হোম > সারা দেশ > বরিশাল

খালে বাঁধ দিয়ে মাছের খামার, ফসলি জমিতে জলাবদ্ধতার শঙ্কা

মুলাদী (বরিশাল) প্রতিনিধি 

আপডেট: ১২ জানুয়ারি ২০২৫, ১৬: ০৯
মুলাদীতে কাজিরচর ইউনিয়নের চরবাহাদুরপুর মৌজায় সরকারি খালে বাঁধ দিয়ে মাছের খামার তৈরি করা হয়েছে। ছবি: আজকের পত্রিকা

বরিশালের মুলাদীতে খালে বাঁধ দিয়ে মাছের খামার তৈরির অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় কিছু ব্যক্তির বিরুদ্ধে। উপজেলার কাজীরচর ইউনিয়নের চরবাহাদুরপুর গ্রামের একটি খাল দখল করে এই খামার তৈরি করা হয়।

এতে ওই এলাকার ফসলি জমিতে জলাবদ্ধতার আশঙ্কা করেছেন স্থানীয় কৃষকেরা। তাঁরা দ্রুত বাঁধ অপসারণ করে খালে পানি চলাচল স্বাভাবিক করতে আজ রোববার (১২ জানুয়ারি) উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কাছে লিখিত আবেদন করেছেন।

অভিযোগে কৃষকেরা উল্লেখ করেন, চরবাহাদুরপুর মৌজায় বিএস ১ নম্বর খতিয়ানে বিএস ৮০৭ নম্বর দাগটি সরকারি খাল হিসেবে নিবন্ধনভুক্ত রয়েছে। খালটি স্থানীয় কৃষক ও জনসাধারণের পানির চাহিদা পূরণ করে। এ ছাড়া এই খাল দিয়ে চরবাহাদুরপুর মৌজায় কয়েক শ একর জমির পানি নিষ্কাশন হয়।

দুই-তিন দিন ধরে চরবাহাদুরপুর গ্রামের মৃত মোনাই ব্যাপারীর ছেলে মো. আলতাফ ব্যাপারী, মৃত হাসেম সিকদারের ছেলে সেলিম সিকদার, লোকমান সিকদারের ছেলে নাসির সিকদার, আবুল হোসেন শরীফের ছেলে দোলন শরীফ এবং একই ইউনিয়নের কৃষ্ণরুদ্র গ্রামের মৃত রওজব আলী সিকদারের ছেলে হারুন সিকদারসহ ১০-১৫ জন ওই খালে বাঁধ দিয়ে মাছের খামার করেছেন। অভিযুক্তরা সবাই স্থানীয় বিএনপির কর্মী বলেও উল্লেখ করা হয়েছে।

দক্ষিণ কাজীরচর গ্রামের কৃষক মো. আব্দুস সালাম জানান, বিএনপির কর্মীরা খননযন্ত্র (ভেকু) দিয়ে অবৈধভাবে বাঁধ দিয়ে খাল দখল করে খামার তৈরি করেছেন। এতে সরকারি জমি ও খাল অবৈধ দখলে চলে যাওয়ার পাশাপাশি জনসাধারণের ভোগান্তির সৃষ্টি হয়েছে। আগামী বর্ষা মৌসুমে চরবাহাদুরপুর মৌজার কয়েক শ একর ফসলি জমিতে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হবে এবং ফসল উৎপাদন ব্যাহত হবে। তাই খালের বাঁধ অপসারণ এবং সরকারি জমি উদ্ধারসহ খালের পানি চলাচল স্বাভাবিক করতে উপজেলা প্রশাসনের কাছে আবেদন করা হয়েছে।

অভিযুক্তদের তালিকায় থাকা দোলন শরীফের কাছে এ ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘খালটিতে তেমন পানি চলাচল নেই এবং নৌযান চলাচল না করায় বাঁধ দিয়ে খামার তৈরি হয়েছে। কয়েকজন বেকারের কর্মসংস্থানের লক্ষ্যে সেখানে মাছের চাষ করা হবে। এভাবে অনেকেই নিজেদের জমিসংলগ্ন খাল দখল করে ব্যবহার করছেন।’

কাজিরচর ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. ইউসুফ প্যাদা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বিএনপির কোনো কর্মী খাল দখল করে খামার তৈরির বিষয়টি জানা নাই। এছাড়া বর্তমানে ইউনিয়ন বিএনপির কমিটি নেই। কোনো কর্মী-সমর্থক খালে বাঁধ দিয়ে থাকলে সেটা তাদের ব্যক্তিগত বিষয়। এর সঙ্গে দলের কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই।’

ইউএনও মো. নিজাম উদ্দিন বলেন, খাল দখল করে মাছের খামার নির্মাণের বিষয়ে কৃষকেরা অভিযোগ করেছেন। সহকারী কমিশনার (ভূমি) পরাগ সাহাকে বিষয়টি সরেজমিনে পরিদর্শন করে ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশনা দেওয়া হবে।

সোনালী ব্যাংক ম্যানেজারের বিরুদ্ধে ১৫ ইউপি চেয়ারম্যানের লিখিত অভিযোগ

৯ দফা দাবিতে পায়রা তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রের ক্ষতিগ্রস্তদের মানববন্ধন

বরিশালে বিএনপির বিরুদ্ধে জনদুর্ভোগ সৃষ্টির অভিযোগ