ঢাকার সদরঘাট থেকে বরগুনাগামী লঞ্চ ধীরগতিতে চালানো এবং খাবারের দাম বেশি রাখাকে কেন্দ্র করে যাত্রী ও লঞ্চ স্টাফদের মধ্যে দফায় দফায় মারামারি হয়েছে। গতকাল শনিবার ঢাকা থেকে বরগুনার উদ্দেশে ছেড়ে আসা রয়্যাল ক্রুজ ও রাজারহাট সী লঞ্চে রাত ২টা থেকে এ ঘটনা ঘটে।
এ সময় দুই লঞ্চের বেশ কয়েকজন কর্মচারী আহত হয়েছেন বলে জানা যায়। অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে রোববার (৩০ মার্চ) ভোরে দুই লঞ্চের ২৮ জন যাত্রীকে আটক করে বেতাগী থানার পুলিশ।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, গতকাল শনিবার ঢাকার সদরঘাট থেকে এমভি রয়েল ক্রুজ ও এমভি রাজারহাট সী লঞ্চ যাত্রী নিয়ে বরগুনার উদ্দেশে ছেড়ে আসে। মাঝরাতে লঞ্চ ধীরে চলা এবং লঞ্চের ভেতরে সেহরির জন্য খাবারের প্যাকেজের দাম বেশি রাখা নিয়ে কয়েকজন যাত্রীর সঙ্গে লঞ্চের স্টাফদের ঝগড়া হয়।
কিছুক্ষণ পর এতে আরও যাত্রী জড়িয়ে পড়েন। হাতাহাতিতে লঞ্চের বেশ কয়েকজন স্টাফ এবং নিরাপত্তাকর্মী আহত হন। লঞ্চ কর্তৃপক্ষ পুলিশে খবর দিলে বেতাগী লঞ্চঘাটে এসে ২৮ জন যাত্রীকে থানা হেফাজতে নিয়ে আসে পুলিশ। খবর পেয়ে আটক যাত্রীদের স্বজনেরা থানা চত্বর ঘেরাও করে গাছের গুঁড়ি ফেলে রাস্তা বন্ধ করে দেয়। সবশেষ নৌবাহিনী ও জেলা পুলিশের অতিরিক্ত সদস্যরা এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
উপজেলার মোকামিয়া এলাকার মাছুয়াখালী গ্রামের এক বৃদ্ধা বলেন, ‘আমার ছেলে ট্রাকে কাজ করে। লঞ্চে গন্ডগোলের সময় আমার ছেলে ঘুমিয়ে ছিল। সে কোনো অপরাধ করেনি। লঞ্চ থেকে নামার সময় তাকে বিনা অপরাধে জোর করে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।’
উপজেলার কেওড়াবুনিয়া এলাকার শান্তা আক্তার বলেন, ‘আমার ভাই পারভেজ ঢাকায় একটি রেস্টুরেন্টে কাজ করে। সে ঈদে বেড়াতে বাড়ি আসতেছিল। তাকে কেবিনের ভেতর থেকে আটক করা হয়েছে।’
বেতাগী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনিরুজ্জামান সাংবাদিকদের বলেন, আটক ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে লঞ্চে মারামারির করার অভিযোগ রয়েছে। অভিযোগের সত্যতার ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।