খাইরুল ইসলাম, তালতলী (বরগুনা) থেকে
সারিসারি কফিন। এর মধ্যে একটি কফিনের গায়ে লেখা ‘মা ও মেয়ের লাশ’। আগুনে পুড়ে অঙ্গার মা ও মেয়ের মরদেহ দাফনও করা হয়েছে একই কবরে।
আজ শনিবার দুপুর ১টার দিকে বরগুনা পৌরসভার পোটকাখালীতে সরকারি কবরস্থানে অজ্ঞাত পরিচয় ২৯ জনের মরদেহ দাফন করা হয়। এখানে প্রথম কবরটিতেই দাফন করা হয় মা ও মেয়ের মরদেহ।
বরগুনা জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে এমভি অভিযান-১০ লঞ্চে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় নিহত ৪১ জনের মধ্যে ৩৭ জনের মরদেহ বুঝে নিয়েছে জেলা প্রশাসন। তাদের মধ্যে পাঁচ জনের পরিচয় শনাক্ত করে চার জনের মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এরপরে আজ সকালে জানাজা শেষে তিন জনকে শনাক্ত করেন স্বজনেরা। সেই মরদেহগুলোকে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে রাখা হয়। পরে আরও তিনটি মরদেহ শনাক্ত করেন স্বজনেরা।
বরগুনা জেলা প্রশাসক মো. হাবিবুর রহমান বলেন, ‘মা ও মেয়েকে জড়ানো অবস্থায় লাশ দুটি পাওয়া যায় বলে ঝালকাঠি জেলা প্রশাসন জানিয়েছেন। আমাদেরও এমনটি ধারণা যে ওই কফিনে রাখা মরদেহ দুটি মা ও শিশু কন্যার। যেহেতু তাদের পরিচয় শনাক্ত করা হয়নি। তাই এক কবরে তাঁদের দাফন করা হয়েছে।’