ঢাকা: ফেসবুক স্ট্যাটাসে সাংবাদিক বিরুদ্ধাচরণ করায় শিক্ষা উপমন্ত্রী মহীবুল হাসান চৌধুরী নওফেলকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেছে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ)। আজ বৃহস্পতিবার সাংবাদিক রোজিনা ইসলামকে নির্যাতন ও গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে সমাবেশ চলাকালে এ ঘোষণা দেন সংগঠনটির সভাপতি মুরসালীন নোমানী।
ডিআরইউ সভাপতি বলেন, মন্ত্রী নওফেলের ফেসবুক স্ট্যাটাস সাংবাদিক বিরুদ্ধাচরণ। ডিআরইউ তাঁকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেছে।
এর আগে বুধবার নওফেল তাঁর ফেসবুক স্ট্যাটাসে বলেন, তথ্য অধিকার আইনের প্রয়োগ না করে, ন্যূনতম সাক্ষাৎকার চেয়ে, তথ্য না চেয়ে, বেআইনিভাবে সরকারি নথিপত্রের ছবি তুলে সংবাদ সৃষ্টি করা অনুসন্ধানী সাংবাদিকতা নয়, পরিকল্পিতভাবে চমক সৃষ্টি করা।
বস্তুনিষ্ঠতা, নিরপেক্ষতা, সবই গৌণ হয়ে যায় যখন বড়সড় মিডিয়া হাউসের নাম সামনে আসে। অন্ধের মতো অনেকে মনে করে উনারা যাই বলবেন, তাই সত্য। বাস্তবতা হচ্ছে বড় বড় অনেক প্রতিষ্ঠানের মালিক পক্ষের কর্ম অপকর্মের সংবাদ এঁরা অনেকেই ছাপান না বা দেখান না। এটি আসলে এক প্রকার অলিখিত সমঝোতা। সত্যিকারের জনস্বার্থ চাইলে, প্রভাবশালী করপোরেট স্বার্থকে কেনো ছাড় দেয়া হয়?
আমরা চাই সরকার প্রশাসন, রাজনৈতিক দলের অনিয়ম, দুর্নীতি, যেমনি স্বচ্ছতার প্রয়োজনে গণমাধ্যমের মাধ্যমে প্রকাশিত হবে, তেমনি গণমাধ্যমের মালিক পক্ষ করপোরেট গ্রুপ সমূহ, কর্তব্যরত সাংবাদিক ভাই বোন, এঁদেরও সবার জবাবদিহিতা প্রতিষ্ঠিত হবে। এঁরাও সর্বসাধারণের স্বার্থে প্রাতিষ্ঠানিক তথ্য প্রাপ্তি, কীভাবে জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা যায় তা সাধারণের কাছে তুলে ধরবেন। আমরা জানি দুর্নীতি বাংলাদেশে একটি বিশাল চ্যালেঞ্জ, এই চ্যালেঞ্জে গণমাধ্যমের একটি টেকসই ভূমিকা দরকার, শুধুই সেনসেশন দিয়ে টেকসই ভূমিকা তৈরি হবে না।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়কে নিয়ে বা বাংলাদেশ সরকারের যেকোনো প্রতিষ্ঠানকে নিয়ে দেশের অনেকের অভিযোগ থাকতে পারে। আবার পাশাপাশি দেশের অনেক বৃহৎ বেসরকারি ব্যবসায়ী গোষ্ঠীর মালিকানাধীন অনেক গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠানকে নিয়েও জনগণের অনেক অভিযোগ আছে। কিন্তু আমরা তা প্রকাশিত হতে দেখি খুবই কম। আসলে পক্ষ বিপক্ষ নয়, পরিষ্কার হোক মূল ঘটনা।
প্রসঙ্গত, পরে উপমন্ত্রী মহীবুল হাসান চৌধুরী নওফেল তাঁর পোস্টটি ফেসবুক থেকে সরিয়ে নেন।