নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল
বরিশাল শের-ই-বাংলা চিকিৎসা মহাবিদ্যালয় (শেবাচিম) ও হাসপাতালের ছয় চিকিৎসকে আজীবন অবাঞ্ছিত ও শিক্ষানবিশ ছয়জনের ইন্টার্নশিপ দুই বছরের জন্য স্থগিত করা হয়েছে। আজ শনিবার বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের শিক্ষার্থীদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে হাসপাতালের পরিচালক সাইফুল ইসলাম এ তথ্য জানান।
অভিযুক্ত চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বিরুদ্ধে অবস্থান, আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের হুমকি ও চিকিৎসকদের তালিকা প্রণয়ন করে সরকারি সংস্থার কাছে প্রদানের অভিযোগ আনা হয়েছে।
অভিযুক্তরা সবাই আওয়ামী লীগপন্থী চিকিৎসকদের সংগঠন স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের (স্বাচিপ) দায়িত্বশীল নেতা। একই অভিযোগ শিক্ষানবিশ চিকিৎসকদের বিরুদ্ধেও।
চিকিৎসকেরা হলেন স্বাচিপের জেলা সাধারণ সম্পাদক অর্থোপেডিকস বিভাগের সিনিয়র কনসালট্যান্ট সুদীপ হালদার, শেবাচিম শাখার সাধারণ সম্পাদক মেডিকেল অফিসার এস এম সায়েম, শেবাচিম হাসপাতালের সাবেক পরিচালক বাকির হোসেন, কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ এস এম সরোয়ার হোসেন, অর্থোপেডিকস বিভাগের আবাসিক সার্জন মাসরেকুল ইসলাম সৈকত ও মেডিকেল অফিসার শিরিন সাবিহা তন্বী।
শিক্ষানবিশরা হলেন মহসীন বিভা, আরিফুজ্জামান ইমন, সাদনান বাকির, প্রীতম দেবনাথ, আর্য্য বিশ্বাস ও আসিফুল ইসলাম।
এ ব্যাপারে শেবাচিম হাসপাতালের পরিচালক সাইফুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের আবেদনের প্রেক্ষিতে ছয়জন চিকিৎসককে হাসপাতাল ও কলেজ ক্যাম্পাসে আজীবন অবাঞ্ছিত এবং ছয়জন শিক্ষানবিশের ইন্টার্নশিপ দুই বছরের জন্য স্থগিত করা হয়েছে।’