নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল
বরিশাল বারের নেতা আইনজীবী খান মোহাম্মদ মোর্শেদকে অপহরণ করে নারীর সঙ্গে আপত্তিকর ভিডিও ধারণের অভিযোগ উঠেছে। ওই ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়ে তাঁর কাছে ২০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করা হয়।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগী গতকাল মঙ্গলবার কোতোয়ালি মডেল থানা–পুলিশে মৌখিকভাবে অভিযোগ জানালেও কোনো লিখিত দেননি বলে জানান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মোস্তাফিজুর রহমান।
খান মোহাম্মদ মোর্শেদ বরিশাল জেলা আইনজীবী সমিতির নির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক ও বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদের নেতা।
আইনজীবী খান মোহাম্মদ মোর্শেদ জানান, গতকাল বিকেলের দিকে নগরীর অক্সফোর্ড মিশন রোড থেকে তাঁকে অপহরণ করা হয়। তিনি আদালত থেকে মোটরসাইকেলে বাসায় যাওয়ার পথে অক্সফোর্ড মিশন রোড মসজিদের সামনে পৌঁছালে অজ্ঞাতনামা ছয়-সাতজন দুর্বৃত্ত তাঁকে থামায়।
এ সময় তারা ভয়ভীতি প্রদর্শন করে মুসলিম গোরস্থানের একটি বাড়ির দ্বিতীয় তলার ফ্ল্যাটে নিয়ে যায়। নির্জন ফ্ল্যাটের একটি অন্ধকার কক্ষে নিয়ে তাঁকে বেধড়ক মারধর করে।
পরবর্তীকালে অপহরণকারীরা জোরপূর্বক তাঁকে বিবস্ত্র করে এক নারীকে পাশে বসিয়ে আপত্তিকর ছবি ও ভিডিও ধারণ করে। ওই ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়ে তাঁর কাছে ২০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করা হয়।
তিনি জানান, অপহরণকারীদের চেকের মাধ্যমে টাকা পরিশোধের প্রলোভন দিয়ে তিনি আইনজীবী সমিতির নিজ কক্ষে এসে কোতোয়ালি মডেল থানা–পুলিশকে বিষয়টি অবহিত করেন। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে বাসাটি তালাবদ্ধ পেয়েছে বলে জানান তিনি।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ওই ফ্ল্যাটে পলিন নামে এক ব্যক্তি বসবাস করেন। মোর্শেদ শিক্ষানবিশ এক নারী আইনজীবীকে কুপ্রস্তাব দেওয়ার জেরে এ ঘটনা ঘটেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে এর সঙ্গে ছাত্রদলের সাবেক এক নেতা জড়িত।
এ ব্যাপারে ওসি মো. মোস্তাফিজুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আইনজীবী মোর্শেদ থানায় এসেছিলেন। তিনি মৌখিকভাবে অভিযোগ করেছেন। যেহেতু মামলাই হয়নি, সেহেতু এর সত্যতা আছে কি না তা দেখার সুযোগ নেই।’