পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার মহিপুরে মাফিয়া বেগম (১৬) নামে এক নববধূর মৃত্যুর ঘটনায় স্বামী মেহেদী হাসানের বিরুদ্ধে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে উপজেলার লতাচাপলী ইউনিয়নের পাঞ্জুপাড়া গ্রামে স্বামীর বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। নিহতের পরিবার এটিকে হত্যা দাবি করলেও স্বামীর পরিবার বলছে, এটি আত্মহত্যা।
নিহত মাফিয়ার মা হাফিজা বেগম ও ভাই বনি আমিন জানান, প্রায় তিন মাস আগে পারিবারিকভাবে একই গ্রামের মেহেদী হাসানের (২২) সঙ্গে মাফিয়ার বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই মেহেদী মাফিয়াকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করে আসছিলেন।
বৃহস্পতিবার দুপুরে মাফিয়ার ছোট বোন মারিয়া বোনের স্বামীর বাড়িতে যায়। মারিয়া গিয়ে দেখতে পায়, মেহেদী তার বোনকে মারধর করছেন। পরে সে বাড়িতে এসে বিষয়টি জানায়। রাত সাড়ে ৮টার দিকে মেহেদী তার শ্বশুর হারিছকে ফোন দিয়ে জানান, মাফিয়া গলায় ফাঁস দিয়েছে।
পরিবারের সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে মাফিয়াকে উদ্ধার করে কুয়াকাটা হাসপাতালে নিলে সেখান থেকে কলাপাড়া হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানেই চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এদিকে মাফিয়ার পরিবার অভিযোগ করেছে, মেহেদী পরিকল্পিতভাবে তাকে হত্যা করেছেন। তবে মেহেদীর পরিবারের দাবি, মাফিয়া সবার অগোচরে ঘরের দোতলায় গিয়ে আত্মহত্যা করেছে।
মহিপুর থানার ওসি (তদন্ত) অনিমেষ বলেন, লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হচ্ছে। এখন পর্যন্ত কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি। অভিযোগ পেলে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।