বরিশালের কীর্তনখোলা নদীতে বাল্কহেডের সঙ্গে সংঘর্ষে নিখোঁজ স্পিডবোটের তিন যাত্রীর সন্ধান এখনো মেলেনি। গত বৃহস্পতিবার বিকেলে নদীর লাহারহাট খালের প্রবেশমুখে জনতার হাট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
আজ শনিবার বিকেল পর্যন্ত নিখোঁজদের কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি বলে নিশ্চিত করেছেন বরিশাল সদর নৌ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সনাতন চন্দ্র সরকার। তবে ট্রলার ও স্পিডবোটের সংঘর্ষের ঘটনায় গতকাল শুক্রবার রাতে কোতোয়ালি মডেল থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
ওসি সনাতন সরকার জানান, মামলায় নামধারী দুজন ও অজ্ঞাত আরও তিনজনকে আসামি করা হয়েছে। নামধারীদের মধ্যে স্পিডবোটের চালক আল-আমিন ও বাল্কহেডের চালক আটক শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জ থানার কোরালতলী এলাকার বাসিন্দা খালেক মাঝি রয়েছেন।
পুলিশের তথ্য অনুযায়ী নিখোঁজ ব্যক্তিরা হলেন ভোলার উত্তর চর ভেদুরিয়া এলাকার বাসিন্দা স্পিডবোটের চালক মো. আল আমিন (২৭), পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার নোওয়াপাড়া এলাকার আজগর আলীর ছেলে রাসেল আমিন (২৫) ও বাবুগঞ্জের রহমতপুরের দুলাল দাসের ছেলে সজল দাস (৩০)।
বরিশাল ফায়ার সার্ভিসের উপপরিচালক মো. মিজানুর রহমান সাংবাদিকদের জানান, ডুবুরিরা ঘটনাস্থলে উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করেছেন। নিখোঁজ কাউকে পাওয়া যায়নি। তবে ডুবে যাওয়া স্পিডবোট উদ্ধার করেছে ফায়ার সার্ভিস।
গত বৃহস্পতিবার বিকেলে কীর্তনখোলা নদীর লাহারহাট খালের প্রবেশমুখে জনতার হাট এলাকায় বাল্কহেডের সঙ্গে স্পিডবোটের সংঘর্ষ হয়। এ ঘটনার পর নদী থেকে উদ্ধার করা জালিস মাহমুদ (৫০) নামে এক যাত্রীর মৃত্যু হয়। এ ছাড়া তিনজন এখনো নিখোঁজ রয়েছেন।