আসন্ন বরিশাল সিটি করপোরেশন (বিসিসি) নির্বাচনে জাতীয় পার্টির মেয়র প্রার্থী হিসেবে দলটির যুগ্ম মহাসচিব ও জেলা সদস্যসচিব প্রকৌশলী ইকবাল হোসেন তাপসকে মনোনীত করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার জাপা চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের এমপি স্বাক্ষরিত এক পত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
ওই পত্রে জাপা নেতা তাপসকে সিটি এলাকায় সব ধরনের সাংগঠনিক কর্তৃত্ব করার ক্ষমতাও উল্লেখ করা হয়। জাতীয় পার্টির বরিশাল জেলা আহ্বায়ক অধ্যাপক মহসিন উল ইসলাম হাবুল এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এর আগে গত মাসে বরিশালের নেতাদের নিয়ে এ সংক্রান্ত বৈঠকও করে কেন্দ্র। গত ১৯ জানুয়ারি ‘সিটি নির্বাচন ঘিরে প্রস্তুত হচ্ছে জাপা’ শিরোনামে আজকের পত্রিকায় এ সংক্রান্ত সংবাদ প্রকাশ করা হয়। এরপর আজ তাপসকে এ মনোনয়ন দিল জাতীয় পার্টি।
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান স্বাক্ষরিত পত্রে উল্লেখ করা হয়েছে, ২০২৩ সালে বরিশাল সিটি করপোরেশন মেয়র পদে নির্বাচনে যুগ্ম মহাসচিব প্রকৌশলী ইকবাল হোসেন তাপসকে প্রাথমিকভাবে মনোনীত করা হয়েছে। উক্ত সিটি করপোরেশনের সকল স্তরের কমিটি গঠন, পুনর্গঠন ও বাতিলের ক্ষেত্রে গঠনতন্ত্রের ২০ / ১ (১) (ক) ধারা অনুযায়ী তাকে (তাপস) ক্ষমতা দেওয়া হলো।
জানতে চাইলে জাতীয় পার্টির বরিশাল জেলা আহ্বায়ক অধ্যাপক মহসিন উল ইসলাম হাবুল বলেন, সিটি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দল প্রস্তুতি শুরু করেছে। গত মাসে বরিশালের নেতাদের নিয়ে সভাও করেছে। মঙ্গলবার চেয়ারম্যান সম্ভাব্য মেয়র প্রার্থী হিসেবে তাপসের হাতে মনোনয়নপত্র তুলে দিয়েছেন। সিটি এলাকায় দলের সকল সাংগঠনিক ক্ষমতাও অর্পণ করা হয়েছে তাকে। তিনি বলেন, এমন সিদ্ধান্তে বরিশাল জাপা সিটি নির্বাচনে প্রস্তুতি নিতে এক ধাপ এগিয়ে গেল।
এ প্রসঙ্গে মেয়র প্রার্থী প্রকৌশলী ইকবাল হোসেন তাপস বলেন, দলের প্রতি আস্থা অর্জন করতে পেরেছেন বলেই আগাম মনোনয়ন দিয়েছে।
তিনি আরও জানান, গতবারও জাপার মেয়র প্রার্থী ছিলেন তিনি। এবার এই সুযোগ বাস্তবায়নে নগরবাসীর জন্য ৯টি ভিশন নিয়ে তিনি কাজ শুরু করবেন তিনি।
এদিকে সিটি নির্বাচনে মেয়র পদে প্রকৌশলী ইকবাল হোসেন তাপসের নাম ঘোষণা করায় শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন জাতীয় পার্টি বরিশাল জেলা ও মহানগর এবং অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের সর্বস্তরের নেতা-কর্মীরা। দলটির বার্তা প্রেরক ও ছাত্রসমাজ নেতা মেহেদী শুভ ই-মেইলে এ তথ্য জানিয়েছেন।
প্রসঙ্গত, গত ১৭ জানুয়ারি রাজধানীতে জাতীয় পার্টির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু বরিশালের নেতাদের নিয়ে মতবিনিময় করেন। ওই সভায় আগামী সিটি নির্বাচনে দলীয় প্রার্থী নির্ধারণের ইঙ্গিত দেওয়া হয়।