ঢাকা: করোনাভাইরাস মহামারির মধ্যে কীভাবে পবিত্র ঈদ-উল-ফিতরের নামাজ পরতে হবে সে বিষয়ে একগুচ্ছ নির্দেশনা দিয়েছে ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়। বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এসব জানিয়েছে মন্ত্রণালয়।
ইসলামী শরিয়তে ঈদগাহ বা খোলা জায়গায় ঈদের নামাজের জামাত আদায়ে উৎসাহিত করা হলেও মহামারির মধ্যে এবার ঈদের জামাত মসজিদে আদায় করার অনুরোধ করা হয়েছে। প্রয়োজনে একই মসজিদে একাধিক জামাত করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
আর করোনাভাইরাসের সংক্রমণরোধে জামাত শেষে কোলাকুলি না করতে এবং হাত না মেলানোর অনুরোধ করেছে ধর্ম মন্ত্রণালয়।
চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী বৃহস্পতি বা শুক্রবার এবারের রোজার ঈদ হবে। রোজা ২৯টি হলে ঈদ হবে বৃহস্পতিবার। আর রোজা ৩০টি হলে শুক্রবার ঈদ হবে।
ধর্ম মন্ত্রণালয় বলছে, ঈদের নামাজের জামাতের সময় মসজিদে কার্পেট বিছানো যাবে না। নামাজের আগে মসজিদ জীবানুনাশক দিয়ে পরিষ্কার করতে হবে। মুসল্লীরা জায়নামাজ সঙ্গে আনতে পারবেন।
মসজিদে ঢোকার মুখে ও ওজুর স্থানে সাবান বা হ্যান্ড স্যানিটাইজার ছাড়াও হাত ধোঁয়ার ব্যবস্থাসহ সাবান ও পানি রাখতে হবে। সবাইকে বাড়ি থেকে ওজু করে মসজিদে আসতে হবে।
ঈদের নামাজের জামাতে অংশ নিতে মুসল্লীদের অবশ্যই মাস্ক পরতে হবে। মসজিদের সংরক্ষিত জায়নামাজ ও টুপি ব্যবহার করা যাবে না। কাতারে দাঁড়ানোর সময় অবশ্যই সামাজিক দূরত্ব ও স্বাস্থ্যবিধি মানতে হবে।
শিশু, বৃদ্ধ, অসুস্থ ব্যক্তি এবং অসুস্থদের সেবায় নিয়োজিতরা ঈদের নামাজের জামাতে অংশ নিতে পারবেন না। করোনাভাইরাসের সংক্রমণ থেকে রক্ষায় স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ, স্থানীয় প্রশাসন এবং আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণকারী বাহিনীর নির্দেশনাগুলো মানতে হবে।
মহামারি থেকে রক্ষা পেতে ঈদের নামাজ শেষে সৃষ্টিকর্তার কাছে দোয়া করার জন্য মসজিদের খতিব ও ইমামদের অনুরোধ করেছে ধর্ম মন্ত্রণালয়।
মসজিদ পরিচালনা কমিটির পাশাপাশি খতিব ও ইমামদের এসব নির্দেশনা বাস্তবায়ন করতে বলা হয়েছে।