বাবা-মায়ের সঙ্গে ঢাকায় থাকত যমজ দুই বোন লামিয়া ও সামিয়া। নানি আর মাকে নিয়ে বরগুনার তালতলীতে দাদাবাড়িতে বেড়াতে আসছিল তারা। দাদাবাড়ি ঠিকই ফিরল তারা, কিন্তু কফিনে শুয়ে।
লঞ্চে অগ্নিকাণ্ডে নিহত সামিয়া (৪) ও লামিয়ার (৪) মরদেহ শনাক্ত করে আজ শনিবার সকালে বরগুনা জেনারেল হাসপাতালের মর্গ থেকে নিয়ে গেছেন স্বজনেরা। নিহতদের মামার কাছে এ দুই যমজ শিশুর মরদেহ হস্তান্তর করা হয়।
নিহত সামিয়া ও লামিয়া বরগুনার তালতলী উপজেলার আগাপাড়া গ্রামের রফিক হোসেনের মেয়ে। তারা মায়ের সঙ্গে দাদাবাড়ি বেড়াতে আসছিল।
নিহতদের স্বজনেরা জানান, মা শিমু আক্তার ও নানি দুলু বেগমের সঙ্গে গত বৃহস্পতিবার দাদাবাড়ি বেড়াতে বরগুনা আসছিল। বাবা অফিসের কাজে ব্যস্ত থাকায় তাঁর আসা হয়নি। এরপর ঢাকা থেকে বরগুনাগামী এমভি অভিযান-১০ লঞ্চটি ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে এলে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এতে গুরুতর দগ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যায় সামিয়া ও লামিয়া। তাদের নানি দুলু বেগম গুরুতর আহত হয়ে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। এ ঘটনায় তাদের মা শিমু আক্তার এখন পর্যন্ত নিখোঁজ রয়েছেন। তাদের বাবা রফিক স্ত্রীকে খুঁজতে বরিশালে আছেন।
প্রসঙ্গত, গত বৃহস্পতিবার রাত ৩টার দিকে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড ঘটে বরগুনাগামী লঞ্চ এমভি অভিযান-১০ এ। এ ঘটনায় ৪১ জনের প্রাণহানি ঘটেছে, আহত হয়েছে শতাধিক। এ ছাড়া নিখোঁজ রয়েছে আরও অনেকে। নিহত ৪১ জনের ৩৭ জনই বরগুনার বাসিন্দা। এ নিয়ে সাতটি মরদেহ হস্তান্তর করা হয় স্বজনদের কাছে। বাকি ৩০ মরদেহ বরগুনা সদর হাসপাতালের রাখা হয়েছে।