পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জে নিজ ঘর থেকে মো. সোলায়মান (১৮) নামের এক কলেজছাত্রের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল শনিবার রাতে উপজেলার মাজিদবাড়িয়া ইউনিয়নের দক্ষিণ মাজিদবাড়িয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
সোলায়মান উপজেলার চান্দুখালী মোশারেফ হোসেন ডিগ্রি কলেজের এইচএসসি দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। তিনি দক্ষিণ মাজিদবাড়িয়া গ্রামের মো. সাইফুল ইসলাম ও সোনিয়া আক্তার দম্পতির ছেলে। তাঁর লাশ উদ্ধারের বিষয় আজকের পত্রিকাকে নিশ্চিত করেন মির্জাগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শামিম আহম্মেদ।
পুলিশ ও নিহতের পরিবার জানায়, সোলায়মান মোবাইল ফোনের প্রতি আসক্ত ছিলেন। এ নিয়ে মা-বাবার সঙ্গে মনোমালিন্য চলছিল। গতকাল রাত ৮টার দিকে পরিবারের লোকজনের অগোচরে তিনি বাড়ির দোতলায় গিয়ে নিজঘরের আড়ার সঙ্গে গামছা পেঁচিয়ে গলায় ফাঁস দেন।
সোনিয়া আক্তার ছেলে সোলায়মানকে ঘরে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পেয়ে চিৎকার দেন। এ সময় আশপাশের লোকজন ছুটে এসে তাঁকে নিচে নামান। পরে স্থানীয় এক চিকিৎসকের বাড়িতে নিয়ে গেলে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে সোলায়মানকে মৃত ঘোষণা করেন। খবর পেয়ে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে।
ওসি শামিম আহম্মেদ স্বজনদের বরাত দিয়ে বলেন, সোলায়মান মোবাইল ফোনে গেম খেলায় আসক্ত ছিলেন। এ নিয়ে তাঁর মা-বাবার সঙ্গে অভিমান করে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করতে পারেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এ বিষয়ে পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।