হোম > সারা দেশ > বরিশাল

ঢাকা-বরিশাল নৌপথ: লঞ্চের আগাম টিকিট ক্রেতার চিরচেনা ভিড় নেই

নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল

ঈদুল ফিতরকে কেন্দ্র করে ঢাকা-বরিশাল নৌপথে যাত্রীদের আগাম টিকিট কেনার চিরচেনা সেই ভিড় এবার নেই। পদ্মা সেতু চালু হওয়ার পর লঞ্চের যাত্রীসংখ্যা বেশ কমে এসেছে। তবে লঞ্চমালিক ও শ্রমিকেরা মনে করছেন, শেষ সময়ে নৌপথে যাত্রীর চাপ বাড়বে।

গত শনিবার থেকে ঢাকা-বরিশাল নৌপথে ঈদের আগাম টিকিট বিক্রি শুরু হয়েছে। মনে করা হচ্ছে, এবার ঈদে যাত্রীর চাপ শুরু হবে ১৮ এপ্রিল থেকে। সে অনুযায়ী যাত্রী নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে উদ্যোগ নিয়েছে বিআইডব্লিউটিএ।

আজ মঙ্গলবার নগরের বিভিন্ন লঞ্চের কাউন্টার ঘুরে দেখা গেছে, যাত্রীর তেমন চাপ নেই। আগে এলে আগে পাবেন ভিত্তিতে আগাম টিকিট বিক্রি চলছে।

লঞ্চমালিক ও বুকিং কাউন্টার সূত্রে জানা গেছে, ঈদের মূল স্রোত বাড়ি ফিরবে ১৮ থেকে ২২ এপ্রিল পর্যন্ত। অপর দিকে কর্মস্থলে ফিরতে পারে ২৪ থেকে ২৯ এপ্রিল। সে অনুযায়ী সিঙ্গেল কেবিন ১২০০ টাকা এবং ডাবল কেবিন ২২০০ টাকা। সুন্দরবন লঞ্চের বুকিং ম্যানেজার জাকির হোসেন বলেন, শনিবার থেকে তাঁরা আগাম টিকিট দিচ্ছেন। কিন্তু যাত্রী ভিড় তেমন নেই।

নৌবন্দর ঘুরে একাধিক লঞ্চ মাস্টারের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ঈদে তেমন চাপ থাকবে না। তবে ঝড়ঝঞ্ঝার ভয় আছে তাদের মাঝে। লঞ্চ মালিক সমিতির কেন্দ্রীয় সহসভাপতি সাইদুর রহমান রিন্টু বলেন, এবারের ঈদে তাদের কোনো চাপ নেই। ভাড়াও আগের মতোই। যে কারণে যাত্রীরা স্বচ্ছন্দে বাড়ি ফিরতে পারবেন।

বিআইডব্লিউটিএর নৌ নিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা বিভাগের উপপরিচালক মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, পদ্মা সেতু চালু হওয়ার পর লঞ্চে যাত্রী খুবই কম। এখন মাত্র দুই-তিনটি লঞ্চ ঢাকা-বরিশাল রুটে চলাচল করে। এ রুটে ২০টি লঞ্চ আছে। এর মধ্যে ১০টার মতো ঈদে চলতে পারে।

আব্দুর রাজ্জাক আরও বলেন, পদ্মা সেতু চালু হওয়ার আগেও ২০টি লঞ্চে হতো না। এ জন্য ডবল ট্রিপও দিতে হতো। যাত্রী নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে নৌ পুলিশ, জেলা প্রশাসন ও বিআইডব্লিউটিএর সমন্বয়ে কমিটি করা হয়েছে। কালবৈশাখীর মৌসুম হওয়ায় লঞ্চমালিকদের সতর্ক করা হয়েছে।

এদিকে এ বছর ঈদে সড়কপথে যাত্রীর চাপ তীব্র হওয়ার আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্টরা। প্রথমবারের মতো ঈদে এই পথে বাড়ি ফিরবে বরিশালের মানুষ। কিন্তু সেই চাপ সামাল দেওয়ার মতো প্রস্তুতি নিয়ে সংশয় রয়েছে।

বরিশালের নথুল্লাবাদ বাস টার্মিনাল সূত্রে জানা গেছে, পদ্মা সেতু চালু হওয়ার পর এ বছর যাত্রীদের বড় অংশই বরিশালে আসছেন বাসে। যে কারণে ঢাকা-বরিশালসহ দক্ষিণাঞ্চলে তীব্র চাপের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।

সম্মিলিত সামাজিক আন্দোলন বরিশাল জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক কাজী এনায়েত হোসেন শিবলু প্রতি সপ্তাহে এই রুটে যাতায়াত করেন। তিনি বলেন, ভাঙার পর বরিশাল পর্যন্ত সড়ক ভীষণ সরু। আবার নগরের মধ্যে ১২ কিলোমিটার সড়ক বর্ধিত করার উদ্যোগ নিলেও তা খোঁড়াখুঁড়ি করে ফেলে রাখা হয়েছে। এই ঈদে সড়কে দুর্ঘটনা ও দুর্ভোগ বাড়তে পারে।

বরিশালের নথুল্লাবাদ বাস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক কিশোর কুমার দে সাংবাদিকদের বলেন, ঈদে যাত্রী নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সব ধরনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। বাস টার্মিনালে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা থাকবে। তা ছাড়া এবার বিলাসবহুল অনেক পরিবহন এ রুটে চলাচল করবে।

ঢাকা-বরিশাল মহাসড়ক অবরোধ শিক্ষার্থীদের, যানজটে ভোগান্তি

প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে সরকারি খাল দখল, অবৈধ দোকানঘর নির্মাণ

খালের পাড় থেকে ৪৫০ বস্তা আলু জব্দ

বরিশাল বিমানবন্দর ওসমান হাদির নামে নামকরণের দাবিতে মহাসড়ক অবরোধ

নেছারাবাদে হাসপাতালে যাওয়ার ঘাট বন্ধ করে পাবলিক টয়লেট নির্মাণ, ভোগান্তিতে রোগীরা

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের নেত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ, থানায় মামলা

জিয়াউল আহসানের পৈতৃক বাড়িতে হামলা, ভাঙচুর

নানা বিতর্কে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন

বরিশালের ৬ আসন: বিএনপির চ্যালেঞ্জ ৪ আসনে

সেলিমা রহমানের মনোনয়ন দাবিতে বাবুগঞ্জে মশাল মিছিল ও বিক্ষোভ