ভোলার মনপুরায় সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির (ভিজিএফ) চাল বিতরণকে কেন্দ্র করে বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীর দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এতে অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন। আজ রোববার সকাল ১০টার দিকে উপজেলার ৩ নম্বর উত্তর সাকুচিয়া ইউনিয়ন পরিষদের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
দলের নেতা–কর্মী ও সমর্থকেরা ভিজিএফের কার্ড না পাওয়ায় বিএনপি, জামায়াত ও চরমোনাই পীরের লোকজন এ সংঘর্ষে লিপ্ত হন বলে জানা গেছে। আহত ব্যক্তিদের মধ্যে জামায়াতের ওই ইউনিয়নের বাসিন্দা মো. নোমান, মো. মহিউদ্দিন, মো. মহিন, মো. রাশেদ, মো. আব্বাস, মো. কাউসারসহ মোট ৯ জন মনপুরা উপজেলা সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন। এ ছাড়া বিএনপির আহত ব্যক্তিরা হলেন মো. মামুল, মো. এরশাদ, মো. আব্বাস, মো. সহিজল ও মো. মিল্লাদ।
জানতে চাইলে জামায়াতের উত্তর সাকুচিয়া ইউনিয়নের সভাপতি আবু সুফিয়ান বলেন, ‘শনিবার থেকে জেলেদের চাল বিতরণ শুরু হয়েছে। ঈদ উপলক্ষে রোববারও করা হয়। কিন্তু আমাদের কাউকে ডাকে নাই। তাই আমরা ইউনিয়ন পরিষদের দায়িত্বে থাকা প্রশাসকের কাছে আসলে নোমান, মোশাররফ, সামছু, ফিরোজসহ বিএনপি নেতা–কর্মীরা তখন বাধা দিলে মারামারি হয়।’
মনপুরা উপজেলা বিএনপির সাবেক সহসভাপতি মো. মোশারফ দালাল বলেন, ‘আমরা ঘটনা শুনে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করছি।’
এ বিষয়ে ইউনিয়ন পরিষদ প্রশাসকের দায়িত্বে থাকা উপজেলা সমবায় কর্মকর্তা মোহাম্মদ নাসিরউদ্দীন বলেন, ‘চাল বিতরণকালে আমি পরিষদের দ্বিতীয় তলায় ছিলাম। এ সময় পরিষদের বাইরে মারামারি শুরু হয়। পরে ইউনিয়ন পরিষদের মূল ফটক বন্ধ করে দিই এবং চাল বিতরণ বন্ধ করে দেওয়া হয়। তবে কী নিয়ে বাইরে মারামারি হয়েছে, তা জানি না। চাল দেওয়া আপাতত বন্ধ রয়েছে।’
মনপুরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আহসান কবির আজকের পত্রিকাকে বলেন, আজ মনপুরায় ভিজিএফের চাল বিতরণ চলছিল। এ সময় সমর্থকদের কার্ড না পাওয়া নিয়ে চরমোনাই পীর ও জামায়াতে ইসলামীর কর্মী-সমর্থকেরা এক হয়ে বিএনপি নেতা–কর্মীদের সঙ্গে বাগ্বিতণ্ডায় লিপ্ত হয়। হাতাহাতির একপর্যায়ে মারামারির ঘটনা ঘটে। এতে কয়েকজন আহত হয়। তবে এ ঘটনায় কোনো পক্ষ অভিযোগ করেনি।
বিষয়টি নিয়ে আজ বিকেলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কার্যালয়ে সমঝোতা বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে বলে জানান ওসি।