Ajker Patrika
হোম > সারা দেশ > বরিশাল

বঙ্গবন্ধু নৌকা জাদুঘর ভাঙলেন বরগুনা বিএনপির নেতা-কর্মীরা

আমতলী (বরগুনা) প্রতিনিধি 

বঙ্গবন্ধু নৌকা জাদুঘর ভাঙলেন বরগুনা বিএনপির নেতা-কর্মীরা
বরগুনার বঙ্গবন্ধু নৌকা জাদুঘর ভেঙে ফেলা হয়েছে। ছবি: আজকের পত্রিকা

বরগুনার বঙ্গবন্ধু নৌকা জাদুঘর ভেঙে ফেলা হয়েছে। আজ শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি) বিএনপির নেতা-কর্মীরা এটি ভেঙে ফেলেন বলে জানা গেছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ২০২০ সালে বরগুনা পৌর পুরোনো পাবলিক লাইব্রেরি ভেঙে বঙ্গবন্ধু নৌকা জাদুঘর তৈরি করা হয়। ওই জাদুঘরে বিভিন্ন ধরনের ১০১টি নৌকা সংরক্ষিত ছিল। নৌকাকে নতুন প্রজন্মের কাছে পরিচিত করানোর পাশাপাশি দেশি-বিদেশি পর্যটকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে নির্মাণ করা হয়েছিল দেশের প্রথম নৌকা জাদুঘর। ১৬৫ ফুট দৈর্ঘ্য ও ৩০ ফুট প্রস্থের নৌকার আদলে জাদুঘরটি নির্মাণ করা হয়।

তৎকালীন বরগুনা জেলা প্রশাসক মোস্তাইন বিল্লাহর পরিকল্পনা ও তত্ত্বাবধানে জাদুঘরটি নির্মাণ করা হয়। ওই সময় জাদুঘরটির পাশাপাশি নৌকা গবেষণাকেন্দ্র, আধুনিক লাইব্রেরি, বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধ কর্নার, শিশুদের বিনোদনের জন্য রাইড, থিয়েটার, ক্ষুদ্র ক্যাফেসহ নানা প্রতিষ্ঠান নির্মাণের আশ্বাস ছিল। তবে উদ্বোধনের চার বছরেও তা বাস্তবায়িত হয়নি।

গত ৫ আগস্ট জাদুঘরটির ওপর হামলা করা হয়। তখন কিছুটা রক্ষা হলেও আজ নৌকা জাদুঘরটি সম্পূর্ণ ভেঙে ফেলা হয়েছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় কয়েকজন বলেন, আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মধ্যে রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব থাকলেও দেশের ঐতিহ্য রক্ষা করার প্রয়োজন ছিল। নৌকা জাদুঘরটি উপকূলীয় মানুষের একটি ঐতিহ্য। এটি ভেঙে ফেলা ঠিক হয়নি। দেশের স্বার্থে সব দলের ঐক্যবদ্ধ থাকা উচিত।

পর্যটন উদ্যোক্তা আরিফুর রহমান বলেন, বরগুনা উপকূলীয় জেলা চারপাশে নদীবেষ্টিত। নৌকা এ জেলার মানুষের ঐতিহ্য। তবে দলীয় প্রতীক হিসেবে না দেখে ঐতিহ্য হিসেবে দেখলে নৌকা জাদুঘরটা রাখা যেত।

বরগুনা জেলা ছাত্রদলের সাবেক জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মুরাদুজ্জামান টিপন বলেন, নৌকা জাদুঘরের নামে ১০টি জাদুঘরের চাঁদা ওঠানো হয়েছে। সরকারি সম্পত্তি দখল করে নৌকা জাদুঘর করা হয়েছে। তাই জনগণ এটা ভেঙে ফেলেছে।

বরগুনার বঙ্গবন্ধু নৌকা জাদুঘর ভেঙে ফেলা হয়েছে। ছবি: আজকের পত্রিকা
বরগুনার বঙ্গবন্ধু নৌকা জাদুঘর ভেঙে ফেলা হয়েছে। ছবি: আজকের পত্রিকা

জাতীয়তাবাদী যুবদলের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক মুরাদ খান বলেন, এটাকে বঙ্গবন্ধু নৌকা জাদুঘর নাম দেওয়ার কারণে জনরোষ সৃষ্টি হয়েছে। জনগণ ৫ আগস্ট আগুন দিয়ে পোড়ানোর পর খালি হাতে ভাঙতে ব্যর্থ হলে সরঞ্জাম নিয়ে ভেঙে ফেলা হয়েছে। তিনি বরগুনা জেলা প্রশাসকের কাছে শহীদ জিয়া স্মৃতি পাঠাগার তৈরির দাবি জানান।

বরগুনা জেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক রেজবিউল কবির বলেন, ওইখানে গণপাঠাগার ছিল। তা ভেঙে বঙ্গবন্ধু নৌকা জাদুঘর বানানো হয়েছে। ওই স্থান থেকে কোটি কোটি টাকা লুটপাট করা হয়েছে। ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা সরকারের তোষামোদি করতেই বঙ্গবন্ধু নৌকা জাদুঘর বানানো হয়েছে। এখন জনগণ এটা ভেঙে ফেলছে, যারা ভাঙছে তারা দেশপ্রেমিক।

রেজবিউল কবির আরও বলেন, ‘সাবেক জেলা প্রশাসকের নামে চাঁদাবাজির মামলা করা হবে। আমি তার বাদী হব।’

এ বিষয়ে কথা বলতে বরগুনা জেলা প্রশাসক (ডিসি) মোহাম্মদ সফিউল আলমকে কল করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

পর্যটকশূন্য কুয়াকাটা সৈকত, মধ্য রমজান থেকে ব্যবসা বাড়ার আশা

ওলামা লীগ থেকে ওলামা দলের যুগ্ম আহ্বায়ক

২২ বছর পর পলাতক যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি গ্রেপ্তার

বোরহানউদ্দিনে চাঁদা না পেয়ে তরমুজচাষিদের ওপর হামলা, আহত ৫

চাঁদাবাজির মামলায় যুবলীগ সভাপতি গ্রেপ্তার

মির্জাগঞ্জে যুবলীগ ও শ্রমিক লীগের সভাপতিসহ গ্রেপ্তার ৪

নেছারাবাদে যুবদল নেতার বিরুদ্ধে কর্মীর চাঁদাবাজির মামলা

মির্জাগঞ্জ উপজেলা শ্রমিক লীগের সভাপতি ইয়াবাসহ আটক

নাগরিক কমিটির সদস্য হওয়ায় যুবদল থেকে বহিষ্কার হলেন রাজাপুরের সজীব

কৃষিজমির মাটি ইটভাটায় ব্যবহার, দুই লাখ টাকা জরিমানা