বরিশালে বিএনপির অফিস পোড়ানো এবং দলীয় নেতা-কর্মীদের ওপর হামলার মামলায় মহানগর ছাত্রদলের সহসভাপতি সায়েম হোসেনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে নগরীর নথুল্লাবাদ এলাকার নিজ বাসা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। গতকাল রোববার পৃথক দুটি মামলার এজাহারভুক্ত এই আসামিকে আদালতে সোপর্দ করা হলে বিচারক কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
অভিযোগ উঠেছে, নথুল্লাবাদের এক প্রভাবশালী ব্যক্তি বিএনপি নেতাদের ম্যানেজ করে বিএনপি নেতাদের করা মামলায় সায়েম হোসেনকে আসামি করা হয়েছে। এ নিয়ে বিএনপির স্থানীয় নেতা-কর্মীদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
মহানগর ছাত্রদলের সভাপতি রেজাউল করীম রনি বলেন, ‘মহানগর ছাত্রদলের কমিটি অনেক বড়। সায়েম নামের একজন সহসভাপতি এ কমিটিতে রয়েছেন। তবে যিনি গ্রেপ্তার হয়েছেন তিনি এ সায়েম কিনা তা দেখে বলা যাবে।’
মহানগর ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক এনামুল হক তসলিম বলেন, ‘কমিটিতে ৭৩ নম্বর সহসভাপতি পদে সায়েম নামের একজন আছেন। শনিবার রাতে তাঁকে গ্রেপ্তারের খবরে দলের অভ্যন্তরে তোলপাড় সৃষ্টি হয়।’
জানা গেছে, শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর বরিশালে আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে বিএনপির অফিস পোড়ানো, শোক র্যালিতে হামলাসহ হত্যা চেষ্টার অভিযোগে মামলা করেন মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক মনিরুজ্জামান খান ফারুক ও সদস্যসচিব জিয়াউদ্দিন সিকদার। ওই মামলায় সায়েমকে আসামি করা হয়। বিএনপির করা এ দুটি মামলা নিয়ে শুরু থেকেই বাণিজ্য করার অভিযোগ ওঠে।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে বরিশাল মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক মনিরুজ্জামান ফারুক সাংবাদিকদের বলেন, ‘মামলা যখন হয়েছে, তখন সব আসামি তো আমি দিইনি। দলের নেতা-কর্মীরা নাম দিয়েছে। এখন যে ছাত্রদল নেতার নাম দিল সেটা খুঁজে পাচ্ছি না। দলের নেতা-কর্মীর নাম আমাদের মামলায় আসার সুযোগ নেই। যেহেতু এসেছে, তাকে বের করার দায়িত্ব আমাদের।’