পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার বৃহত্তর কালাইয়া বাজারের কাঁচামাল বিক্রেতা মো. মিলনের দুই শতাধিক তরমুজ চুরির ঘটনা ঘটেছে। গত শুক্রবার রাতের কোনো একসময় চুরির ঘটনা ঘটে। এদিকে গতকাল শনিবার ও আজ রোবাবার পাশের একাধিক দোকানের সিসি ক্যামেরা ফুটেজ পর্যালোচনা করে সন্দেহভাজন দুজনকে শনাক্ত করেন ব্যবসায়ীরা।
ব্যবসায়ীরা জানান, সন্দেহভাজন দুই চোর হলেন মো. আলামিন ও তাঁর সহযোগী স্বপন। আলামিনের বাড়ি উপজেলার কালাইয়া প্যাদা রোড এলাকায়। তাঁর বাবার নাম সিদ্দিক ব্যাপারী। আলামিন যুবদলের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। তিনি উপজেলা যুবদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক গাজী গিয়াস উদ্দিনের অনুসারী হিসেবে পরিচিত।
সিসি ক্যামেরা ফুটেজ দেখা গেছে, তাঁরা দুজনে ব্যবসায়ী মো. মিলনের তরমুজ চুরি করে নিয়ে যাচ্ছেন। ব্যবসায়ীদের দাবি, পরে ওই তরমুজগুলো কালাইয়া মাদ্রাসাসংলগ্ন শহীদ চেয়ারম্যান সত্তার মাস্টারের কবরস্থানে নিয়ে রাখা হয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তাঁদের ফেলে রাখা তরমুজ উদ্ধার করে। তবে এখন পর্যন্ত পুলিশ কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি।
স্থানীয় সূত্র জানায়, আলামিন এর আগেও চুরি ও অন্যান্য অপরাধের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। তাঁর বিরুদ্ধে বাউফল থানায় একাধিক মাদক মামলা রয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যবসায়ী বলেন, সিসি ক্যামেরা ফুটেজে চোর চিহ্নিত হয়েছে, সবাই তাঁকে চেনে, অথচ পুলিশ তাঁকে ধরছে না। বিএনপির নেতা গাজী গিয়াস উদ্দিন তাঁকে বাঁচানোর চেষ্টা করছেন।
অভিযোগ অস্বীকার করে বিএনপির নেতা গাজী গিয়াস উদ্দিন বলেন, ‘এসব ভুলভাল কথাবার্তা, আমি চোর ধরার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। আর আপনি বলেন আমি চোরকে বাঁচানোর চেষ্টা করতেছি। আমি এখনো পুলিশ ও স্থানীয়দের নিয়ে চোর ধরার চেষ্টায় আছি।’
বাউফল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামাল হোসেন বলেন, ‘চোর নাকি সিসি ক্যামেরায় দেখা গেছে। আমি মোবাইলে শুনেছি এ রকম ঘটনা। ভুক্তভোগী ব্যবসায়ীকেও অভিযোগ দিতে বলা হয়েছে। তবে তিনি অভিযোগ দিতে আগ্রহী নন। তারপরও সিসি ক্যামেরা ফুটেজ বিশ্লেষণ করে চোরকে আইনের আওতায় আনার চেষ্টা করা হবে।’