনা দেখে যেমন উদ্বিগ্ন হই। তেমন অনেক ঘটনা বাংলাদেশেও ঘটছে। দেশে দেশে নিপীড়নের কোনো তফাত নেই।
ইসরায়েলের নারকীয় হত্যাকাণ্ডের নিন্দা ও ফিলিস্তিনের জনগণের ন্যায্য অধিকারের প্রতি সংহতি জানাতে আজ বুধবার দুপুরে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে অনুষ্ঠিত নাগরিক সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন।
ডাকসুর সাবেক ভিপি বলেন, 'আজকে ইসরায়েল নারকীয় হামলা চালিয়ে ফিলিস্তিনের নারী শিশুসহ সাধারণ মানুষদের হত্যা করছে। হত্যাযজ্ঞের ধারাবাহিকতায় ফিলিস্তিন আজ মৃত্যুপুরীতে পরিণত হয়েছে। ইসরায়েলের এই হত্যাকাণ্ডের তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানাতে আমরা সমবেত হয়েছি। আমরা দাঁড়িয়েছি ফিলিস্তিনের নির্যাতিত জনগণের প্রতি সংহতি জানাতে। আমাদের সংবিধানেও বলা আছে, বিশ্বের নিপীড়িত শোষিত মানুষের পক্ষে সব সময় বাংলাদেশের অবস্থান থাকবে। সারা বিশ্বের মুক্তিকামী মানুষ ফিলিস্তিনের পক্ষে রয়েছে।'
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে উদ্দেশ করে তিনি বলেন, 'যদি বঙ্গবন্ধুকে শ্রদ্ধা করেন, বঙ্গবন্ধুর আদর্শ মানেন, তাহলে জনগণের অধিকারের লড়াইকে সমর্থন করেন। অর্থ দিয়ে সামরিক শক্তি দিয়ে ফিলিস্তিনের পাশে দাঁড়ান।'
গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেন, 'সভ্যতার ক্ষত নিরাময় করতে হলে, ফিলিস্তিনের অধিকার নিশ্চিত করতে হবে। কিন্তু পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ নানা কথাবার্তার আড়ালে ইসরায়েলের জায়নবাদ লালন করে। বাংলাদেশও আজকে জায়ন মতাদর্শী রাষ্ট্রে পরিণত হয়েছে। এই দেশের আমলারা আজকে গুন্ডাবাহিনীতে পরিণত হয়েছে, তারা সাংবাদিকদের আটক রেখে নির্যাতন করছে। এটার সঙ্গে জায়নবাদের কোনো পার্থক্য নেই।'
নাগরিক সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন ঢাকায় অবস্থিত ফিলিস্তিন দূতাবাসের প্রতিনিধি আব্দুর রহমান, নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, গণফোরামের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ড. রেজা কিবরিয়া, বিকল্প ধারা বাংলাদেশের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. নুরুল আমিন বেপারী, ভাসানী অনুসারী পরিষদের মহাসচিব শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অধ্যাপক আসিফ নজরুল, রাষ্ট্রচিন্তার সদস্য অ্যাডভোকেট হাসনাত কাইয়ূম, আলোকচিত্রী শহিদুল আলম, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক রেহনুমা খানম।