আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর ক্ষমতার পালাবদলে বরিশাল চেম্বার অব কমার্সের নেতৃত্ব নিয়ে বিএনপির দুই পক্ষের মধ্যে বিরোধ চরম আকার ধারণ করেছে। ইতিমধ্যে এক পক্ষের বিরুদ্ধে পাতানো নির্বাচনের অভিযোগ এনে প্রশাসক নিয়োগের দাবি জানিয়েছে অন্য পক্ষ। এর পরিপ্রেক্ষিতে ১৫ ডিসেম্বর বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সহকারী সচিব পুলক কুমার মণ্ডল বরিশাল চেম্বার অব কমার্সের সভাপতিকে কারণ দর্শানোর (শোকজ) নোটিশ দিয়েছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বরিশাল চেম্বার অব কমার্সের নেতৃত্ব দখলের একাংশে রয়েছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় সদস্য এবায়দুল হক চান এবং অপরাংশে বরিশাল কোতোয়ালি থানা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক শেখ আব্দুর রহিম। গত অক্টোবরের শুরুতে শেখ রহিমের ওপর রাতের আঁধারে হামলাও করা হয়। তাঁর অভিযোগ, চেম্বার নিয়ে দ্বন্দ্বে এবায়দুল হক চানের অনুসারীরা তাঁর ওপর হামলা করেছেন।
জানতে চাইলে বরিশাল চেম্বার অব কমার্সের সাবেক সভাপতি ও বিএনপির নেতা শেখ আব্দুর রহিম বলেন, ‘কিছু লোক একতরফাভাবে ভোট করতে চায়। কোনো প্রার্থী নেই দেখিয়ে তারা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় একজনকে সভাপতি ঘোষণা দেওয়ার পাঁয়তারা করছে। এর নেপথ্যে কলকাঠি নাড়ছেন বিএনপির নেতা এবায়দুল হক চান ভাই।’
শেখ আব্দুর রহিম আরও বলেন, এ ধরনের অনিয়মের প্রতিবাদে চেম্বারের ৭৪ জন সদস্য বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে আবেদন করে পাতানো ও প্রহসনের ভোট বন্ধ করে সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য প্রশাসক নিয়োগ চেয়েছেন। কেন প্রশাসক নিয়োগ করা হবে না, তা সাত দিনের মধ্যে জানাতে বলেছে মন্ত্রণালয়।
বরিশাল চেম্বার অব কমার্সের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি জাহাঙ্গীর হোসেন মানিক বলেন, তিনি কারণ দর্শানোর কোনো নোটিশ পাননি। চেম্বারকে শোকজ করার সুযোগ নেই বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের। আগামী ৬ জানুয়ারি চেম্বারের নির্বাচন হতে যাচ্ছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য এবায়দুল হক চান বলেন, ‘নিয়মকানুনের বাইরে কী করে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় শোকজ করবে। আর শোকজ করলে এর জবাব দেবেন সংগঠনের সভাপতি।’
এবায়দুল হক দাবি করেন, ‘রহিম (চেম্বারের সাবেক সভাপতি শেখ আব্দুর রহিম) তো বলতেই পারেন—নাচতে না জানলে উঠান বাঁকা। নির্বাচনে কেউ যদি না আসে তাহলে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হতেই পারে।’ তিনি আক্ষেপ করে
বলেন, ‘এই চেম্বার অব কমার্সের প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন মনু ভাই। অথচ তাঁর নামটাও নেই চেম্বারে। এই রহিম চেম্বারে সাবেক মেয়র হিরণের নাম ঝুলিয়ে দিয়েছে।’