সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে বিএনপি নেতা গোলাম সরোয়ার ও তাঁর কর্মী-সমর্থকদের ওপর হামলার অভিযোগ উঠেছে। হামলায় গোলাম সরোয়ারসহ ২০ জন আহত হয়েছেন। তার মধ্যে গুরুতর আহত শাহজাদপুর পৌর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আনিসুর রহমানকে স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
আজ শনিবার বেলা ১টার দিকে শাহজাদপুর উপজেলা বিএনপির কার্যালয়ের সামনে এই ঘটনা ঘটে।
আহতদের মধ্যে রয়েছেন শাহজাদপুর পৌর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আনিসুর রহমান, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সহসভাপতি আব্দুল কুদ্দুস, শাহজাদপুর উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক গোলাম মোস্তফা, যুবদলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ওলিউল ইসলাম মিন্টু, স্বেচ্ছাসেবক দলের রঞ্জু প্রমুখ।
জানা গেছে, গোলাম সরোয়ার সিরাজগঞ্জ জেলা বিএনপির সদস্য, স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও জেলা বিএনপির সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির সদস্য।
জানতে চাইলে গোলাম সরোয়ার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আজ শনিবার দুপুরের দিকে আমি দলীয় নেতা-কর্মীদের সঙ্গে নিয়ে শাহজাদপুর উপজেলা বিএনপির কার্যালয়ে যাই। কার্যালয়ে প্রবেশ করতে চাইলে শাহজাদপুর উপজেলা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক ও জেলা বিএনপি সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির সদস্য ডাক্তার এম এ মুহিতের সমর্থকেরা আমাকে দলীয় কার্যালয়ে প্রবেশে বাধা দেন। তাঁরা বলেন, “এটি মুহিত সাহেবের কার্যালয়, এখানে কাউকে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না।” এ সময় লাঠিসোঁটা, ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে আমাদের ওপর হামলা চালান। হামলায় আমিসহ অন্তত ২০ নেতা-কর্মী আহত হয়।’
গোলাম সরোয়ার আরও বলেন, ‘এম এ মুহিতের নির্দেশে আমাদের ওপর হামলা চালানো হয়। ডাক্তার মুহিত বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকুর ভাগনে।’
বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও রাজশাহী বিভাগীয় দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা আব্দুস সালাম, জেলা বিএনপির সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির আহ্বায়ক আমীরুল ইসলাম খান আলীম ও এম এ মুহিতকে এ বিষয়ে জানতে ফোন করা হলেও তাঁরা ফোন রিসিভ করেননি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সিরাজগঞ্জ জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা মোস্তফা জামান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘গোলাম সরোয়ার ও তাঁর সমর্থকদের ওপর হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। হামলার সঙ্গে যাঁরা জড়িত, তাঁদের চিহ্নিত করে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নিতে হবে। সম্মেলনে আগে জেলা বিএনপির কমিটি বিলুপ্ত করতে হবে। সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটিতে জেলার বাদ পড়া গুরুত্বপূর্ণ নেতাদের অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। তা না হলে একপেশে কমিটি হবে এবং হামলার ঘটনা ঘটবে।’