মুলাদী (বরিশাল) প্রতিনিধি
বরিশালের মুলাদী উপজেলার সীমান্তবর্তী কালকিনি উপজেলার একটি গ্রামে হাতবোমা তৈরির সময় বিস্ফোরণে আহত এক ব্যক্তি চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয়েছে। গতকাল বুধবার রাতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তিনি মারা যান।
মুলাদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
নিহত কামাল ব্যাপারী (৪০) মুলাদী উপজেলার বাটামারা ইউনিয়নের পূর্ব তয়কা গ্রামের সেলিম ব্যাপারীর ছেলে। গত সোমবার কালকিনি উপজেলার কাজীকান্দি এলাকায় হাতবোমা তৈরির সময় বিস্ফোরণে আহত হয়েছিলেন তিনি। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে তাঁকে দাফন করা হয়েছে।
স্থানীয় গ্রাম পুলিশের বরাত দিয়ে থানা-পুলিশ জানায়, গত সোমবার রাতে মুলাদীর সীমান্তবর্তী কালকিনি উপজেলার পূর্ব এনায়েতনগর ইউনিয়নের কাজীকান্দি এলাকায় হাতবোমা তৈরি করছিলেন কামাল ব্যাপারী। তখন হাতবোমা বিস্ফোরণে কামালসহ তিনজন আহত হন। তাঁর সহযোগীরা তাঁকে কালকিনি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগে নিয়ে যান। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে ওই রাতেই তাঁকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। গতকাল বুধবার রাতে তিনি মারা যান।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, গত বছরের ১০ এপ্রিল রাতে বাটামারা ও সফিপুর ইউনিয়নের আধিপত্যের দ্বন্দ্বে দুই পক্ষের সংঘর্ষে আলমগীর কবিরাজ ও হেলাল ব্যাপারী নিহত হন। ওই দিন কামাল ব্যাপারী পুলিশের গুলিতে আহত হয়েছিলেন। এরপর দীর্ঘদিন তিনি আত্মগোপনে থাকেন। আজ দুপুরে কামালের লাশ এলাকায় পৌঁছালে হাতবোমা তৈরির সময় বিস্ফোরণে তাঁর আহত হওয়ার বিষয়টি জানাজানি হয়।
স্থানীয় গ্রাম পুলিশ (চৌকিদার) মন্টু আজকের পত্রিকাকে বলেন, গত বছর আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে সংঘর্ষের ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে মামলা করেছিল। সেই মামলায় এজাহারভুক্ত আসামি ছিলেন কামাল ব্যাপারী। ঘটনার পর থেকে তিনি পলাতক ছিলেন।
মুলাদী থানার ওসি মো. জাকারিয়া বলেন, কালকিনি উপজেলায় হাতবোমা তৈরির সময় বিস্ফোরণে নিহত কামাল ব্যাপারীর লাশ গ্রামের বাড়িতে দাফন করা হয়েছে। তবে এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ পাওয়া যায়নি।