গত ৫ আগস্টের পর বরিশাল বিভাগে দুই শতাধিক শিক্ষক মব জাস্টিসের শিকার হয়েছেন বলে শিক্ষক-কর্মচারী সমিতি ফেডারেশনের নেতারা অভিযোগ তুলেছেন। আজ বৃহস্পতিবার বরিশাল প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষক কর্মচারী সমিতি ফেডারেশন বরিশাল বিভাগীয় শাখার সমন্বয়ক অধ্যাপক মহসিন উল ইসলাম হাবুল সহকর্মীদের নানা কষ্টের কথা তুলে ধরেন।
মহসিন উল ইসলাম হাবুল বলেন, অনেক প্রধান শিক্ষক, অধ্যক্ষের চোখের পানি ঝরেছে। অনেককে এখনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে দায়িত্ব পালন করতে দেওয়া হচ্ছে না। দেশে সবচেয়ে বেশি বৈষম্যের শিকার শিক্ষকেরা। দেশের পাঁচ লক্ষাধিক শিক্ষক-কর্মচারী ঈদে পূর্ণাঙ্গ উৎসব ভাতা পাচ্ছেন না। সাড়ে তিন হাজার শিক্ষক অবসরভাতা বঞ্চিত। ঈদের আগে পূর্ণাঙ্গ উৎসব ভাতা, বাড়ি ভাড়া, চিকিৎসাসহ নানা দাবি পূরণ না হলে ঈদের দিন শিক্ষকেরা ঈদ উল ফিতর উৎসব বর্জন করে কালোব্যাজ ধারণ করবেন।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, ‘৫ আগস্টের পর বহু শিক্ষক নির্মমভাবে অত্যাচারের শিকার হয়েছেন। জোর করে স্কুল-কলেজ থেকে বেড় করে দেওয়া হয়েছে। মাধবপাশার অধ্যক্ষ প্রণব ব্যাপারী এবং বানারীপাড়ার প্রধান শিক্ষক জামাল হোসেন এর অন্যতম উদাহরণ। বরিশাল বিভাগের এ ধরনের মব জাস্টিসের শিকার ২ শতাধিক শিক্ষক। আমরা এই উচ্ছৃঙ্খলতার প্রতিকার চাই।’
শিক্ষক নেতারা বলেন, দেশের ৯৫ ভাগ শিক্ষাব্যবস্থা পরিচালনার দায়িত্বে পাঁচ লক্ষাধিক বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারী। সেই শিক্ষক-কর্মচারীরাই সবচেয়ে বেশি বৈষম্যের শিকার। বর্তমানে মাত্র ২৫ ভাগ উৎসব ভাতা, এক হাজার টাকা বাড়ি ভাড়া দেওয়া হচ্ছে। হাজার হাজার শিক্ষক অবসরভাতা পাচ্ছেন না। তাঁরা বিনা চিকিৎসায় ধুঁকে ধুঁকে মরছেন। অবসরে যাওয়া শিক্ষকদের দ্রুত ভাতা প্রদানেরও দাবি জানানো হয়।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন শিক্ষক-কর্মচারী সমিতি ফেডারেশন বরিশাল বিভাগীয় শাখার নেতা মো. রেজাউল করিম, অধ্যক্ষ আ ক মো. মিজানুর রহমান, অধ্যক্ষ আমিনুর রহমান খোকন প্রমুখ।