বরগুনার বেতাগীতে সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে এক দিন আগেই ১০ গ্রামে পবিত্র ঈদুল ফিতর পালিত হচ্ছে। আজ শুক্রবার (২১ এপ্রিল) সকাল সাড়ে আটটার দিকে উপজেলার বকুলতলী গ্রামে ঈদের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয়। জামাতে ইমামতি করেন হাফেজ মো. রমজান আলী। এই নামাজে শতাধিক মুসল্লি অংশগ্রহণ করেন।
এ নিয়ে জানতে চাইলে ইমাম মো. রমজান আলী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘প্রতিবছরের মতো এবারও আমরা সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে ঈদুল ফিতর পালন করছি। আমরা রোজাও রেখেছিলাম এক দিন আগে। আজ সকাল আটটার দিকে ঈদের নামাজ অনুষ্ঠিত হয়েছে। আমি ঈদের নামাজ পড়াই।’
স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, প্রায় শতবর্ষ আগ থেকে সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের সঙ্গে মিল রেখে বেতাগী উপজেলার সদর ইউনিয়নের লক্ষ্মীপুরা, খোন্তাকাটা, গ্রেদ লক্ষ্মীপুরা ও কাজিরাবাদ ইউনিয়নের বকুলতলী এলাকার প্রায় ১০ গ্রামের চিশতিয়া কাদেরীয়া সম্প্রদায়ের কয়েক হাজার অনুসারী অগ্রিম রোজা ও অগ্রিম ঈদ পালন করছেন। প্রথম দিকে মুসল্লির সংখ্যা কম থাকলেও প্রতিবছরই এ সংখ্যা বাড়ছে।
কাজিরাবাদ ইউনিয়নের বকুলতলী গ্রামের বাসিন্দা মো. গোলাম সরোয়ার বলেন, ‘বাংলাদেশের সাতকানিয়া থানার মির্জাখিল দরবার শরিফের নির্দেশে প্রায় ১০০ বছর ধরে আমরা সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে অগ্রিম রোজা ও ঈদ উদ্যাপন করছি।’
সদর ইউনিয়নের খোন্তাকাটা গ্রামের বাসিন্দা মো. সুজন বলেন, ‘ছোটবেলা থেকেই মা–বাবার সঙ্গে সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে রোজা পালন করছি। এখনো সে নিয়মই পালন করছি।’
বেতাগী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. মাকসুদুর রহমান ফোরকান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘উপজেলার কয়েকটি গ্রামের মানুষ সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে প্রতিবছরই অগ্রিম রোজা ও ঈদ পালন করছেন। দীর্ঘদিন ধরে এভাবেই তাঁরা রোজা ও দুই ঈদ পালন করেন।’