বরিশাল সদর উপজেলায় নির্বাচনী সহিংসতায় জেলা পরিষদ সদস্যসহ তিনজনকে পিটিয়ে আহত করার অভিযোগ উঠেছে। তাঁরা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী মহানগর আওয়ামী লীগের সদস্য এস এম জাকির হোসেনের (মোটরসাইকেল) সমর্থক। গতকাল সোমবার রাত ৮টার দিকে চরবাড়িয়া ইউনিয়নের কাগাশুরা বাজারে এ ঘটনা ঘটে। কাউনিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসাদুজ্জামান আহতের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
এদিকে ঘটনাস্থল থেকে জনতা দুজনকে ধরে পুলিশে দিয়েছে। তবে পুলিশ জানিয়েছে তারা এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত নয়।
হামলায় আহতরা হলেন জেলা পরিষদ সদস্য শহিদুল ইসলাম ওরফে ইটালী শহিদ, চরবাড়িয়া ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের আহ্বায়ক রানা শরীফ ও তাঁর স্ত্রী নুসরত জাহান। রানা ও তাঁর স্ত্রীকে বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আহতরা জানান, হামলার নেতৃত্ব দেন সদর উপজেলা ছাত্রলীগের বহিষ্কৃত সভাপতি রাসেল মুন্সী (৪০)। তিনি উপজেলা পরিষদের বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান রেহেনা বেগমের ভাই। রাসেল অপর এক প্রার্থী মহানগর যুবলীগের যুগ্ম-আহ্বায়ক মাহমুদুল হক খান মামুনের (আনারস) সমর্থক।
মোটরসাইকেল প্রতীকের প্রার্থী জাকির হোসেন জানান, তাঁর বোনসহ পরিবারের সদস্যরা কাগাশুরা এলাকায় প্রচারে যান। সঙ্গে ছিলেন শহিদুল ইসলাম ও রানা শরীফসহ স্থানীয়রা। প্রচার শেষে কাগাশুরা বাজারে নির্বাচনী কার্যালয়ে ফেরার পথে রাসেলের নেতৃত্বে ১০-১২ জন হামলা করেছে।
ইটালি শহিদ জানান, তাঁদের পথ রোধ করে রাসেল ও তার বাহিনী উদ্দেশ্যমূলকভাবে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন। প্রতিবাদ করলে প্রথমে রানাকে মারধর শুরু করেন। তাঁকে রক্ষা করতে গেলে তাঁর (শহীদ) ওপর হামলা চালানো হয়। কাছেই অবস্থিত বাড়ি থেকে রানা শরীফের স্ত্রী ছুটে এলে তাঁকেও শ্লীলতাহানি করা হয়।
ঘটনাস্থল থেকে মোটরসাইকেল সমর্থকেরা অপু ও সাকিব নামক দুই যুবককে আটক করে পুলিশের কাছে সোপর্দ করেছে। সাকিব রাসেলের চাচাতো ভাই।
অভিযোগের বিষয়ে রাসেল মুন্সী বলেন, মোটরসাইকেলের সমর্থকেরা ভোট চাইতে গিয়ে তাঁদের (আনারস) লোকজনের সঙ্গে খারাপ আচরণ করেছেন। তিনি এর প্রতিবাদ করেছেন।
কাউনিয়া থানার ওসি আসাদুজ্জামান জানান, খবর পেয়ে সহকারী কমিশনার সরোয়ার হোসেনসহ তিনি ঘটনাস্থল গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করেন। তিনি বলেন, আটক দুজন ওই ঘটনার সঙ্গে জড়িত নন। আহত রানার বাবা আফতাব শরীফ বাদী হয়ে মামলা দায়েরের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন।