বরিশাল-খুলনা আঞ্চলিক মহাসড়কের ছত্রকান্দায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে যাত্রীবাহী বাস পুকুরে পড়ে ১৭ আরোহী নিহত হন। সম্প্রতি খনন করা ৩০ ফুট গভীরতা সেই পুকুর ভরাটের জন্য মালিককে চিঠি দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে সড়ক ও জনপদ বিভাগ (সওজ)। ব্যক্তিগত জমিতে অপরিকল্পিতভাবে পুকুরটি খনন করা হয়েছে বলে জানিয়েছে সওজ।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ঝালকাঠি সদর উপজেলার ছত্রকান্দা এলাকা থেকে বরিশাল-খুলনা আঞ্চলিক মহাসড়ক। মহাসড়কের পশ্চিম পাশে ছত্রকান্দা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও গাবখান ধানসিঁড়ি ইউনিয়ন পরিষদ থাকায় সওজের আওতামুক্ত। পূর্ব পাশে সামাজিক বা রাষ্ট্রীয় কোনো প্রতিষ্ঠান না থাকায় বিধি অনুযায়ী পূর্ব পাশ থেকে ১০ মিটার জমি সওজের আওতাধীন।
গত বছর এ মহাসড়কের দু’পাশের ঝুঁকিপূর্ণ গাছ বিক্রি করে সওজ কর্তৃপক্ষ। এরপর রাস্তা সংলগ্ন পশ্চিম পাশে পুকুর খনন করেন জমির মালিক জামাল হাওলাদার। এই পুকুরেই যাত্রীবাহী বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পড়ে গেলে ১৭ জন যাত্রী নিহত হন, আহত হন ৩৫ জন।
জমির মালিক জামাল হাওলাদার সাংবাদিকদের বলেন, রাস্তার পশ্চিম পাশে রাষ্ট্রীয় দুটি প্রতিষ্ঠান থাকায় সওজ পূর্ব পাশ থেকে তাদের আওতাধীন। সওজের নির্দেশনা অনুযায়ী রাস্তার পাশের ১০ মিটার জায়গা রেখে অন্য জমির আকার পরিবর্তন করা যাবে। কিন্তু আমাদের পশ্চিম পাশের জমি এর মধ্যে পড়েনি। আমরা আমাদের জমিতে পুকুর খনন করলেও রাস্তার ক্ষতি না হয় সেদিকে খেয়াল রেখেছি। কিন্তু রাস্তার দু’পাশে বড় বড় বিভিন্ন প্রজাতির গাছ ছিল যা গত বছর বিক্রি করে দেয় সড়ক বিভাগ। সেই গাছ থাকলে এত বড় দুর্ঘটনা ঘটত না।’
এ ব্যাপারে ঝালকাঠি সড়ক ও জনপদ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী শেখ নাবিল হোসেন জানান, সওজের আওতাধীন মহাসড়কের দু’পাশে ১০ মিটার জায়গায় কেউ স্থাপনা নির্মাণ বা জমির আকার পরিবর্তন করতে পারবে না। ওই পুকুর খননে রাস্তার কোনো ক্ষতি না হওয়ায় তাদের কোনো নির্দেশনা দেওয়া হয়নি। তবুও এখন ওই পুকুর ভরাট করার জন্য মালিককে চিঠি দেওয়া হবে। তিনি বলেন, ‘কয়েকটি দুর্ঘটনা কবলিত স্থানে গতিরোধক স্থাপনসহ সড়কে বিভিন্ন সাংকেতিক চিহ্ন দেওয়া হবে।’