পিরোজপুর প্রতিনিধি
পিরোজপুরের নাজিরপুরে নিখোঁজের চার মাস পর বালু চাপা দেওয়া অবস্থায় গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় খালা শাশুড়ি রেকসোনা বেগমকে (৪৫) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
আজ মঙ্গলবার নাজিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হুমায়ুন কবির বিষয়টি জানিয়েছেন। এর আগে গতকাল সোমবার রাতে তাঁকে সদর উপজেলার দূর্গাপুর এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
নিহত ওই গৃহবধূর নাম লামিয়া আক্তার। গ্রেপ্তার রেকসোনা বেগম সদর উপজেলার ভৈরবপুর এলাকার আলমের স্ত্রী।
পুলিশ জানায়, চিরকুটের ভিত্তিতে বালু চাপা অবস্থায় গৃহবধূ লামিয়ার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। ওই চিরকুটে খালা শাশুড়ি রেকসোনার নাম লেখা ছিল। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হয় এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে তাঁর সংশ্লিষ্টতা রয়েছে। তাঁকে পিরোজপুর সদর উপজেলার দুর্গাপুর এলাকা থেকে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করা হয়।
পুলিশ আরও জানায়, নাজিরপুরের চিথলিয়া গ্রামের মো. মিজান খানের ছেলে তরিকুল ইসলামের সঙ্গে লামিয়া আক্তারের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। গত বছরের ৫ মে তাঁদের বিয়ে হয়। ওই বছরের ডিসেম্বর মাসে শ্বশুরবাড়ি থেকে নিখোঁজ হয় লামিয়া। নিখোঁজের পর থানায় মামলা হলে তরিকুলের বাবা মিজান ও প্রতিবেশী বাদশা শেখকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। গত রোববার রাতে লামিয়ার নিখোঁজের বিষয়ে একটি চিরকুট পৌঁছায় তাঁর পরিবারের কাছে। এই চিরকুটের মাধ্যমে পুলিশ সোমবার দুপুরে লামিয়ার বালু চাপা দেওয়া মরদেহ উদ্ধার করে।
নাজিরপুর থানা-পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হুমায়ুন কবির বলেন, ওই গৃহবধূর বাড়িতে একটি চিরকুট পৌঁছালে এর ভিত্তিতে মরদেহ উদ্ধার করা হয়। গৃহবধূর খালা শাশুড়িকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাঁকে আদালতে পাঠানো হবে।