ঝালকাঠি-১ (কাঠালিয়া-রাজাপুর) আসনে আওয়ামী লীগের নৌকার প্রার্থী শাহজাহান ওমর আচরণবিধি লঙ্ঘন করে সমাবেশ করেছেন। সমাবেশে অস্ত্র হাতে এক বিএনপি নেতাকেও দেখা গেছে। তিনি শাহজাহান ওমরের পাশেই অবস্থান করছিলেন।
বিএনপির সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার শাহজাহান ওমর আওয়ামী লীগে যোগদান করে ঝালকাঠি-১ (রাজাপুর-কাঠালিয়া) আসনে আওয়ামী লীগের মনোনীত নৌকা প্রতীকে প্রার্থী হন। শাহজাহান ওমর দল পরিবর্তন করলেও বিএনপির কিছু নেতা-কর্মীকে নিয়ে তাঁর বর্তমান দল আওয়ামী লীগের সমাবেশে উপস্থিত হন।
আজ সোমবার বেলা ১১টার দিকে কাঠালিয়া উপজেলা সরকারি পাইলট উচ্চবিদ্যালয় মাঠে আয়োজিত সমাবেশে উপস্থিত আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের মধ্যে উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে পরিচয় করিয়ে দেন শাহজাহান ওমর।
সমাবেশস্থলে শাহজাহান ওমরের বাম পাশে আগ্নেয়াস্ত্র হাতে নিয়ে চেয়ারে বসে ছিলেন কাঠালিয়া উপজেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল জলিল মিয়াজী। তাঁর পাশে বসে ছিলেন সাধারণ সম্পাদক মো. জাকির হোসেন কবির।
অপর দিকে ডান পাশে দাঁড়িয়ে ছিলেন কাঠালিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক আহ্বায়ক ও সাবেক উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. গোলাম কিবরিয়া সিকদার, উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আবুল বসার বাদশা ও শৌলজালিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. মাহমুদ হোসেন রিপন।
জনসমাবেশে শাহজাহান ওমর বলেন, ‘কাঠালিয়া আওয়ামী লীগে কোনো গ্রুপিং থাকতে পারবে না। এখানে তরুণ লীগ, কিবরিয়া লীগ, বুড়ালীগ ও বাচ্চালীগ থাকতে পারবে না। এখানে থাকবে শুধু শেখ হাসিনা গ্রুপ।’ তিনি আরও বলেন ‘আমি এবং বিএনপির দলবলসহ আপনাদের মেহমান, আমাদের বরণ করে নিবেন। আমরা শিক্ষিত লোক, আমাদের সম্মান করলে আপনাদেরকেও আমরা সম্মান করব।’
সমাবেশ শেষে তিনি আওয়ামী লীগ ও বিএনপির নেতা-কর্মীদের ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান। ১১ ডিসেম্বরের পরে আবার দেখা হবে বলেও জানান তিনি। এ সময় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা ফুলেল শুভেচ্ছা জানাতে এলেও তা শাহজাহান ওমরকে দেওয়ার সুযোগ না পাওয়ায় তাঁদের মধ্যে চাপা ক্ষোভের সৃষ্টি হয়।
এ বিষয়ে কাঠালিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘আমিসহ ওই জনসমাবেশে কোনো পুলিশ সদস্য উপস্থিত ছিল না। পুলিশ আইনশৃঙ্খলা ডিউটিতে ছিল। আইনগতভাবে তিনি অস্ত্র নিয়ে জনসমাবেশ করতে পারেন না।’
ঝালকাঠি জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ওহিদুজ্জামান মুন্সী বলেন, ‘নির্বাচনে কোনো প্রার্থী জনসমাবেশে লাইসেন্সপ্রাপ্ত অস্ত্র নিয়ে যেতে পারবে কি না—এ বিষয়ে এখনো কোনো নির্দেশনা পাইনি।’