বরিশালের আগৈলঝাড়া উপজেলার রামানন্দের আঁক মাধ্যমিক ও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠে পৌষ সংক্রান্তি উপলক্ষে মেলা বসানো হয়। গত সোম এবং মঙ্গলবার (১৬ জানুয়ারি) বিদ্যালয় বন্ধ করে এ মেলা চলে। এদিকে বিদ্যালয় বন্ধ করে মেলা বসানোর বিষয়ে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককেরা দুই রকম বক্তব্য দিয়েছেন।
সরেজমিন দেখা গেছে, মাঠের পশ্চিম পাশে ১৮ নম্বর রামানন্দের আঁক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও উত্তর পাশে রয়েছে রামানন্দের আঁক মাধ্যমিক বিদ্যালয়। দুটি বিদ্যালয়ের একই মাঠে বসানো হয়েছে মেলার দোকান। প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকেরা উপস্থিত থাকলেও কোনো শিক্ষার্থীদের দেখা যায়নি।
স্থানীয় সূত্র জানায়, উপজেলার রাজিহার ইউনিয়নের রামানন্দের আঁক গ্রামে গ্রামবাংলার সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের পৗষ সংক্রান্তি ধরে রাখতে এ বছরও মেলা অনুষ্ঠিত হয়। মেলা উপলক্ষে রামানন্দের আঁক মাধ্যমিক বিদ্যালয় বন্ধ করে বিদ্যালয় মাঠে স্টল সাজিয়ে বিভিন্ন প্রকার দোকান বসানো হয়।
মেলা কমিটির সভাপতি রামকৃষ্ণ হালদার ও সাধারণ সম্পাদক মনোতোষ বিশ্বাস বলেন, ‘প্রতিবছর এই গ্রামে মারবেল খেলা ও মেলা বসে। স্কুল বন্ধ করে মাঠে কারা দোকান বসিয়েছে তা আমাদের জানা নেই।’
১৮ নম্বর রামানন্দের আঁক সরকারি প্রথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শঙ্কর লাল বিশ্বাস বলেন, ‘মাঠের জায়গা আমাদের স্কুলের না। আমাদের বিদ্যালয়ে ১৬০ জন শিক্ষার্থী ও ছয়জন শিক্ষক রয়েছেন। আমরা স্কুল খোলা রেখেছি এবং সব শিক্ষক উপস্থিত রয়েছি। কিন্তু মেলার কারণে কোনো ছাত্রছাত্রী স্কুলে আসেনি।’
রামানন্দের আঁক মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বরুন ঘটক বলেন, ‘আমার কাছে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য মিহির কুমার বিশ্বাস মেলার জন্য বিদ্যালয় মাঠ চেয়েছিলেন। আমি তাঁকে স্কুল মাঠে মেলার জন্য মৌখিকভাবে অনুমতি দিয়েছি। আর স্কুল বন্ধ রেখেছি।’
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. মাহাবুবুর রহমান বলেন, বিদ্যালয় মাঠে মেলা করতে হলে লিখিতভাবে জানিয়ে অনুমতি নিতে হয়। স্কুল বন্ধ করে তারা মাঠে মেলা বসিয়েছে, তার কোনো অনুমতি নেওয়া হয়নি।
এ ব্যাপারে আগৈলঝাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফারিহা তানজিন বলেন, ‘স্কুল বন্ধ রেখে স্কুল মাঠে মেলা বসানো বেআইনি। আমি বিষয়টি উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারকে জানিয়ে খোঁজ নিয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’